১৬ জুন, ১৯১৪ তারিখে লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৪০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
হেনরি লিওনার্ড অ্যাডামস গ্রিফিথ ও জিন দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন। ক্রিকেট বিশ্বে সর্বাপেক্ষা সুদর্শন খেলোয়াড়ে পরিণত করেন। ডালউইচ কলেজে অধ্যয়নকালে এ ক্রীড়ায় দক্ষতা দেখান ও চার বছর প্রথম একাদশে খেলেন। ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হতেন। রাগবি পঞ্চদশে চার বছর সেন্টার থ্রি-কোয়ার্টার এলাকায় খেলতেন। ১৯৩০-এর দশকের শুরুতে সমসাময়িক ও আজীবনের বন্ধু হিউ বার্টলেটকে নিয়ে ক্রিকেটে ডালউইচের অসাধারণ সফলতায় বিরাট ভূমিকা রেখেছিলেন।
১৯৩৫ সালে ক্রিকেটে কেমব্রিজ থেকে ব্লুধারী হন। পেমব্রুোক কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নকালে বডিলাইন সিরিজের তিন বছর পর সম্পর্কের উত্তরণ ঘটাতে ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরূপে তাঁকে অস্ট্রালাসিয়ায় গমনের জন্যে মনোনীত করা হয়।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও সাসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৩৪ থেকে ১৯৫৪ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন।
১৯৪৮ থেকে ১৯৪৯ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে গাবি অ্যালেনের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সাথে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। জনি ওয়ারডলের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অসাধারণ খেলা উপহার দেন। খেলায় তিনি ১৪০ ও ৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে এফ. জি. মানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ৫ মার্চ, ১৯৪৯ তারিখে জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৫ ও ০ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, উইকেটের পিছনে অবস্থান করে দুইটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দীকরণে অগ্রসর হন। স্বাগতিকরা ৩ উইকেটে পরাভূত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
খেলোয়াড়ী জীবন শেষে প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫০ সময়কালে সাসেক্সের সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সানডে টাইমসের ক্রিকেট সংবাদদাতা ছিলেন। ১৯৫৪ সালে টিডি হন। এছাড়াও, সিবিই ও ডিএফসি পদবীধারী ছিলেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৭৪ সময়কালে এমসিসি’র সম্পাদকের দায়িত্বে থাকাকালীন ‘স্টপ দ্য সেভেন্টি ট্যুর’ প্রচারণায় অংশ নেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ১৯৩৯ সালে বারবারা রেনল্ডস নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। তাঁদের সংসারে এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। পুত্র মাইক গ্রিফিথ পিতার পদাঙ্ক অনুসরণে সাসেক্সের পক্ষাবলম্বন করে ও এমসিসি’র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ৭ এপ্রিল, ১৯৯৩ তারিখে সাসেক্সের ফেলফাম এলাকায় নার্সিং হোমে ৭৮ বছর ২৯৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
