রস টেলর
৮ মার্চ, ১৯৮৪ তারিখে ওয়েলিংটনের লোয়ার হাট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। দলে মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তিন স্তরের ক্রিকেটের সবকটিতেই অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, সকল স্তরেই দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
সামোয়ান বংশোদ্ভূত তিনি। এমসিসি’র পরিচালনায় কাউন্টি ক্রিকেটে কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার উদ্দেশ্যে এমসিসি ইয়ং ক্রিকেটার্স থেকে ইয়ান বোথাম, ফিল টাফনেল, মার্ক ওয়াহ’র ন্যায় তিনিও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ২০০২-০৩ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রেখেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস, ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম, মিডলসেক্স ও সাসেক্স এবং অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, পুনে ওয়ারিয়র্স, রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স, জ্যামাইকা তল্লাজ, সেন্ট লুসিয়া জুকস এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো রেড স্টিলের পক্ষে খেলেছেন।
২০১৭ সালে মাইকেল ল্যাম্ব ও ব্রেন্ডন টেলরের দল ত্যাগ করার পর ২০১৮ সালকে ঘিরে তাঁকে দলে খেলার জন্যে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। মৌসুমের প্রথমার্ধ্বে আটটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশ নেন ও ওয়ান-ডে কাপের সবকটিতে খেলেন। জুন মাসের শেষদিকে পুণরায় যোগ দেন। আট খেলা থেকে ৩৩.৭৩ গড়ে ৫০৭ রান তুলেন। এসেক্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৪৬ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, ১৩টি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। লিস্ট-এ ক্রিকেটে আট খেলা থেকে ২৩৫ রান তুলেন।
২০০৬ থেকে ২০২২ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বমোট ১১২ টেস্ট, ২৩৬টি ওডিআই ও ১০২টি টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছেন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে নিজ দেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হন। ১ মার্চ, ২০০৬ তারিখে নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনের সূত্রপাত ঘটান। একই বছরের ২২ ডিসেম্বর ওয়েলিংটনে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি২০আইয়ে প্রথম খেলেন।
২০০৭-০৮ মৌসুমে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ৮ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ১৫ ও ৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/১০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ডেল স্টেইনের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৩৫৮ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ১৬ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন ১৫ রানের সর্বোচ্চ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ১৭ ও ৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ডেল স্টেইনের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে ঐ খেলায় তাঁর দল ইনিংস ও ৫৯ রানের ব্যবধানে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
২০০৮ সালে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের অন্যতম সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ১৫ মে, ২০০৮ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১৯ ও ২০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। দলীয় অধিনায়কের অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
এরপর, একই সফরের ২৩ মে, ২০০৮ তারিখে ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এ পর্যায়ে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১২০ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ১৫৪* ও ১৫ রান সংগ্রহসহ চারটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, মন্টি পানেসারের অসাধারণ বোলিং সাফল্যে সফরকারীরা ৬ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
২০০৮-০৯ মৌসুমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের অন্যতম সদস্যরূপে বাংলাদেশ গমন করেন। ১৭ অক্টোবর, ২০০৮ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১২ ও ৯ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। দলীয় অধিনায়কের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৩ উইকেটে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
২০০৯-১০ মৌসুমে নিজ দেশে মোহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ৩ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। প্রথম ইনিংসে ৪ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ৩০ ও ৯৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, চারটি ক্যাচ হাতের মুঠোয় পুড়েন। তবে, মোহাম্মদ আসিফের অনবদ্য বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১৪১ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
একই মৌসুমে নিজ দেশে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২৭ মার্চ, ২০১০ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টে নাথান হারিৎজের এক ওভার থেকে ২৫ রানের (০,৪,এনবি,১,১,৬,৬,৬) মধ্যে ২৩ রান আদায় করে নেন। জীতেন প্যাটেল ১ রান পেয়েছিলেন। খেলায় তিনি ১৩৮ ও ২২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। মিচেল জনসনের অনবদ্য বোলিং নৈপুণ্যে স্বাগতিক দল ১৭৬ রানে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
২০১১-১২ মৌসুমে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেট খেলেন। এ মৌসুমে কিউই দলের অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। ১ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত সিরিজের একমাত্র টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অংশ নেন। দলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে খেলায় তিনি উভয় ইনিংসে ৭৬ রান করে সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র অসাধারণ অল-রাউন্ড সাফল্যে স্বাগতিকরা ৩৪ রানে পরাজয়বরণ করে।
২০১২-১৩ মৌসুমে কিউই দলের অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ২৫ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে কলম্বোর পিএসএসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কসূলভ অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ১৪২ ও ৭৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় সফরকারীরা ১৬৭ রানে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ করতে সক্ষম হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।
২০১৩ সালে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সাথে ইংল্যান্ড সফরে যান। ২৪ মে, ২০১৩ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৩৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৬ ও ৭০ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। গ্রায়েম সোয়ানের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে সফরকারীরা ২৪৭ রানে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
২০১৩-১৪ মৌসুমে নিজ দেশে ড্যারেন স্যামি’র নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ৩ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখে ডুনেডিনে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী উপহার দেন ও ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১৫৪ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ২১৭* ও ১৬* রান সংগ্রহসহ চারটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তাঁর অনবদ্য ব্যাটিং নৈপুণ্যে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৪-১৫ মৌসুমে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন করেন। ১৭ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে দুবাইয়ের ডিএসসিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। অসাধারণ ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। ২৩ ও ১০৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পাকিস্তান দল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
২০১৯-২০ মৌসুমে নিজ দেশে জো রুটের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৩ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৭০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৫৩ ও ১০৫* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। প্রতিপক্ষীয় অধিনায়কের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।
ট্রেন্ট ব্রিজে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ওডিআইয়ে ১৮১ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন। ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সালে ভারতের বিপক্ষে নিজস্ব শততম টেস্টে অংশ নেন। এরফলে, প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আই – এ তিন স্তরের ক্রিকেটে শততম খেলায় অংশ নেয়ার গৌরবের অধিকারী হন।
২০২১-২২ মৌসুমে নিজ দেশে মমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের মুখোমুখি হন। ১১ জানুয়ারি, ২০২২ তারিখে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে দলের ইনিংস বিজয় শেষে টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেন। ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে শেষ উইকেট লাভের মাধ্যমে সিরিজে নিউজিল্যান্ড দলকে সমতায় আনেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ২৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ১/০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। টম ল্যাথামের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১১৭ রানে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও সন্তানের জনক।