| |

সাকলাইন মুশতাক

২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭৬ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

বিশ্বের সেরা স্পিনারদের অন্যতম ছিলেন। স্পিনের উপর তাঁর অসম্ভব নিয়ন্ত্রণ ছিল। দুসরার জন্যে সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। ব্যাটসম্যানের কাছে বেশ দূর থেকে অফ-স্পিনারের ন্যায় ভঙ্গীমা প্রদর্শন করতেন। দ্রুতলয়ে কয়েক কদম পাড়ি দিয়ে দৃশ্যতঃ নো-বল করার ন্যায় বল ফেলতেন। সর্বোপরি, প্রথমদিকের অন্যতম স্পিনার হিসেবে ব্যাটসম্যানদেরকে বিভ্রান্তিতে ফেলে একমুখী স্পিনের পরিবর্তে ভিন্নমুখী স্পিন করার পন্থার প্রচলন ঘটান। তবে, ব্যাট হাতে তিনি মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। তাসত্ত্বেও বোলিংয়ের কল্যাণে নয় বছরের অধিক জাতীয় দলের পক্ষে খেলেছিলেন।

কিছুটা দ্রুতলয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হন ও বল ফেলার পূর্ব মুহূর্তে একটু বিরতি নিতেন। নিজেকে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের সমীহের পাত্রে পরিণত করেন। তবে, খেলায় বিচিত্রমূখী বোলিংয়ের কারণেও সমালোচিত হয়েছেন। প্রায়শঃই ক্রিজে আসা ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে প্রথমেই দুসরা মারতেন। পাকিস্তানের সফলতায় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। এ সাফল্য মূলতঃ উপমহাদেশেই পেয়েছেন।

জনৈক কেরাণীর সন্তান ছিলেন। স্বীয় ভ্রাতা সিবতাইন মুশতাককে নিয়ে দারিদ্র্যতার মাঝে শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে জারিফ মেমোরিয়াল ক্রিকেট ক্লাবের দ্বিতীয় একাদশের পক্ষে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরু থেকেই নিজেকে অফ-স্পিনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। লাহোরের গভর্নমেন্ট এম.এ.ও কলেজের পক্ষে খেলতে থাকেন। উপর্যুপরী তিন বছর ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ জয় করেন।

৫ ফুট ৭ ইঞ্চি (১.৭২ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে সরব ভূমিকা রেখেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে ইসলামাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ও পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও সাসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, আয়ারল্যান্ড ও লাহোর বাদশাহের পক্ষে খেলেছেন।

১৭ বছর বয়সে ঘরোয়া ক্রিকেটে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের পক্ষে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। প্রথম মৌসুমে ৫২ উইকেট দখল করলে পাকিস্তান ‘এ’ দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারের পক্ষে একাধারে আট মৌসুম খেলেছেন।

১৯৯৫ থেকে ২০০৪ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে সব মিলিয়ে ৪৯ টেস্ট ও ১৬৯টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে নিজ দেশে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে পেশাওয়ারে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। ইজাজ আহমেদ জুনিয়রের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। প্রথম ইনিংসে দুই উইকেট লাভ করেন। এরপর আরও দুই উইকেট নিয়েছিলেন। তবে, ওয়াসিম আকরামের অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীতে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৪০ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। সব মিলিয়ে ঐ সিরিজে নয় উইকেট পেয়েছিলেন।

এরপর, একই সফরে ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে গুজরানওয়ালায় একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক হয়। কোন উইকেট লাভের সৌভাগ্য না হলেও পাকিস্তান দল নয় উইকেটে জয় পায়।

পুরো খেলোয়াড়ী জীবনই সফলতার সাথে অতিবাহিত করেছিলেন। শুরুটাও বেশ দূর্দান্ত ছিল। ওডিআইয়ে দ্রুততম ১০০ উইকেটের তৎকালীন রেকর্ড ভঙ্গ করেন। বলে অসম্ভব নিয়ন্ত্রণের কারণে নিয়মিতভাবে শেষের ওভারগুলোয় বোলিং করতেন। পরবর্তীতে অবশ্য অস্ট্রেলীয় পেসার মিচেল স্টার্ক রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন। পরবর্তী সিরিজেই বড় ধরনের সফলতা নিয়ে আসেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্ট থেকে ১৪ উইকেট দখল করেন। এরপর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নয় উইকেট ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন।

