| |

শোয়েব মালিক

১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে পাঞ্জাবের শিয়ালকোটে জন্মগ্রহণকারী মৃদুভাষী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

খাঁটি মানসম্পন্ন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। সকল ক্ষেত্রেই পারদর্শী হলেও কোনটিতেই প্রভূত্ব দেখাতে পারেননি। প্রায় দুই দশক খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। শুরুতে অফ-স্পিনার হিসেবে অংশ নেন। পরবর্তীকালে পাকিস্তানের সীমিত-ওভারের খেলায় সর্বাপক্ষো নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানে রূপান্তরিত হন। ক্রিকেটের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ভূমিকা রেখেছেন। তবে, তাঁর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও সেরা ভূমিকা কি ছিল তা ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা নিশ্চিত হতে পারেননি।

সাবেক দলীয় সঙ্গী ও অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি’র ন্যায় পাকিস্তানের প্রধান অল-রাউন্ডার। ডানহাতে মাঝারিসারিতে বিশ্বস্ত ব্যাটিং ও ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করে সমানে ধ্বংসাত্মক ভূমিকার স্বাক্ষর রাখেন। শুরুতে তাঁকে কেবলমাত্র অফ-ব্রেক বোলার হিসেবেই দলে রাখা হয়েছিল। এ পর্যায়ে তাঁর বোলিংয়ের ধরন অনেকাংশেই সাকলাইন মুশতাকের অনুরূপ ছিল। পরবর্তীতে তাঁর মাঝে ব্যাটিং প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ব্যাটসম্যান হিসেবে কিছু কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন। টেস্ট ও ওডিআইয়ে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। সীমিত-ওভারের খেলায় প্রথম উইকেটের পর মাঠে নেমে খেলার গতিধারাকে পরিবর্তন করতে পারতেন। নিচেরসারিতে বিপজ্জ্বনকভাবে খেলতেন। টি২০ খেলায় যে-কোন অবস্থানে নেমে বিধ্বংসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। বোলিং ভঙ্গীমায় প্রশ্নবিদ্ধতার কবলে পড়লেও ব্যাটিংয়ে এর কোন প্রভাব পড়েনি। পাকিস্তানের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, পাকিস্তানের অন্যতম সেরা টি২০ খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। বিবিএলের চতুর্থ আসরে হোবার্ট হারিকেন্সের পক্ষে খেলেছেন। শিয়ালকোট স্ট্যালিয়ন্সের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

ক্রিকেটের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ার পূর্বে শৈশবে পাড়ার খেলায় টেপ-বল ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে শিয়ালকোটে ইমরান খানের পরিচালনায় কোচিং সেন্টারে যুক্ত হবার পর তাঁর মাঝে প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর লক্ষ্য করা যায়। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে থাকেন ও পরবর্তীতে বোলিং কর্মে অগ্রসর হয়েছেন। যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৫ দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। বোলিংয়ে দক্ষতার কারণে তাঁকে দলের সদস্য করা হয়েছিল।

১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০১৭-১৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে – মধ্য পাঞ্জাব, গুজরানওয়ালা, গুজরানওয়ালা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, নর্থ ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স-বালুচিস্তান, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, পাকিস্তান রিজার্ভস, পাঞ্জাব, শিয়ালকোট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, শিয়ালকোট রিজিওন, সুই নর্দার্ন গ্যাস কর্পোরেশন ও জারাই তারাকিয়াতি ব্যাংক লিমিটেড, ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার ও ওয়ারউইকশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, এশিয়া একাদশ, আইসিসি বিশ্ব একাদশ, বার্বাডোস ট্রাইডেন্টস, চিটাগং ভাইকিংস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স, হোবার্ট হারিকেন্স, জাফনা স্ট্যালিয়ন্স, করাচী কিংস, করাচী হোয়াইটস, খাইবার-পাখতুনখোয়া ফাইটার্স, মুলতান সুলতান্স, পাকিস্তান মাস্টার্স, পেশাওয়ার জালমি, পাঞ্জাব বাদশাহ, পাঞ্জাব স্ট্যালিয়ন্স, রাজশাহী রয়্যালস, ইউভা নেক্সট ও ভ্যাঙ্কুভার নাইটসের পক্ষে খেলেছেন।

