| |

তিলকরত্নে দিলশান

১৪ অক্টোবর, ১৯৭৬ তারিখে কালুতারায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাশাপাশি উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হতেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে অংশ নিয়েছেন। শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমা প্রদর্শন, শক্তিশালী কব্জির গড়ন ও সহজাত সময় নিয়ন্ত্রণে অন্যতম সেরা বিনোদনধর্মী ক্রিকেটারে পরিণত হয়েছিলেন। কৌশলগতভাবে বেশ দক্ষ ছিলেন। শ্রীলঙ্কার দর্শনীয় ব্যাটসম্যান ছিলেন। বীরেন্দ্র শেহবাগ, ডেভিড ওয়ার্নার কিংবা ক্রিস গেইলের ন্যায় বিধ্বংসী খেলার সাথে বেশ মিল রয়েছে। প্রচলিত পন্থায় ব্যাটিংশৈলীতে অগ্রসর হতেন না। স্কুপ শটসহ নিজস্ব আনঅর্থোডক্স ব্যাটিংয়ে বেশ কার্যকরী প্রভাব ফেলতেন ও এ খেলার অন্যতম উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। সকল ধরনের আক্রমণাত্মক খেলার প্রদর্শন শেষে শেষ ভরসা হিসেবে আত্মরক্ষার পথ অবলম্বন করতেন। সচরাচর অফ-সাইড দিয়ে খেলতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।

১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ২০১৫-১৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বাসনাহিরা সাউথ, ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব, কালুতারা টাউন ক্লাব, নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস, সেবাস্টিয়ানিটিজ ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব, সিংহ স্পোর্টস ক্লাব, তামিল ইউনিয়ন ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, এশিয়া একাদশ, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স, করাচী কিংস, পেশাওয়ার জালমি ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পক্ষে খেলেছেন।

১৯৯৯ থেকে ২০০৬ সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বমোট ৮৭ টেস্ট, ৩৩০টি ওডিআই ও ৮০টি টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে সনথ জয়সুরিয়া’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সাথে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। ১৮ নভেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ইন্ডিকা ডি সরম ও ইন্ডিকা গালাগে’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। দলের একমাত্র ইনিংসে ৯ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ ও একটি রান-আউটের সাথে নিজেকে জড়ান। তবে, মারভান আতাপাত্তু’র ব্যাটিং দৃঢ়তা স্বত্ত্বেও স্বাগতিকরা ড্র করতে সক্ষম হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। নভেম্বর, ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠিত ঐ সিরিজে ১৬৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে সকলের পাদপ্রদীপে চলে আসেন।

একই সফরের ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। এরপর থেকে তাঁর দূরন্ত প্রতিভা নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ ছিল না। তাসত্ত্বেও, রান খরায় ভোগার খেসারতস্বরূপ ২০০১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দলের বাইরে ছিলেন। দলের বিধ্বংসী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে স্থায়ীভাবে আবির্ভুত হবার পূর্ব পর্যন্ত খেলোয়াড়ী জীবন অপূর্ণ ছিল।

২০০৩-০৪ মৌসুমে নিজ দেশে মাইকেল ভনের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ১০ ডিসেম্বর, ২০০৩ তারিখে ক্যান্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ৬৩ ও ১০০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, প্রতিপক্ষীয় দলনেতার অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়।

একই মৌসুমে নিজ দেশে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ৮ মার্চ, ২০০৪ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ১০৪ ও ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, ম্যাথু হেইডেনের অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ১৯৭ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২০০৪-০৫ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ৪ আগস্ট, ২০০৪ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টে আঘাতের কবলে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে এক্স-রে করতে হয়। ড্যানিয়েল তাঁকে তদারকী করেন। তবে, আঘাত গুরুতর না হওয়ায় পুণরায় মাঠে ফিরে আসেন। খেলায় তিনি ২৫ ও ১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/২৪ ও ১/৩০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। মাহেলা জয়াবর্ধনে’র অসাধারণ দ্বি-শতক সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই মৌসুমে মারভান আতাপাত্তু’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১১ এপ্রিল, ২০০৫ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৯ ও ৭৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ল্যু ভিনসেন্টের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৩৮ রানে জয় পেলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

ইংল্যান্ড সফর শেষে ফেরার পথে ৪ জুলাই, ২০০৬ তারিখে আমস্টেলভিনের ভিআরএ ক্রিকেট মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪৪৩/৯ সংগ্রহের তৎকালীন ওডিআই বিশ্বরেকর্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। এক পর্যায়ে কুমার সাঙ্গাকারা’র (১৫৭) সাথে ১৪৯ রানের জুটি গড়েন। ৭৯ বলে ১৫টি চার ও ২টি ছক্কা সহযোগে ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ঐ খেলায় শ্রীলঙ্কা দল ১৯৫ রানে জয় পায়।

২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতায় ‘দিলস্কুপ’ নামে নতুন ধরনের শটের প্রবর্তন করেন। মাথার উপর দিয়ে শট খেলাটি বোলারসহ ক্রিকেট বিশ্লেষকদেরকে বেশ হতবাক করে দেয়। ঐ প্রতিযোগিতায় সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন। সর্বোপরী, ২০০৯ সালে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। সকল স্তরের ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের অবস্থানের পরবর্তন ঘটিয়ে উপরের দিকে খেলতে নামায় বেশ সফল হন। আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংকে তুনোধুনো করে ছাড়েন। ঐ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১টি শতক হাঁকিয়েছিলেন। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে অবস্থান করে বিদ্যুৎবেগে ফিল্ডিংয়ে অংশ নিতেন। এছাড়াও, অফ-স্পিন বোলিং করতে পারতেন।