১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে রমিজ রাজা’র নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ১৯ এপ্রিল, ১৯৯৭ তারিখে কলম্বোর আরপিএসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ৫/৮৯ ও ৪/১৩৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৫৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসামান্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়াসিম আকরাম ও সাকলাইন মুশতাকের সংগৃহীত ৩১৩ রান অষ্টম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের মর্যাদা পাচ্ছে।

১৯৯৯ সালে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজে স্বর্ণালী মুহূর্ত অতিবাহিত করেন। চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রথমবারের মতো দশ উইকেট দখল করেন। শচীন তেন্ডুলকরকে ১৩৬ রানে বিদেয় করেন। এরফলে স্বাগতিক দলের নিশ্চিত জয়কে পরাজয়ে রূপান্তর করেন। ১২ রানের নাটকীয় ব্যবধানে জয় পায় তাঁর দল। দ্বিতীয় টেস্টে আবারও দশ উইকেট পান। তবে, পাকিস্তান দল জয় পায়নি।

১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টে দশ উইকেট ও ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেট পান। ২০০০-০১ মৌসুমে নিজ দেশে নাসের হুসাইনের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ১৫ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে লাহোরে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে প্রদর্শনে অগ্রসর হয়েছিলেন। ৮/১৬৪ ও ১/১৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নেয়ার সুযোগ নিয়ে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাঁর দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলীর কারণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

দুইবার নিজ নামের পার্শ্বে হ্যাট্রিক লিখিয়েছেন। উভয় ক্ষেত্রেই দূর্বলতর দল জিম্বাবুয়ে ছিল। এছাড়াও, বিশ্বকাপে প্রথম পাকিস্তানী খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাট্রিক লাভের গৌরব অর্জন করেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি এ সফলতা পান। ১১ জুন, ১৯৯৯ তারিখে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতের চেতন শর্মা’র পর দ্বিতীয় হ্যাট্রিক করার কৃতিত্বের অধিকারী হন। হেনরি ওলোঙ্গা ও অ্যাডাম হাকলকে মঈন খানের স্ট্যাম্পিং এবং স্টিভ বাকনরের অঙ্গুলী হেলনে এম এমবাঙ্গাকে এলবিডব্লিউতে বিদেয় করেছিলেন। এছাড়াও, ওয়াসিম আকরামের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ওডিআইয়ে দুইবার হ্যাট্রিক করেছেন। পরবর্তীতে অবশ্য চামিণ্ডা ভাসলাসিথ মালিঙ্গা এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। প্রসঙ্গতঃ ১৯৯৬ সালে পেশাওয়ারে একই দলের গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, জন রেনি ও অ্যান্ডি হুইটলকে উপর্যুপরী বিদেয় করেছিলেন। এরফলে, একমাত্র বোলার হিসেবে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ওডিআইয়ে দুইটি হ্যাট্রিকধারী হন।

২০০০-০১ মৌসুমে মঈন খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ৮ মার্চ, ২০০১ তারিখে অকল্যান্ডে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৪/৪৮ ও ৪/২৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাটিংয়ে নেমে উভয় ইনিংসে ২ রান করে সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, মোহাম্মদ সামি’র অসামান্য বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ২৯৯ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ১৫ মার্চ, ২০০১ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৭৯ রান অতিক্রম করেন। এ পর্যায়ে টেস্টে নিজস্ব প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ১০১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৩/১৩৪ ও ০/৪৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করেছিলেন। তবে, ম্যাথু সিনক্লেয়ারের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সফরকারীরা এগিয়ে যায়।

