২৫ মার্চ, ১৯৮১ তারিখে পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ২০০০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
চমৎকার ব্যাটিং কৌশল অবলম্বনকারী ও ফুরফুরে মেজাজের অধিকারী। ফলশ্রুতিতে, পাকিস্তানের ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে বড় ধরনের রান সংগ্রহে বিরাট ভূমিকার স্বাক্ষর রেখেছেন। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০১২-১৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে লাহোর, পাকিস্তান রিজার্ভস, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট ও রেডকো পাকিস্তান লিমিটেডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৫ বছর বয়সে পাকিস্তানের জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। পিতা মজিদ খানের ন্যায় তিনিও ইংল্যান্ডকে পড়াশুনোর উপযুক্ত স্থান হিসেবে বেছে নেন। ১৯৯০ সালে ম্যাথু প্রায়রের সাথে ব্রাইটন কলেজ দলে ২০ খেলায় অংশ নিয়েছেন। দুই বছর পর এমসিসি’র মাঠকর্মী হিসেবে কিছু সময় অতিবাহিত করেন।
খ্যাতনামা ক্রিকেটীয় পরিবারের সন্তান। পিতামহ জাহাঙ্গীর খান ভারত বিভাজনের পূর্বে খেলেছেন। এছাড়াও, পিতামহ জাহাঙ্গীর খান ও পিতা মজিদ খান – উভয়েই কেমব্রিজের ব্লুধারী। চাচা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং জাভেদ বার্কি – উভয়েই পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্ব করেছেন।
কিছু সময় পাকিস্তানের পূর্ণাঙ্গ দলে খেলার জন্যে নজরে পড়েছিলেন। ২০০৩-০৪ মৌসুমে ৭০-এর অধিক গড়ে রান পেয়েছেন। অবশেষে পরের মৌসুমের শুরুরদিকে ত্রি-দেশীয় একদিনের প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ লাভ করেন। সাতটি যুবদের টেস্টে অংশ নেন। পাশাপাশি বড়দের দলে থেকে একটি টেস্ট খেলেন।
২০০৪ থেকে ২০০৮ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে একটিমাত্র টেস্ট ও পাঁচটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ তারিখে মুলতানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনের সূত্রপাত ঘটান।
২০০৫ সালে ইউনুস খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। ২৬ মে, ২০০৫ তারিখে ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরফলে, হ্যাডলি পরিবারের পর দ্বিতীয় পরিবার হিসেবে পিতামহ, পিতা ও পুত্রকে নিয়ে গঠিত তিন প্রজন্মের টেস্ট ক্রিকেটারের অন্যতম হবার সম্মানের অধিকারী হয়। কিন্তু, তিনি এ সুযোগ পরবর্তীতে আর ধরে রাখতে পারেননি। ৯ ও ২৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, প্রতিপক্ষীয় অধিনায়ক শিবনারায়ণ চন্দরপলের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ২৭৬ রানে জয় পেয়ে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
তিন বছর মাঠের বাইরে অবস্থানের পর ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ এপ্রিল, ২০০৮ সালে নিজ দেশে সফরকারী বাংলাদেশী দলের বিপক্ষে ওডিআই দলে রাখা হয়। ১৬ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে মুলতানে অনুষ্ঠিত সফররত বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন।