২৩ জুন, ১৯৫৭ তারিখে বুলাওয়েতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের উত্তরণে অসম্ভব ভূমিকা পালন করে গেছেন। জিম্বাবুয়ের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের সূচনালগ্নে সেরা দুইজন ব্যাটসম্যানের অন্যতম হিসেবে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের সাথে চিত্রিত হয়ে আছেন। কাকতালীয়ভাবে উভয়েই উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলেন। তবে, খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে এসে গ্লাভস ছেড়ে দেন। এরপর, শুধুই ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন ও স্লিপ অঞ্চলে শীর্ষ মানসম্পন্ন ফিল্ডারের ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হয়েছেন। খুব সম্ভবতঃ জিম্বাবুয়ে হকি দলের গোলরক্ষক হবার সুবাদে এ দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।

১৯৭৮-৭৯ মৌসুম থেকে ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে রোডেশিয়া, রোডেশিয়া ‘বি’, জিম্বাবুয়ে-রোডেশিয়া, জিম্বাবুয়ে-রোডেশিয়া ‘বি’ ও ম্যাশোনাল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আইসিসি ট্রফিতে অংশ নেন।

১৯৮৩ থেকে ১৯৯৭ সময়কালে জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বমোট ২২ টেস্ট ও ৬৩টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ৯ জুন, ১৯৮৩ তারিখে নটিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। ১৯৮৭ সালে হায়দ্রাবাদে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস উপহার দেন। প্রায় একাকী দলকে জয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ খেলায় তিনি বীরোচিত ১৪২ রান তুলেছিলেন।

পাঁচ বছর পর নিজ দেশের উদ্বোধনী টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে তৎকালীন দূর্বল দল হিসেবে পরিচিত জিম্বাবুয়ের পক্ষে টেস্টে ৪৩ ঊর্ধ্ব গড়ে রান পেয়েছেন। এ পর্যায়ে তাঁর বয়স ছিল ৪০ ঊর্ধ্ব। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে নিজ দেশে মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন ভারত দলের মুখোমুখি হন। ১৮ অক্টোবর, ১৯৯২ তারিখে হারারেতে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সিরিজের একমাত্র টেস্টে জন ট্রাইকোস ব্যতীত অন্য সকলের সাথে তাঁর একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ব্যতিক্রমধর্মী ক্রিকেটীয় মেধার স্বাক্ষর ঐ টেস্টে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে ১২১ ও অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারম্যান (৪৪৭), আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়ান (৪৪০), বাংলাদেশের আমিনুল ইসলামের (৪৩২) পর আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে ৪৩১ পয়েন্ট লাভ করেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়। এরপর থেকে দীর্ঘ সংস্করণের খেলায় ক্রমাগত রান সংগ্রহ করে আসছেন।

অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের অ্যালবারিতে অনুষ্ঠিত নিম্নমূখী রানের খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের বিজয় অর্জনের ন্যায় সেরা অঘটনের নেপথ্যে অবস্থান করে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখেন। ৯০ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে ২৯ রান তুলে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। গ্রুপ পর্বের ঐ খেলায় দল মাত্র ১৩৪ রানে গুটিয়ে গেলেও ৯ রানের নাটকীয় জয় তুলে নেয়।

১৯৯২ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে দলকে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬৬ রান তুলে দুই দশকেরও অধিক সময় ধরে দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। বল সংখ্যার দিক দিয়ে ব্রেন্ডন কুরুপ্পু’র পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ৫২৪ বল মোকাবেলা করে তিনি দ্বি-শতক হাঁকানোর কৃতিত্বের অধিকারী হন। সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের পক্ষে দ্রুততম ১০০০ টেস্ট রান সংগ্রহ করেন। সংক্ষিপ্ত খেলোয়াড়ী জীবনে কোন শূন্য রানে বিদেয় নেননি ও শূন্য রান ছাড়া সর্বাধিক রান সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছেন।