পূর্বেকার ক্রীড়াশৈলী ধরে রাখতে না পারার পাশাপাশি শোয়েব মালিকের অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন ও ব্যতিক্রমী বোলিংশৈলীর অধিকারী লেগ-স্পিনার দানিশ কানেরিয়া’র সাফল্যে ম্লান হতে থাকেন। ২০০৩-০৪ মৌসুমে নিজ দেশে চীরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে সিরিজে আবারও তাঁকে নেয়া হয়। রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ২৮ মার্চ, ২০০৪ তারিখে মুলতানে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। তবে, এ টেস্টে ২০৪ রান খরচায় এক উইকেট পেলে দ্রুত বিস্মৃতির অন্তরালে চলে যেতে থাকেন। এছাড়াও, ৫ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, বীরেন্দ্র শেহবাগের অসাধারণ ত্রি-শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৫২ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।

ক্রমাগত আঘাত লাভের পাশাপাশি জাতীয় দলে উদীয়মান স্পিনারদের উত্থানে ২০০৪-০৫ মৌসুমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ৭ অক্টোবর, ২০০৩ তারিখে ফয়সালাবাদে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন।

এরপর কাউন্টি ক্রিকেট ও ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে যুক্ত হয়ে পড়েন। ২০০৭ সালে মুশতাক আহমেদের সাথে সাসেক্সের পক্ষে দুই বছরের চুক্তিতে খেলার জন্যে স্বাক্ষর করেন। এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছিল। অনুমোদনবিহীন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে অংশ নেয়ায় এ সম্ভাবনা স্তিমিত হয়ে পড়ে। তবে, একই বছরে তিনি সারেতে চলে আসেন। ২০০৮ সালে সারে থেকে তাঁকে অবমুক্তি দেয়া হয়। এরফলে, কার্যতঃ খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে ও ওভালের সাথে ১১ বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটে। সব মিলিয়ে ১৯৪টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৮৩৩ উইকেট এবং লিস্ট-এ ক্রিকেটে ৩২৩ খেলা থেকে ৪৭৮ উইকেট পেয়েছেন। ২০০০ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ২০১৭ সাল থেকে ইসিবিতে স্পিন বোলিং পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। সানা মুশতাক নাম্নী এক রমণীর সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।

Similar Posts

  • | |

    দেবাং গান্ধী

    ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ তারিখে গুজরাতের ভাবনগর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০০৫-০৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।…

  • | |

    ফজল মাহমুদ

    ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৭ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানের সেরা বোলারদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করেছেন। আলোকবর্তিকা হিসেবে ভূমিকা রেখে গেছেন। হার না মানার মানসিকতা নিয়ে লড়াকু চিত্তে খেলেছেন।…

  • | |

    ডেনিস লিলি

    ১৮ জুলাই, ১৯৪৯ তারিখে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সুবিয়াকো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার। টেস্ট ক্রিকেটের কিংবদন্তী তারকা। বিশাল ব্যক্তিত্ব এবং শুধুমাত্র অস্ট্রলীয়দের মধ্যেই নয়, বৈশ্বিকভাবে বীর হিসেবে বিবেচিত হয়ে…

  • |

    ন্যাট থমসন

    ২৯ মে, ১৮৩৯ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের সারে হিলস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষণ কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৮৭০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৮৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে ১৮৭৯-৮০ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষাবলম্বন করেছেন। ১১…

  • | | | |

    বিষেন সিং বেদী

    ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারত দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘স্পিনের সর্দার’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। দৃষ্টিনন্দন, শৈল্পিকসত্ত্বা নিয়ে বিশুদ্ধ ভঙ্গীমায় বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। বোলিং ভঙ্গীমার…

  • |

    আরশাদ খান

    ২২ মার্চ, ১৯৭১ তারিখে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের পেশাওয়ারে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। মূখ্যতঃ দুইটি কারণে নিজেকে অফ-স্পিনারের মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে পারেননি। প্রথমতঃ পেশাওয়ার থেকে এসেছেন ও এলাকাটি ফাস্ট বোলারদের আস্তানা হিসেবে পরিচিত। দ্বিতীয়তঃ অন্যদের…