১৯৯৯ সাল থেকে পাকিস্তানের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ১৭ বছর বয়সে ১৪ অক্টোবর, ১৯৯৯ তারিখে শারজায় কোকা কোলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনে প্রবেশ করেন। শ্রীলঙ্কার অংশগ্রহণে ১৯৯৯ সালের ত্রি-দেশীয় ঐ প্রতিযোগিতায় শহীদ আফ্রিদি’র স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। ব্যাটিংয়ে নামার পূর্বে অভিষেক খেলা থেকে দুই উইকেটের সন্ধান পেয়েছিলেন। ব্যাট হাতে নিয়ে মাঠে নামার প্রয়োজন পড়েনি। শেরউইন ক্যাম্পবেল ও ক্রমশঃ বিপজ্জ্বনক হয়ে উঠা রিকার্ডো পাওয়েলকে বিদেয় করেছিলেন। পাঁচ খেলার সবকটিতেই অংশ নেন ও দলের সফলতায় বিরাট ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও, মিতব্যয়ী বোলিংয়ের মাধ্যমে আরও একজন উদীয়মান অল-রাউন্ডারের আবির্ভাবের কথা জানান দেন।

সময়ের সাথে সাথে তাঁর ব্যাটিংয়ের আশানুরূপ উত্তরণ ঘটলে প্রথমবারের মতো চার নম্বর অবস্থানে খেলানো হয়। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শারজায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মনোরম শতক হাঁকান। কয়েক খেলা পর তাঁকে ইনিংস উদ্বোধনের সুযোগ দেয়া হয়। লাহোরে কিউইদের বিপক্ষে দূর্দান্ত শতরানের ইনিংস খেলেন। পাশাপাশি বোলিংয়েও সাফল্য পেতে থাকেন।

২০০০-এর দশকে সীমিত-ওভারের ক্রিকেটে উত্তরোত্তর সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। দর্শনীয় ব্যাটিংয়ের চেয়ে বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগেই অগ্রসর হয়েছেন বেশী। ফাঁকা স্থানে বল ফেলে দ্রুত রান তুলতে তৎপরতা দেখান ও শেষদিকের ওভারগুলোয় নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট হন। ওডিআইয়ে ইনিংসের সূচনা থেকে শুরু করে দশ নম্বর অবস্থানেও ব্যাট হাতে মাঠে নামেন। খাঁটি মানসম্পন্ন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হলেও তিন নম্বর অবস্থানে নির্ভরযোগ্য এবং মাঝারিসারিতে ইনিংসের ভিত্তি আনয়ণে সচেষ্ট ছিলেন। নতুন শতাব্দীতে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা অবদানকারী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটবার ইনিংসে অর্ধ-শতক ও তিন-উইকেট পেয়েছেন।

প্রতিশ্রুতিশীল অল-রাউন্ডার হিসেবে তাঁর উত্থান ঘটলেও ২০০১ সালে বোলিং ভঙ্গীমা নিয়ে বিতর্কের কবলে পড়েন। ১১ মে, ২০০১ তারিখে আইসিসি থেকে তাঁর বোলিং ভঙ্গীমার ভিডিওচিত্র পিসিবি’র বোলিং পরামর্শক দল পরীক্ষা করে। বোর্ড থেকে তাঁর অফ-ব্রেকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও দুসরার বিষয়ে সাবেক স্পিনার ও আম্পায়ার মোহাম্মদ নাজির জুনিয়রের সাথে প্রশিক্ষণের জন্যে সুপারিশ করে। অক্টোবর, ২০০৪ সালে আরও একবার সন্দেহের কবলে পড়েন ও মে, ২০০৬ সালে দুই বছর পূর্বেকার দূর্ঘটনার শিকারের পরিণত হলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে। বোলিং করা থেকে যদি তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় তাহলেও তিনি চমৎকার ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন ও টেস্টে পাঁচটি অবস্থানে খেলেছেন। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১১ নম্বর ব্যতীত সকল অবস্থানে খেলেছেন। টেস্ট ও ওডিআইয়ে পাকিস্তানের উপযুক্ত খেলোয়াড়ের সন্ধান না পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন।

