| | | |

ইয়ান বোথাম

২৪ নভেম্বর, ১৯৫৫ তারিখে চেশায়ারের ওল্ডফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, প্রশাসক ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হতেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী ইয়ান বোথাম ‘বিফি’, ‘বোথ’ কিংবা ‘গাই’ ডাকনামে পরিচিত ছিলেন। ইয়ুভিলভিত্তিক বাকলার্স মিড সেকেন্ডারি স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৯৩ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম, সমারসেট ও ওরচেস্টারশায়ার এবং অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

১৯৮০-এর দশকে পাকিস্তানের ইমরান খান, নিউজিল্যান্ডের রিচার্ড হ্যাডলি ও ভারতের কপিল দেবের সাথে বিশ্বের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডারের স্বীকৃতি লাভ করেছেন। বড় ধরনের শক্তিশালী, কার্যকর, দক্ষতার অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বলকে মোকাবেলা করতেন। চাতুর্যতাপূর্ণ সিম বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন। অবশ্য, সংখ্যাগত দিক দিয়ে স্যার গারফিল্ড সোবার্সের সাথে একইমানের নন। তবে, টেস্টে ১৪ শতক সহযোগে সংগৃহীত ৫২০০ রান ও ৩৮০ উইকেট লাভের মাধ্যমে ক্রিকেটের সেরাদের কাতারে নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছেন। পাশাপাশি, ১০০ ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন।

অ্যালেন ডেভিডসনের পর দ্বিতীয় অল-রাউন্ডার হিসেবে টেস্টে শতক ও ১০ উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। পরবর্তীতে, জানুয়ারি, ১৯৮৩ সালে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের ইমরান খান ১১৭ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ৬/৯৮ ও ৫/৮২ লাভের পর নভেম্বর, ২০১৪ সালে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান খুলনায় সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৩ রান সংগ্রহসহ ৫/৮০ ও ৫/৪৪ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে এ তালিকায় তাঁর সাথে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। টেস্টের ঊনিশজন শীর্ষ অল-রাউন্ডারের অন্যতম হিসেবে ২০০ উইকেট ও ৩০০০ রানের ন্যায় ‘ডাবল’ লাভের অধিকারী।

১৯৭৬ থেকে ১৯৯২ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সব মিলিয়ে ১০২ টেস্ট ও ১১৬টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ২৬ আগস্ট, ১৯৭৬ তারিখে স্কারবোরায় অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে বর্ণাঢ্যময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনের সূত্রপাত ঘটান। ১৯৭৭ সালে নিজ দেশে গ্রেগ চ্যাপেলের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২৮ জুলাই, ১৯৭৭ তারিখে নটিংহামে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৫/৭৪ ও ০/৬০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেট খেলেন। এ মৌসুমে জিওফ বয়কটের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৭ ও ১৯ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে রিচার্ড হ্যাডলি’র শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, ২/২৭ ও ২/১৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ঐ টেস্টে ইংল্যান্ড দল প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাভূত করেছিল। ৭২ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সফরকারীরা পিছিয়ে পড়ে।

১৯৭৮ সালে নিজ দেশে ওয়াসিম বারি’র নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ১৫ জুন, ১৯৭৮ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। প্রথম ইনিংসে মনোমুগ্ধকর শতক হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন। দলের সংগ্রহ ১৩৪/৫ থাকাকালে মাঠে নেমে মাত্র ১১০ বল মোকাবেলা করে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে ৩৬৪ রানে নিয়ে যেতে যথোচিত ভূমিকা রাখেন। দ্বিতীয় স্কোর সংগ্রহকালীন মাউন্ড স্ট্যান্ডে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের উপস্থিতির কথা দর্শকদের জানান দেন। দ্বিতীয় দিনের শেষ ওভারে শতরানে পৌঁছেন। ততক্ষণে দল নিরাপদ অবস্থানে চলে যায়। প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে গেলেও তিনি কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ বিস্ময়কর ও অবিশ্বাস্য ৮/৩৪ লাভ করে প্রতিপক্ষকে ১২০ রানে গুটিয়ে ফেলতে সহায়তা করেন। তাঁর অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে স্বাগতিক দল ইনিংস ও ১২০ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এরপূর্বে টেস্টে এ ধরনের অল-রাউন্ড সফলতা দেখা যায়নি।

একই বছর নিজ দেশে মার্ক বার্জেসের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৪ আগস্ট, ১৯৭৮ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২১ রান সংগ্রহ করলেও ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। ২১ রানের কোটা স্পর্শ করে টেস্টে ৫০০ রান তুলেন। এছাড়াও, ৬/১০১ ও ৫/৩৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, জিওফ হাওয়ার্থের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তা ও প্রাণান্তঃকর প্রয়াস চালানো সত্ত্বেও সফরকারীরা ৭ উইকেটে পরাভূত হলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

১৯৭৯ সালে নিজ দেশে শ্রীনিবাস বেঙ্কটরাঘবনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ৩০ আগস্ট, ১৯৭৯ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৩৮ ও ০ রান সংগ্রহসহ চারটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, ৪/৬৫ ও ৩/৯৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সুনীল গাভাস্কার দ্বি-শতক হাঁকানো সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।

১৯৮০ সালে দলের সাথে ভারত গমন করেন। বোম্বে টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ১০৬ রান খরচায় ১৩ উইকেট দখল করেন।

