| |

শুভমান গিল

৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে পাঞ্জাবের ফজিল্কা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

ভারতীয় ক্রিকেট জগতে সহজাত প্রকৃতির উদীয়মান প্রতিভা। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সাফল্যের নজির গড়ে সকলের মন জয় করেছেন। এরপর থেকে ক্রমাগত দূর্দান্ত খেলে চলেছেন। ডানহাতে ইনিংস উদ্বোধনে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করে থাকেন।

ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলেছেন। ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকল্পে তাঁকে দলের সহঃঅধিনায়কের মর্যাদা দেয়া হয়। ২০১৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অনবদ্য খেলা উপহার দেন ও দলের শিরোপা বিজয়ে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। ঐ প্রতিযোগিতায় ভারতের পক্ষে সর্বাধিক ৩৭২ রান তুলে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট ট্রফি লাভ করেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ আইসিসি বিশ্বকাপ দলে ঠাঁই পান।

পাঞ্জাবের বংশ পরম্পরায় নিযুক্ত কৃষক পরিবারে জন্ম। শৈশবকাল থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তাঁর অনুরাগ লক্ষ্য করা যায়। পৈত্রিক খামারে ব্যাটিং কর্ম অনুশীলন করতেন। উন্নততর প্রশিক্ষণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে মোহালিতে চলে যান। ১৭ বছর বয়সে ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ তারিখে বিদর্ভের বিপক্ষে পাঞ্জাবের সদস্যরূপে লিস্ট-এ ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ২৭ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে পাঞ্জাবের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। প্রথম খেলায় অর্ধ-শতক হাঁকান। পরের খেলায় বাংলার বিপক্ষে ১২৯ রান তুলেন। একই বছরে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজস্ব প্রথম শতক হাঁকান। ২০১৮-১৯ মৌসুমে রঞ্জী ট্রফিতে ৭২৮ রান তুলে পাঞ্জাবের শীর্ষ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন। ২০১৮ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০১৯ সালে আসরে আইপিএল প্রতিযোগিতার উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে মনোনীত হন।

অক্টোবর, ২০১৮ সালে দেওধর ট্রফিতে ভারত ‘সি’ দলের সদস্যরূপে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে চূড়ান্ত খেলায় ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে অংশ নেন। অপরাজিত শতক হাঁকিয়ে দলকে চূড়ান্ত খেলায় নিয়ে যান। দেওধর ট্রফিতে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার গৌরব অর্জন করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম-শ্রেণীর খেলায় দ্বি-শতক হাঁকিয়ে সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় ব্যাটসম্যানের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।

২০১৭ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তামিলনাড়ুর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষে খেলেছেন। ১৭ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে অমৃতসরে পাঞ্জাব বনাম বাংলার মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। ডিসেম্বর, ২০১৮ সালে পাঞ্জাবের সদস্যরূপে তামিলনাড়ুর বিপক্ষে রঞ্জী ট্রফির খেলায় অংশ নেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ঐ খেলায় ২৬৮ রানের নিজস্ব প্রথম দ্বি-শতক হাঁকান।

২০১৯ সাল থেকে ভারতের পক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ২০১৮-১৯ মৌসুমে দলের সাথে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ২০ বছর বয়সে ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে হ্যামিল্টনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জগতে প্রবেশ করেন।

একই বছর তাঁকে ভারতের টেস্ট দলে ঠাঁই দেয়া হয়। ২০২০-২১ মৌসুমে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। মোহাম্মদ সিরাজের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৪৫ ও ৩৫* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা অজিঙ্কা রাহানে’র দূর্দান্ত ব্যাটিংশৈলীর কারণে তাঁর দল ৮ উইকেটে জয়লাভ করে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

২০২১ সালে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের চূড়ান্ত খেলায় অংশ নিতে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৮ জুন, ২০২১ তারিখে সাউদাম্পটনে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। ২৮ ও ৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, কাইল জ্যামিসনের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে নিউজিল্যান্ড দল ৮ উইকেটে জয়লাভ করে।