ব্যাট হাতে নিয়ে খেলার গতিধারা অনুযায়ী নিজেকে মেলে ধরতে নিপুণতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে দীর্ঘক্ষণ, রক্ষণাত্মক কিংবা আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলার সক্ষমতা দেখিয়েছেন। দ্রুততার সাথে পদচালনার মাধ্যমে স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে দারুণ খেলতেন, পাশাপাশি পেস বোলিংয়ের বিপক্ষেও রুখে দাঁড়াতেন।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে হকি খেলায় গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরবর্তীতে, উইকেট-রক্ষণের দক্ষতা লাভে বিরাট ভূমিকা রাখে। পাকিস্তান হকি দলের অধিনায়ক কলিমুল্লাহ’র কাছ থেকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা কুড়ান ও সেরা গোলরক্ষকের তকমা লাভ করেন।

১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে নিজ দেশে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ২০ অক্টোবর, ১৯৯৪ তারিখে বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ীয় দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১৩ জানুয়ারি, ১৯৯৬ তারিখে হ্যামিল্টনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২ রান সংগ্রহকালীন সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। উভয় ইনিংসেই ৩১ রান করে সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ক্রিস কেয়ার্নসের অসাধারণ বোলিংশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৩২ ও ১৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দীসহ রান-আউটের সাথে নিজেকে জড়ান। তবে, গাই হুইটলের দূর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। এরপর, ৫ অক্টোবর, ১৯৯৭ তারিখে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেন।

অবসর নেয়ার পর ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হিসেবে টেলিভিশনে যুক্ত ছিলেন এবং কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। শেষদিকে প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সমারসেট দলের সহকারী কোচ ও ব্যাটিং কোচের যৌথ দায়িত্বে ছিলেন। এরপর, ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ার, মিডলসেক্স ও ওরচেস্টারশায়ার দলকে পরিচালনা করার পর জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। তন্মধ্যে, মিডলসেক্সের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৮ সালে ডার্বিশায়ারের ক্রিকেট প্রধান কোচ হিসেবে মনোনীত হন। ডব্লিউজে হটন নামীয় ভ্রাতা প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

Similar Posts

  • |

    জ্যাক হবস

    ১৬ ডিসেম্বর, ১৮৮২ তারিখে কেমব্রিজে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। ইংরেজ ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। প্রথম পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ১৯৫৩ সালে নাইট উপাধীতে ভূষিত হয়েছিলেন। প্রায় ত্রিশ বছর পেশাদারী পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছেন। হার্বার্ট সাটক্লিফ ও লেন হাটনের সাথে তাঁকেও বৈশ্বিকভাবে সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের মর্যাদা দেয়া হয়। ‘দ্য মাস্টার’ নামে পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘ খেলোয়াড়ী জীবনে…

  • | | |

    নামি ডিন

    ২১ জুলাই, ১৮৯৫ তারিখে জুলুল্যান্ডের এশোই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ও কার্যকর বোলিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, দক্ষ ফিল্ডার হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছিলেন। পয়েন্ট, সিলি-পয়েন্ট, মিড-অন ও শর্ট-লেগের ন্যায় কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করতেন। আকর্ষণীয় ধাঁচে ব্যাটিং করতেন। উইকেটে…

  • | | |

    রয় ডায়াস

    ১৮ অক্টোবর, ১৯৫২ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, রেফারি ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৯১-৯২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে কলম্বো ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৭৯ থেকে…

  • |

    টিচ ওয়েসলি

    ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৭ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় দলের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম…

  • |

    জন ট্রাইকোস

    ১৭ মে, ১৯৪৭ তারিখে মিশরের জাগাজিগ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। সুনিয়ন্ত্রিত পন্থায় নিখুঁত অফ-স্পিনার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্যতম অপ্রত্যাশিত খেলোয়াড়দের অন্যতম ছিলেন। পিতা-মাতা গ্রীক বংশোদ্ভূত ছিলেন ও ১৯৪৮ সালে…

  • | |

    হান্সি ক্রোনিয়ে

    ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের ব্লোমফন্তেইনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতার স্বাক্ষর রেখেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ফ্রি স্টেট ও…