Skip to content

১২ অক্টোবর, ১৯৫২ তারিখে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গ্লেনেল্গ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতে পারতেন। এছাড়াও, কভার অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডিং করতেন। ১৯৮০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

অ্যাডিলেডভিত্তিক প্রিন্স আলফ্রেড কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ক্রিকেটপ্রিয় পরিবারে জন্ম। ১৯৭২-৭৩ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস, সাউথ অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

১৯৮০ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্ট ও ২০টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ২৩ নভেম্বর, ১৯৮০ তারিখে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ১৯৮১ সালে কিম হিউজের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৮ জুন, ১৯৮১ তারিখে নটিংহামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। টেরি অল্ডারম্যানের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ১৭ ও ২০* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ডেনিস লিলি’র অসাধারণ বোলিংশৈলীর বদৌলতে সফরকারীরা চার উইকেটে জয় পেলে ছয়-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ১৬ জুলাই, ১৯৮১ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২৭ ও ৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ‘ইয়ান বোথামের টেস্ট’ নামে পরিচিতি পাওয়া ঐ টেস্টে স্বাগতিকরা ১৮ রানের নাটকীয় জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

সংবাদ শিরোনামে চলে আসা বল গড়িয়ে বোলিং করার সুবাদে বেশ কুখ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৮১ সালের বিশ্ব সিরিজ কাপের তৃতীয় চূড়ান্ত খেলায় এক বল বাকী থাকতে সহোদর ও অস্ট্রেলীয় দলনেতা গ্রেগ চ্যাপেলের নির্দেশক্রমে তিনি নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ব্রায়ান ম্যাককেচনি’র বিপক্ষে আন্ডার-আর্ম বোলিং করেন। ৯ জুন, ২০১৪ তারিখে এক স্বাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন যে, ‘যদি হাত নামিয়ে বোলিং না করতাম, তাহলে আমি স্মরণীয় হয়ে থাকতাম না।’ ১৯৮১ সালের অ্যাশেজ সিরিজে অংশ নেন। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ভারতের বিপক্ষে ১১০ রানের ইনিংস খেলেন। তাসত্ত্বেও, অংশগ্রহণকৃত ওডিআইয়ে তাঁর গড় ছিল মাত্র ১৭.৬১।

অস্ট্রেলিয়া দলে স্বীয় স্থান পাকাপোক্ত করতে পারেননি। ক্যারি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জগৎ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর, সিডনি গ্রেড ক্রিকেটে নর্থ সিডনি দলের পক্ষে কয়েক মৌসুম খেলেন।

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। গর্ডন ওম্যান্স ক্রিকেট ক্লাবকে প্রশিক্ষণ দেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সময়কালে শ্রীলঙ্কা দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর, স্বল্প মেয়াদের বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ ষষ্ঠ বিভাগকে ঘিরে সিঙ্গাপুর দলের কোচ হিসেবে মনোনীত হন।

২০০৩ সালে ক্রিকেট ভ্রাতাদের সাথে তাঁকে জড়িয়ে অ্যাডিলেড ওভালের নতুন ছাউনি ‘চ্যাপেল স্ট্যান্ড’ নামকরণ করা হয়। তবে, ভ্রাতাদের তুলনায় কম সফল ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। মার্চ, ১৯৮১ সালে ক্যানবেরার লরেইন গ্যাভিন নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে অবশ্য তাঁদের সম্পর্ক বিবাহ-বিচ্ছেদে পরিণত হয়েছিল।