সাদা-বলের খেলায় দারুণ খেললেও টেস্টে তেমন সুবিধে করতে পারেননি। ২০০১ সালে টেস্টে অভিষেকের পর থেকে ২০১৫ সালের শেষদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার পর অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত মাঝে-মধ্যে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।

২০০১-০২ সালে নিজ দেশে নাইমুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের মুখোমুখি হন। ২৯ আগস্ট, ২০০১ তারিখে মুলতানে অনুষ্ঠিত সফররত বাংলাদেশের বিপক্ষে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম খেলায় অংশ নেন। তৌফিক উমরের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ব্যাট হাতে মাঠে নামার সুযোগ না পেলেও প্রথম ইনিংসে দুই উইকেট লাভ করেছিলেন। তবে, দানিশ কানেরিয়া’র অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২৬৪ রানে জয় পায়।

টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে শঙ্কা বেজে উঠে। অভিষেকের ৫ বছর পর নিজস্ব প্রথম টেস্ট শতককে পরবর্তীতে দ্বি-শতকে রূপান্তর করেছিলেন। কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে এ সাফল্য পান। কিন্তু তৃতীয় টেস্টে এ স্তরের খেলা ছেড়ে দিয়ে ক্ষুদ্রতর সংস্করণের ক্রিকেটের দিকে মনোনিবেশ ঘটানোর কথা ঘোষণা করেন। ঐ সিরিজে দ্বি-শতক রান সংগ্রহ ও দুইবার শূন্য রান সংগ্রহের বিষয়টি বেশ আলোচনার রসদ জোগায়। ধারাবাহিকতা না থাকলেও টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবেই তাঁকে দেখা হয়।

৩০ মার্চ, ২০০৬ তারিখে এসএসসিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। ৪৫৮ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে ৩৬৯ বলে ১৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন। পুরোদিন ব্যাটিং করে দলকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেন ও ড্রয়ে পরিণত করেন। অংশগ্রহণকৃত টেস্টগুলো থেকে সংগৃহীত তিনটি শতকের এটি প্রথম ছিল। কিন্তু, সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে জয় পেয়ে সিরিজ বিজয় নিশ্চিত করতে সমর্থ হয় পাকিস্তান দল। তবে, ক্রিকেটের মূল কেন্দ্রবিন্দু টেস্টে ৩৫.১৪ গড়ে রান নিয়ে খেলোয়াড়ী জীবন শেষের বিষয়টি তাঁর বড় ধরনের ব্যর্থতা হিসেবেই চিত্রিত করা হয়ে থাকে।

২০০৩-০৪ মৌসুমে ব্যক্তিগত স্বর্ণালী মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪১ বল থেকে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তন্মধ্যে, এক পর্যায়ে ৭ বল থেকে ৩৮ রান তুলেছিলেন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ বিজয়ে নেতৃত্ব দেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে শতক হাঁকান।

১৮ জুলাই, ২০০৪ তারিখে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে দারুণ খেলেন। ৪/১৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। পরবর্তীতে এটিই তাঁর সেরা বোলিং পরিসংখ্যানে পরিণত হয়। কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে নিয়েও সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ১১০ বলে ১১৮ রান তুলেন তিনি। ডি/এল পদ্ধতির কল্যাণে তাঁর দল ১৪৩ রানে বিজয়ী হয়। এরপর, ২৫ জুলাই, ২০০৪ তারিখেও নিজের সেরা খেলা প্রদর্শনে সোচ্চার হন। প্রেমাদাসায় এশিয়া কাপের লীগের খেলায় ভারতের বিপক্ষে আরও একটি শতক হাঁকান। ১২৭ বল মোকাবেলান্তে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৪৩ রান তুলেন। দলকে ৫৯ রানের ব্যবধানে জয়লাভে সহায়তা করেন। সবমিলিয়ে ঐ প্রতিযোগিতায় ৩১৬ রান তুলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন।