২০১১ সালে কুমার সাঙ্গাকারা’র অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগের পর এ দায়িত্বভার তাঁর কাঁধে চলে আসে। তবে, এক বছরেরও কম সময়ে তাঁকেও অব্যাহতি নিতে হয়। ঐ বছরের গ্রীষ্মকালে শ্রীলঙ্কা দলকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড গমন করেন। ক্রিকেটের স্বর্গভূমি হিসেবে খ্যাত লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের ৪৮৬ রানের পর ব্যাট হাতে নিয়ে দর্শনীয় খেলা উপহারে সচেষ্ট হন। ইংরেজ বোলারদের আক্রমণ প্রতিহত করে ৪৩৩ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করেন। ২৫৩ বল মোকাবেলা করে ২০ চার ও ২ ছক্কা সহযোগে ১৯৩ রান তুলতে সমর্থ হন। এরপর, স্টিভেন ফিনের শিকারে পরিণত হন। পরবর্তীতে এটিই তাঁর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহে পরিণত হয়। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন। বৃষ্টির কারণে চূড়ান্ত দিনের খেলায় বিঘ্ন ঘটে ও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়। ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেছিলেন। দূর্দান্ত শতক হাঁকানোর স্বীকৃতিস্বরূপ লর্ডস অনার্স বোর্ডে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।

২০১১-১২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে মাহেলা জয়াবর্ধনেকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়। দলের পাশাপাশি অধিনায়কত্বকালীন তিনিও রান খরায় ভুগেন। তবে, এর পরপরই নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট হন। বিশেষতঃ ওডিআইয়ে বিরাট সফলতা পান। ২০১২ সালে ১১১৯ রান তুলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।

২০১২-১৩ মৌসুমে নিজ দেশে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের মুখোমুখি হন। ৮ মার্চ, ২০১৩ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত সফররত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ৫৪ ও ১২৬ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, ২/৭৫ ও ০/১১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, প্রতিপক্ষীয় অধিনায়কের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই সফরের ১৬ মার্চ, ২০১৩ তারিখে কলম্বোর আরপিএসে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ০ ও ৫৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/১৯ ও ১/৬২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, রঙ্গনা হেরাথের বোলিং দাপটে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে জয় পেলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। ওডিআইগুলো থেকে দশ সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেছিলেন। সবমিলিয়ে ৮৭ টেস্ট থেকে ৪০.৯৮ গড়ে ৫৪৯২ রান পেয়েছেন। ২০০৯ সালে আইসিসি বর্ষসেরা টি২০ আন্তর্জাতিক অবদানকারীর পুরস্কার লাভ করেন।

Similar Posts

  • | | |

    বিল লরি

    ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৭ তারিখে ভিক্টোরিয়ার থর্নবারি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। খেলাধূলাপ্রিয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। ১৯৪৯ সালে প্রেস্টন টেকে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নকালীন বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের পরিচিতি তিনি তুলে ধরেছিলেন। ১১ বছর বয়সে বিজ্ঞান…

  • |

    স্যাম মরিস

    ২২ জুন, ১৮৫৫ তারিখে তাসমানিয়ার হোবার্টে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৮০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। আইজাক মরিস ও এলিজাবেথ অ্যান দম্পতির সন্তান ছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা বেশ তুঙ্গে অবস্থান করে ও দি অস্ট্রালাসিয়ানের প্রতিবেদক ফেলিক্স মন্তব্য করেন যে, স্যামকে…

  • |

    আরিফ বাট

    ১৭ মে, ১৯৪৪ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৬০-৬১ মৌসুম থেকে ১৯৭৭-৭৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে লাহোর ও পাকিস্তান রেলওয়েজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।…

  • | | |

    অ্যাশওয়েল প্রিন্স

    ২৮ মে, ১৯৭৭ তারিখে কেপ প্রভিন্সের পোর্ট এলিজাবেথ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাটিং ও বোলিংয়ের পাশাপাশি খাঁটি মানসম্পন্ন ফিল্ডার হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম…

  • | | |

    অ্যালান স্টিল

    ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৮৫৮ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের ওয়েস্ট ডার্বি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। দলে মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৮৮০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। জন্ম সনদে তিনি ‘অ্যালান গিবসন স্টিল’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। মার্লবোরা কলেজে অধ্যয়ন শেষে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেছেন। অসাধারণ অল-রাউন্ডার হিসেবে সুনাম…

  • | |

    বিলি গ্রিফিথ

    ১৬ জুন, ১৯১৪ তারিখে লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৪০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। হেনরি লিওনার্ড অ্যাডামস গ্রিফিথ ও জিন দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন। ক্রিকেট বিশ্বে সর্বাপেক্ষা সুদর্শন খেলোয়াড়ে পরিণত করেন। ডালউইচ কলেজে অধ্যয়নকালে এ ক্রীড়ায় দক্ষতা দেখান ও চার…