Skip to content

৩ মে, ১৯৪৫ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গুজরাতের জুনাগড়ে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার। মূলতঃ ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৯৬০-৬১ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ও ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তাসমানিয়া এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স ও গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তন্মধ্যে, ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে তাসমানিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

পঞ্চভ্রাতার সর্বকনিষ্ঠ তিনি। মৃদুভাষী সাদিক মোহাম্মদ বামহাতি ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। এর বিপরীতে অপর চার ভ্রাতা ডানহাতি ছিলেন। সহজাত ডানহাতের অধিকারী হওয়ায় শক্তিমত্তা প্রয়োগ ও কব্জির মোচরে অফ-সাইডে অধিক সাফল্য পেয়েছেন। এছাড়াও, পুলও করতেন বেশ ভালোভাবে। শুরুরদিকের বোলারদেরকে মোকাবেলাতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন তিনি। হানিফ মোহাম্মদ ও মুশতাক মোহাম্মদের চেয়ে তিনি কিছুটা খাটোপ্রকৃতির ও নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন। সমালোচকদের অভিমত, পারিবারিক যোগসূত্রতার কারণেই তিনি জাতীয় দলে ঠাঁই পেয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, দলের কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেকে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে রুখে দাঁড়িয়েছেন।

১৯৬৯ থেকে ১৯৮০ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বমোট ৪১ টেস্ট ও ১৯টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রাহাম ডাউলিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৪ অক্টোবর, ১৯৬৯ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। জহির আব্বাস, মোহাম্মদ নাজির ও ইউনুস আহমেদের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৬৯ ও ৩৭ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ হাতের মুঠোয় পুড়েন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওডিআইয়ে অংশ নেন।

১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে নিজ দেশে গ্লেন টার্নারের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৩ অক্টোবর, ১৯৭৬ তারিখে হায়দ্রাবাদের নিয়াজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং উদ্বোধনে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। তবে, ব্যক্তিগত ৫৬ রানে থাকাকালীন পায়ের আঘাতের কারণে মাঠের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হন। একই টেস্টে স্বীয় ভ্রাতা মুশতাক মোহাম্মদ ১০১ রানে রান-আউটে বিদেয় নিলে ইয়ান চ্যাপেলগ্রেগ চ্যাপেলের পর দ্বিতীয় ভ্রাতৃদ্বয় হিসেবে একই ইনিংসে শতক হাঁকানোর গৌরব অর্জন করেন। স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এরফলে, ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমের পর নিজ দেশে প্রথম সিরিজ জয় করে পাকিস্তান দল।

১৯৮০-৮১ মৌসুমে নিজ দেশে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৮০ তারিখে মুলতানে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। তবে, ভিভ রিচার্ডসের শতকের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর আম্পায়ারিত্বের দিকে ঝুঁকে পড়েন। একটি ওডিআই পরিচালনা করেছিলেন।