টেস্ট রেকর্ডের সাথে খেলার গতিধারা পরিবর্তনেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার ছিল। ১৯৮১ সালের অ্যাশেজ সিরিজের মাধ্যমে এ ধারা শুরু করেন। ‘বোথামের অ্যাশেজ’ নামে ঐ সিরিজটি ব্যাপক পরিচিতি পায়। ঐ বছর নিজ দেশে কিম হিউজের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ব্যাটিং ও বোলিংয়ের অনিন্দ্যসুন্দর নিদর্শনের কীর্তিগাঁথা রচনা করে ইংল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজে জয় এনে দেন। তবে, পিঠের সমস্যার পাশাপাশি শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে তাঁকে খেলার জগৎ থেকে দূরে থাকতে হয়েছে।

৩০ জুলাই, ১৯৮১ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১/৬৪ ও ৫/১১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ২৬ ও ৩ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে সাথে নিজেকে জড়ান। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড কৃতিত্বে স্বাগতিকরা ২৯ রানে জয় পেলে ছয়-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

এরপর, ১৩ আগস্ট, ১৯৮১ তারিখে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম টেস্টে অংশ নেন। অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যের ছাঁপ রাখেন। খেলায় তিনি ০ ও ১১৮ রান সংগ্রহসহ চারটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, ৩/২৮ ও ২/৮৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ১০৩ রানে পরাভূত হলে ছয়-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

১৯৮৩ সালে নিজ দেশে জিওফ হাওয়ার্থের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৫ আগস্ট, ১৯৮৩ তারিখে নটিংহামে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে পৌঁছানোকালে ৩৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ১০৩ ও ২৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ১/৩৩ ও ০/৭৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। নিক কুকের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যের কল্যাণে সফরকারীরা ১৬৫ রানে জয় পেলে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

১৯৮৪ সালে নিজ দেশে দিলীপ মেন্ডিসের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ২৩ আগস্ট, ১৯৮৪ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। ১/১১৪ ও ৬/৯০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, দলের একমাত্র ইনিংসে ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, সিদাথ ওয়েতিমুনি’র অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীতে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়।

১৯৯২ সালে নিজ দেশে জাভেদ মিয়াঁদাদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ১৮ জুন, ১৯৯২ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২ ও ৬ রান সংগ্রহ করে উভয় ক্ষেত্রে ওয়াকার ইউনুসের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, ওয়াসিম আকরামের অনবদ্য অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা ২ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্ট খেলেন।

১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ সেরা খেলা উপহার দেন। নিখুঁত সিম বোলিং করেন ও নিয়মিতভাবে উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান।

মাঠের বাইরে বিতর্কিত ও উজ্জ্বীবনী – উভয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ইংরেজ ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যরূপে যুক্ত থেকে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়াও, জিওফ বয়কট, ইয়ান চ্যাপেলের ন্যায় ক্রিকেটার ও কোচ ডানকান ফ্লেচারের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হন। তাসত্ত্বেও, দাতব্য তহবিল গঠনে তাঁর ভূমিকা বেশ প্রশংসনীয় ছিল ও রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীদের সহায়তাকল্পে কয়েক মিলিয়ন পাউন্ডের তহবিল গড়েন। ২০০৭ সালে ক্রিকেট মাঠে ও মাঠের বাইরে তাঁর অনন্য সাধারণ ভূমিকা গ্রহণের স্বীকৃতিস্বরূপ রাণী কর্তৃক নাইটহুড পদবীতে ভূষিত হন।

১৯৭৮ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন। মাইক হুইটনি তাঁর সেরা একাদশে তাঁকে ঠাঁই দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মাইক হুইটনি মন্তব্য করেন যে, উইকেট লাভের স্বার্থে তিনি বলে পেস পরিবর্তন করতেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। এলজে বোথাম নামীয় সন্তান রয়েছে।

Similar Posts

  • |

    আতিফ রউফ

    ৩ মার্চ, ১৯৬৪ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। ১৯৯০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮০-৮১ মৌসুম থেকে ২০০১-০২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে পাকিস্তান এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইসলামাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন…

  • | | | |

    সন্দীপ পাতিল

    ১৮ আগস্ট, ১৯৫৬ তারিখে মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, রেফারি, প্রশাসক ও কোচ। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশ…

  • | | |

    কেন রাদারফোর্ড

    ২৬ অক্টোবর, ১৯৬৫ তারিখে ওতাগোর ডুনেডিনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও কোচ। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওতাগো এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেংয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তন্মধ্যে, গটেং…

  • |

    ব্যাসিল গ্রিভ

    ২৮ মে, ১৮৬৪ তারিখে মিডলসেক্সের কিলবার্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৮৮০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। হ্যারো স্কুলে অধ্যয়ন করেছিলেন। ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পেশায় পানশালা পরিচালনা করতেন। হ্যারোর পক্ষে বোলার হিসেবে বেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখেন।…

  • | | |

    পমি এমবাঙ্গা

    ২৬ জুন, ১৯৭৬ তারিখে মাতাবেলেল্যান্ডের প্লামট্রি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্রিকেটের সাথে পারিবারের কোন সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও বেশ প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। আধুনিক যুগের অন্যতম ক্রেতাদূরস্ত টেলিভিশন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ…

  • | | |

    ডেভিড গাওয়ার

    ১ এপ্রিল, ১৯৫৭ তারিখে কেন্টের টানব্রিজ ওয়েলসে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘স্টোট’, ‘লুবো’ কিংবা ‘লু’ ডাকনামে পরিচিত ডেভিড গাওয়ার ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। ক্যান্টারবারির কিংস স্কুলে অধ্যয়ন করেন। অতঃপর, লন্ডনভিত্তিক ইউনিভার্সিটি…