২ মে, ২০০৫ তারিখে শিয়ালকোট স্ট্যালিয়ন্স ও করাচী জেব্রাসের মধ্যকার খেলায় ইচ্ছাকৃতভাবে পরাজিত হবার কারণে এক টেস্টে অংশগ্রহণ করা থেকে নিষেধপ্রাপ্ত হন। খেলায় শিয়ালকোট পরাজিত হলে লাহোর ঈগলস ঐ প্রতিযোগিতা থেকে বিদেয় নেয়। এরফলে, বার্বাডোসে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নিতে পারেননি। ১০ মে, ২০০৫ তারিখে সন্দেহজনক বোলিং ভঙ্গীমা থেকে মুক্তি পান। পূর্বেকার মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়া ইন্সটিটিউটে প্রেরণের পর মুক্তিবার্তা লাভ করেন। ঐ প্রতিবেদনে তাঁর বাহু বাঁকানোর মাত্র ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ছিল।

জুলাই, ২০০৩ সালে গ্লুচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেন। দূর্দান্ত খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৪ সাল পর্যন্ত তাঁর চুক্তি নবায়ণ করা হয়। দুই মৌসুমে আটটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে দুইটি অর্ধ-শতক সহযোগে ১৭.৮৩ গড়ে ২১৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৪৫.০৬ গড়ে ১৫ উইকেট দখল করেন। ব্যক্তিগত সেরা করেন ৩/৭৬। টি২০ খেলার জন্যে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। তবে, ২০১০ সালের এশিয়া কাপে খেলার জন্যে মনোনীত হলে তিনি বাদ পড়েন। এছাড়াও, আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের পক্ষে খেলেছেন।

সাদা-বলের ন্যায় তেমন সফলতা না পেলেও প্রখর রৌদ্রকিরণেও বিরাট ভূমিকা রেখেছেন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে এসএসসিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরনের ন্যায় বোলারদের রুখে দিয়ে চারটি অধিবেশনের অধিক সময় ব্যাটিং করেন। এ পর্যায়ে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১৪৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ত্যাগ করেছিলেন। সারাদিন ব্যাটিং করে দলকে রক্ষা করেছিলেন। চার বছর পর একই মাঠে রঙ্গনা হেরাথের বোলিংকে পাশ কাটিয়ে ২৪০ বলে ১৩৪ রানের মনোমুগ্ধকর ইনিংস উপহার দেন।

সবগুলো টেস্ট শতকই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছেন। সংগৃহীত তিনটি শতরানের সবকটিই দলকে ড্রয়ের দিকে নিয়ে যায়। ওডিআইয়ে নয়টি শতরান পেয়েছেন। তন্মধ্যে, চারটিই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন। টি২০আইয়ে আটটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেছেন। ২৮ আগস্ট, ২০০৬ তারিখে ব্রিস্টলে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শহীদ আফ্রিদি’র সাথে একযোগে টি২০আইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়।

১৯ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে ২৫ বছর বয়সে পাকিস্তানের অধিনায়কের জন্যে মনোনীত হন। এরফলে, পাকিস্তানের চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজে জয় পান। শ্রীলঙ্কাকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে তাঁর দল। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে পরবর্তীতে দুই সিরিজে পাকিস্তান দল পাজিত হয়। দুই বছর অধিনায়কের দায়িত্বে থাকাকালে ৩৬টি ওডিআইয়ে ২৪টি এবং ১৭টি টি২০আইয়ের ১২টিতে তাঁর দল জয় পায়। তবে, টেস্টে মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। তিন টেস্টের মাত্র একটিতে ড্রয়ের সন্ধান পায় ও দুইটিতে পরাজিত হয়।

২০০৯ সালে ইউনুস খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের অন্যতম সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ২০ জুলাই, ২০০৯ তারিখে কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ৪৫ ও ১৩৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ১/৩৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, কুমার সাঙ্গাকারা’র ব্যাটিং সাফল্যে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজে জয় পায়।

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে পুণরায় ঝড় তুলেন। প্রিয় প্রতিপক্ষ ভারতের বিপক্ষে নিজস্ব চতুর্থ ওডিআই শতক হাঁকান। একই মাঠে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান পরাভূত হলেও এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলায় ভারতকে ৫৪ রানে পরাজিত করেছিল।

