হাসান তিলকরত্নে
১৪ জুলাই, ১৯৬৭ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসক। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
নাছোড়বান্দা ও ক্রিজ আঁকড়ে থাকতেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার উত্থান পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বিদ্যালয় পর্যায়ের ক্রিকেটে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। শুরুতে কলম্বোভিত্তিক ইসিপাতানা কলেজ ও পরবর্তীতে ডিএস সেনানায়াকে কলেজে অধ্যয়ন করেছেন।
১৯৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ২০০৫-০৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থাতেই গলেতে ইংল্যান্ড ‘বি’ দলের বিপক্ষে শতক হাঁকিয়ে দলের পরাজয় রোধ করেন ও পাদপ্রদীপে চলে আসেন। একই বছর শ্রীলঙ্কা ইয়ং ক্রিকেটার্সের পক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ বয়সীদের টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নেন।
১৯৮৬ থেকে ২০০৪ সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বমোট ৮৩ টেস্ট ও ২০০টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ২৭ নভেম্বর, ১৯৮৬ তারিখে শারজায় অনুষ্ঠিত ভারতের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন।
তিন বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্টে অংশ নেন। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে হোবার্টে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ০ ও ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, পাঁচটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন। তবে, অরবিন্দ ডি সিলভা’র প্রাণান্তঃকর ব্যাটিং স্বত্ত্বেও স্বাগতিকরা ১৭৩ রানে জয় পেলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।
১৯৯২-৯৩ মৌসুমে নিজ দেশে মার্টিন ক্রো’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২ তারিখে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। একবার ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেলে ৯৩ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, সাতটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে জয় পেলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
একই মৌসুমে নিজ দেশে অ্যালেক স্টুয়ার্টের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ১৩ মার্চ, ১৯৯৩ তারিখে কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। ইংরেজদের বিপক্ষে ঐ টেস্টে স্বাগতিক দল তাঁর অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে ৫ উইকেটে বিজয়ী হয়। ৯৩* ও ৩৬* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, চারটি ক্যাচ ও তালুবন্দী করেছিলেন। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।
টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে প্রায়শঃই উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন। তবে, ব্যাটিংয়ে উজ্জ্বল সম্ভাবনার দিক বিবেচনায় এনে ১৯৯৪ সালে গ্লাভস নেয়া থেকে বিরত থাকেন।
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের অন্যতম সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ১৮ মার্চ, ১৯৯৫ তারিখে ডুনেডিনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৪ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ৩৬ ও ১০৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। উভয় ইনিংসে দীপক প্যাটেলের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। তবে, চামিণ্ডা ভাসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।
১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান সফরে যান। পুরো সিরিজে অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হয়েছিলেন। ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে শিয়ালকোটে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ২৪ ও ৫০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, দলনায়কের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে ১৪৪ রানে জয় পেলে সফরকারীরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে সমর্থ হয়। এ সিরিজে ২৮১ রান সংগ্রহ করে মঈন খানের সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৬ সালে নিজ দেশে অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেলের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ীয় দলের মুখোমুখি হন। ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬ তারিখে কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত সফররত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিলেন। একবার ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে অপরাজিত ১২৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ শতকের কল্যাণে খেলায় স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।
১৯৯৬ সালের উইলস বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক শিরোপা বিজয়ে অন্যতম চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। তবে, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শেষে দল থেকে তাঁর স্থানচ্যূতি ঘটে। এরপর, ঘরোয়া ক্রিকেটে চমৎকার খেলতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে, ২০০১ সালে পুণরায় তাঁকে জাতীয় দলে ফিরিয়ে আনা হয়। দলে প্রত্যাবর্তনের পর মাঝারিসারিতে যথেষ্ট রান তুলতে থাকেন।