২০২১-২২ মৌসুমে নিজ দেশে টম ল্যাথামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৪৪ ও ৪৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। মৈয়াঙ্ক আগরওয়ালের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৩৭২ রানে পরাজিত হলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

২০২৩-২৪ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে রোহিত শর্মা’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখের বক্সিং ডেতে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২ ও ২৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ডিন এলগারের অসাধারণ শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৩২ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৩৬ ও ১০ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। মোহাম্মদ সিরাজের অসাধারণ বোলিং শৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা তিনদিন বাকী থাকতেই ৭ উইকেটে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এ পিচটিকে খেলার অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়েছিল।

একই মৌসুমে নিজ দেশে বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ৭ মার্চ, ২০২৪ তারিখে ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১১০ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, কুলদীপ যাদবের অসামান্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কারণে খেলায় তাঁর দল ইনিংস ও ৬৪ রানে জয়লাভ করে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জয়ী হয়।

২০২৪-২৫ মৌসুমে নিজ দেশে টম ল্যাথামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে ওয়াংখেড়েতে সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যাট হাতে ৯০ ও ১ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, এজাজ প্যাটেলের স্মরণীয় বোলিং নৈপুণ্যে সফরকারীরা মাত্র ২৫ রানে জয়লাভ করলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

২০২৫ সালে ভারত দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ইংল্যান্ড সফরে যান। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ৩১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ২১ ও ১১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, মোহাম্মদ সিরাজের বল হাতে নিয়ে দূর্দান্ত কৃতিত্বের কারণে স্বাগতিকরা নাটকীয়ভাবে ৬ রানে পরাভূত হলে সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে শেষ হয়। এ সিরিজে তিনি ৭৫৪ রান সংগ্রহ করে হ্যারি ব্রুকের সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

Similar Posts

  • | | |

    আগা সাদত আলী

    ১১ জুন, ১৯২৯ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। ইমতিয়াজ আহমেদ, খান মোহাম্মদ ও পার্সি ক্রিকেটার রুসি দ্বিনশ’য়ের সাথে তাঁকে তুলনা করা হতো। পাকিস্তানের ক্রিকেটের শুরুর দিনগুলোয় প্রথম-শ্রেণীর…

  • | | |

    মাইক অ্যাথার্টন

    ২৩ মার্চ, ১৯৬৮ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের ফেইলসওয়ার্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, সাংবাদিক ও লেখক। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৬ ফুট উচ্চতার অধিকারী মাইকেল অ্যাথারটন ‘কোকরোচ’, ‘এফইসি’, ‘অ্যাথার্স’ কিংবা ‘ড্রেড’ ডাকনামে পরিচিত ছিলেন। ম্যানচেস্টার গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। এরপর, কেমব্রিজের ডাউনিং…

  • |

    আইজাক বাইস

    ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৫ তারিখে কেপ কলোনির সমারসেট ইস্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯২০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২১-২২ মৌসুম থেকে ১৯২৪-২৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর…

  • |

    বেন কারেন

    ৭ জুন, ১৯৯৬ তারিখে নর্দাম্পটনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্রিকেটপ্রেমী পরিবারের সন্তান। পিতা কেভিন কারেন জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। অপর ভ্রাতৃদ্বয় – স্যাম কারেন ও টম কারেন ইংল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০১৮-১৯ মৌসুম…

  • |

    ধীরাজ পারসানা

    ২ ডিসেম্বর, ১৯৪৭ তারিখে গুজরাতের রাজকোটে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট কিংবা স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৭০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৪০ একর ভূমির মালিক, ধনী কৃষকের সন্তান ছিলেন। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম থেকে ১৯৮২-৮৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান…

  • |

    গডফ্রে ইভান্স

    ১৮ আগস্ট, ১৯২০ তারিখে মিডলসেক্সের ফিঞ্চলে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইকেট-রক্ষকের স্বীকৃতি লাভ করেছেন। ক্যান্টারবারিভিত্তিক কেন্ট কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৩৯ থেকে ১৯৬৭ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া…