২০১৫-১৬ মৌসুমে মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন করেন। আবুধাবি টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ২৪৫ রান তুলেন। ১ নভেম্বর, ২০১৫ তারিখে শারজায় অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ৩৮ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৪/৩৩ ও ৩/২৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পাকিস্তান দল ১২৭ রানে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

এ সিরিজ শেষে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাকে লক্ষ্য রেখে দীর্ঘ সংস্করণের খেলা থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। এছাড়াও, ২/৯৭ ও ২/২৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ১ নভেম্বর, ২০১৫ তারিখে শারজায় অনুষ্ঠিত নিজস্ব শেষ টেস্টে ৪/৩৩ ও ৩/২৬ পান। এরপর থেকে ক্ষুদ্রতর সংস্করণের খেলাগুলোয় পাকিস্তান দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিলেন। ২০১৫ সালে ওডিআইয়ে ৬৭.৪৪ গড়ে ৬০৭ রান পেয়েছেন। অপরদিকে, টি২০আইয়ে ২১৯ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ১৫.২৮ গড়ে ৭ উইকেট দখল করেন। ২০১৭ সালেও উভয় স্তরের ক্রিকেটে একই ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যায়।

ওডিআইয়ে ব্যাটিং গড় ৩৫-এর কাছাকাছি থাকলেও ভারতের বিপক্ষে ৪৯-এর অধিক গড়ে রান সংগ্রহ করেছিলেন। তন্মধ্যে, ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ৭৫, ৬৫, ৪১, ৯০, ৯৫ ও ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। শেষ তিনটি ইনিংস ৬ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ তারিখে নিজ দেশে খেলেন। তাসত্ত্বেও, তিনটির মধ্যে দুইটিতে পাকিস্তান দল পরাজিত হয়েছিল। ঐ দশকের শেষদিকে উপর্যুপরী শতক হাঁকিয়েছিলেন। শীর্ষ তিনটি ওডিআই ইনিংসই ভারতের বিপক্ষে করেছেন। ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত কলম্বোর মাঠে ১৪৩ রান পেয়েছেন। ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়নে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলায় মনোরম ১২৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

অফ-ব্রেক বোলিং করলেও সর্বদা সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারতেন না। তবে, ওডিআইয়ে ওভারপ্রতি ৫-এর নীচে ও টি২০আইয়ে ৭ রান দিয়েছেন। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দলের বিপর্যয়কর ফলাফলের প্রেক্ষিতে ইনজামাম-উল-হককে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ১৯ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে পিসিবি কর্তৃপক্ষ টেস্ট ও ওডিআইয়ে তাঁকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়। এরফলে, পাকিস্তানের ২৫তম খেলোয়াড় হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পান। বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আসরে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৭ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দলের প্রথম খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে উদ্বোধনী খেলায় ৫৪ বলে ৬২ রান তুলেছিলেন। দলের সর্বোচ্চ রান তুললেও দল ৫৪ রানে পরাভূত হয়েছিল।

২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। আঠারো মাসব্যাপী ওডিআই অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তবে, লাহোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বাপেক্ষা শোচনীয় পরাজয়ের খেসারত গুণতে হয় ও ২৭ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে এ দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ইউনুস খানকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়। তাসত্ত্বেও, প্রয়াত বব উলমারের কাছ থেকে তাঁর উচ্চমানের ক্রিকেটীয় প্রতিভার কথা সর্বদাই উচ্চারিত হতো। কিন্তু, দলের জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়দের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখতে পারেননি। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রায়শঃই আলোচিত হতো।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। ১২টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়ে মাত্র ৮.১৬ গড়ে রান পেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে ওডিআইয়ে পাঁচবার ম্যান অব দ্য সিরিজ ও আঠারোবার ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেছিলেন।

তাঁর খেলোয়াড়ী জীবন ধারাবাহিক ছিল না। ২০০১ সালে তাঁর বোলিং ভঙ্গীমা নিয়ে প্রথম অভিযোগ আসে। এরপর, ক্যাচ তালুবন্দীকালীন ডান কাঁধে ফাঁটল ধরা পড়ে। ২০০৪ সালে পুণরায় আইসিসিতে প্রতিবেদনে সম্ভাব্য ত্রুটিপূর্ণ বোলিং ভঙ্গীমার কথা তুলে ধরা হয়। আট মাস পর তিনি ছাড়পত্র পান। এরফলে, সীমিত পর্যায়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। তবে, সীমিত-ওভারের খেলায় তাঁর ব্যাটিংয়ের মান যথেষ্ট ভালো ছিল। বোলিংয়ের ধরন পরিবর্তনে খেলায় কিঞ্চিৎ বিরূপ প্রভাব ফেলে। ২০০৫ সালে খেলায় পরাজয়ের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন এক টেস্টের জন্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত হন।