১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ১৯ মার্চ, ১৯৯৮ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২২ ও ১৩ রান সংগ্রহসহ তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। শন পোলকের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৭০ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে সজীবা ডি সিলভা’র সাথে দশম উইকেটে ৭৩ রানের জাতীয় রেকর্ড গড়েন।
২০০১ সালে নিজ দেশে সৌরভ গাঙ্গুলী’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ২২ আগস্ট, ২০০১ তারিখে ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলেন। ১০ ও ১৬ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ রান সংগ্রহকালে নিজস্ব ৫৮তম টেস্টের ৯৪ ইনিংসে চতুর্থ শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এ পর্যায়ে অরবিন্দ ডি সিলভা ৮৯ টেস্টে ৫৯৫২, অর্জুনা রানাতুঙ্গা ৯৩ টেস্টে ৫১০৫ ও সনথ জয়সুরিয়া ৬১ টেস্টে ৩৭৩০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, প্রতিপক্ষীয় দলনায়কের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
একই সফরের ২৯ আগস্ট, ২০০১ তারিখে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ১৩৬* রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, মুত্তিয়া মুরালিধরনের অসাধারণ বোলিং সাফল্যে সফরকারীরা ইনিংস ও ৭৭ রানে পরাজিত হলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
২০০১-০২ মৌসুমে নিজ দেশে কার্ল হুপারের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ১৩ নভেম্বর, ২০০১ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ১০৫* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, মুত্তিয়া মুরালীধরনের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ২৯ নভেম্বর, ২০০১ তারিখে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ২০৪* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, চামিণ্ডা ভাসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে।
২০০২-০৩ মৌসুমে মারভান আতাপাত্তু’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ১৫ নভেম্বর, ২০০২ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। খেলার প্রথম দিন প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৪০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ১০৪ ও ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, শন পোলকের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৩ উইকেটে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়লাভ করে।
এক পর্যায়ে এপ্রিল, ২০০৩ সালে টেস্ট দলের অধিনায়কের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। তবে, দশ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে মাত্র একটিতে শ্রীলঙ্কা দলকে বিজয় এনে দেন। ঐ বছরের শেষদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাফল্য পান। অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ধাঁচ অবলম্বনের কারণে তাঁর নেতৃত্ব প্রবল সমালোচনার মুখোমুখি হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে ধবল ধোলাইয়ের শিকার হলে তাঁকে অধিনায়কত্ব করা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখলেও জিম্বাবুয়ে সফরে তাঁকে উপেক্ষার শিকার হতে হয়।
২০০৩ সালে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৫ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে কলম্বোর পিএসএসে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল ও দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
২০০৩-০৪ মৌসুমে নিজ দেশে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২৪ মার্চ, ২০০৪ তারিখে কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ৭৪* ও ১৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, ড্যারেন লেহমানের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে সফরকারীরা ১২১ রানে জয় পেলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ তারিখে শ্রীলঙ্কা বোর্ড থেকে তাঁকে ক্রিকেট এইডের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে ডিসেম্বর, ২০০৪ সালে সুনামীতে আক্রান্তদের সহায়তাকল্পে মনোনীত করে। এরপর তিনি রাজনীতিতে ঝুঁকে পড়েন ও শ্রীলঙ্কার অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টিতে যোগ দেন। কলম্বো জেলার অভিসাবেলা নির্বাচনী এলাকায় দলের সংগঠক হিসেবে নিযুক্তি পান।
পাশাপাশি ক্রিকেটের সাথেও নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। এসএলসি’র নবনিযুক্ত সভাপতি অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র অধীনে বিভিন্ন কমিটিতে যুক্ত ছিলেন। মার্চ, ২০০৮ সাল থেকে এমসিসি’র আজীবন সদস্যের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। মে মাসে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট আম্পায়ার ও স্কোরার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। ২৪ জুলাই, ২০১৭ তারিখে শ্রীলঙ্কার অস্থায়ী ব্যাটিং কোচ হিসেবে মনোনীত হন। এরপর, ৪ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিযুক্তি পান। ৩ জুন, ২০১৮ তারিখে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। আরএস তিলকরত্নে ও ডিএস তিলকরত্নে নামীয় সন্তানদ্বয়ের জনক।