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে পাকিস্তান দলের টি২০ অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিকে দুই খেলায় অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞার ফলে মেলবোর্নে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটিমাত্র টি২০আইয়ে দলকে নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও, দুবাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০ আন্তর্জাতিকের উভয়টিতে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন।

২০০৯-১০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় বিপর্যয়কর ফলাফলের পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়দের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হবার কারণে ১০ মার্চ, ২০১০ তারিখে এক বছরের জন্যে জাতীয় দলে অংশগ্রহণের উপর নিষিদ্ধতার কবলে পড়েন ও দুই মিলিয়ন রূপী জরিমানা ধার্য্য করা হয়। তবে, কয়েক মাস পরই প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতার পর দুই বছর ওডিআই দলের বাইরে ছিলেন। এ পর্যায়ে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর সংস্করণের খেলার সাথে যুক্ত ছিলেন না। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। পিএসএলে করাচী কিংস, বিবিএল ও সিপিএলে যথাক্রমে হোবার্ট হারিকেন্স ও বার্বাডোস ট্রাইডেন্টসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১১ নভেম্বর, ২০২০ তারিখে নিউজিল্যান্ড গমনার্থে ৩৫-সদস্যের পাকিস্তানী দল থেকে আসাদ শফিক ও মোহাম্মদ আমিরের সাথে তাঁকেও বাদ দেয়া হয়। ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে এলপিএলের উদ্বোধনী আসরে থিসারা পেরেরাকে সাথে নিয়ে স্ট্যালিয়ন্সের শিরোপা বিজয়ে নেতৃত্ব দেন।

২০১০ সালে ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা’র সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। এ সূত্র ধরে গুলাম আহমেদ ও আসিফ ইকবালের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ফলশ্রুতিতে, একই পরিবারের তিনজন টেস্ট অধিনায়কত্ব করার অধিকারী হন। এছাড়াও, তাঁর ভ্রাতা আদিল মালিক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

Similar Posts

  • |

    লেসলি গে

    ২৪ মার্চ, ১৮৭১ তারিখে সাসেক্সের ব্রাইটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ফুটবলার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার ও সমারসেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেছেন। ১৮৯১ থেকে ১৯০৪ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন।…

  • |

    ফ্রেড মার্টিন

    ১২ অক্টোবর, ১৮৬১ তারিখে কেন্টের ডার্টফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ‘নাটি’ ডাকনামে পরিচিত ফ্রেডরিক মার্টিনকে ‘নাটি মার্টিন’রূপে পরিচিতি ঘটানো হয়েছে। ১৮৮৫ থেকে ১৯০০ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি…

  • |

    শহীদ মাহমুদ

    ১৭ মার্চ, ১৯৩৯ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন ও বামহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বামহাতে ব্যাটিং উদ্বোধন করতেন ও কার্যকর মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন।…

  • |

    প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা

    ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। ২০১৫-১৬ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়াও, বেলারি তুস্কার্স, ভারত ‘এ’, কলকাতা নাইট…

  • চার্লি অ্যাবসলম

    ৭ জুন, ১৮৪৬ তারিখে কেন্টের ব্ল্যাকহিদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হতেন। ১৮৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। এডওয়ার্ড অ্যাবসলম ও এলিজাবেথ অ্যাবসলম দম্পতির সন্তান ছিলেন। পিতা সস্ত্রীক তিন পুত্র ও দুই কন্যাকে নিয়ে গ্রীনিচে বসবাস…

  • |

    কলিন ম্যাককুল

    ৯ ডিসেম্বর, ১৯১৬ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্যাডিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও লেখক ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, স্লিপ অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডিং করতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৩৯-৪০ মৌসুম থেকে ১৯৬০ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ…