২৪ জুন, ১৯৮৬ তারিখে নটিংহামে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করছেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করে থাকেন। ইংল্যান্ড দলের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
‘ব্রডি’ ডাকনামে পরিচিত স্টুয়ার্ট ব্রড ৬ ফুট ৫ ইঞ্চির দীর্ঘ উচ্চতার অধিকারী। ওকহাম স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ফ্রাঙ্ক হেস ও ডেভিড স্টিলের ন্যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেন। ২০০৫ সালে লিচেস্টারশায়ারের সাথে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিয়ে ঝড় তুলেন। নটসের ও ইংল্যান্ডের সাবেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এবং আইসিসি ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের সন্তান তিনি।
২০০৫ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার ও নটিংহ্যামশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, হোবার্ট হারিকেন্স, কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব ও মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন। ২৭ এপ্রিল, ২০০৫ তারিখে লিচেস্টারে অনুষ্ঠিত লিচেস্টারশায়ার বনাম ডারহাম ইউসিসিই’র মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে প্রবেশ করেন। শুরু থেকেই অপ্রস্তুত ব্যাটসম্যানকে তীক্ষ্ণ ইন-সুইঙ্গারে কুপোকাত করার প্রয়াস চালান। উইকেট বরাবর বল ফেলার প্রবণতার কারণে তাঁকে ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে অভিষেক খেলার পর থেকেই অন্যতম শীর্ষ বোলারে পরিণত করে।
স্বর্ণকেশরের অধিকারী, লিকলিকে গড়ন নিয়ে ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদের অপ্রস্তুত করে তুলেন। ইংল্যান্ডকে অ্যাশেজ করায়ত্ত্ব করতে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। তখন থেকেই ক্রিকেট বিশ্লেষকদের কাছে ভবিষ্যতের প্রতিভাবান তারকা খেলোয়াড় হিসেবে চিত্রিত হয়েছিলেন।
মাঝে-মধ্যে কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে ইনিংস উদ্বোধনে নামলেও নিচেরসারিতে বামহাতে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়েছেন। ক্রিকেটের মাঠে অন্যতম অমর্যাদাকর রেকর্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। আইসিসি বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আসরে যুবরাজ সিং তাঁর বল থেকে উপর্যুপরী ছয়টি ছক্কা হাঁকান।
২০০৬ সাল থেকে ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ২৮ আগস্ট, ২০০৬ তারিখে ব্রিস্টলে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০আইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে বর্ণাঢ্যময় আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবনের সূচনা ঘটান।
২০০৭-০৮ মৌসুমে মাইকেল ভনের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সাথে শ্রীলঙ্কায় প্রথমবারের খেলতে নামেন। ৯ ডিসেম্বর, ২০০৭ তারিখে কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে ২ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৯৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। মাহেলা জয়াবর্ধনে’র অসাধারণ শতক সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
একই মৌসুমে মাইকেল ভনের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ২২ মার্চ, ২০০৮ তারিখে নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। কয়েকবার ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে জীতেন প্যাটেলকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা সাফল্য ছিল ২/৬২। খেলায় তিনি ৩/৫৪ ও ২/৭৮ লাভ করেন। এছাড়াও, প্রথম ইনিংসে ১৭ রানে পৌঁছানোকালে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ রান অতিক্রম করেন। ৪২ ও ৩১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। পাশাপাশি, তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, রায়ান সাইডবটমের অসাধারণ কৃতিত্বে স্বাগতিকরা ১২১ রানে পরাজিত হলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
২০০৮ সালে নিজ দেশে প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেন। ঐ বছর ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১৫ মে, ২০০৮ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ২৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ২/৮৫ ও ১/৫৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। প্রতিপক্ষীয় অধিনায়কের অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
একই বছর নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ৭ আগস্ট, ২০০৮ তারিখে ওভালে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৩/৫৪। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ২/৬০ ও ৩/৪৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রান সংগ্রহ করেন। দলীয় অধিনায়কের অসাধারণ শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে জয়লাভ করলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজে পরাজিত হয়।
শুরুতে প্রচুর রান খরচ করতে দেখা যেতো ও এক কিংবা দুই উইকেটের সন্ধান পেতেন। ২০০৯ সালে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো পাঁচ-উইকেট লাভ করেন। এ বছরেই খ্যাতির তুঙ্গে পৌঁছেন। ঐ বছরের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুইবার পাঁচ-উইকেট পেলে ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণে স্থায়িত্ব পান।
২০০৯-১০ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে অ্যান্ড্রু স্ট্রসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ১/৭৪ ও ২/৫৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ১৭ ও ০ রান সংগ্রহ করেন। তবে, গ্রায়েম সোয়ানের অসামান্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
দীর্ঘ সংস্করণের খেলায় তাঁর সুন্দর ব্যাটিংশৈলীর পরিচয় পাওয়া যায়। ২০১০ সালে সালমান বাটের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ২৬ আগস্ট, ২০১০ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। লর্ডসে নিজস্ব সেরা ১৬৯ রানের মনোরম শতক হাঁকান। এ শতকের কল্যাণে লর্ডস অনার্স বোর্ডে নিজেকে ঠাঁই করে নেন। তবে, বোলারদের অনার্স বোর্ডে নিজেকে চিত্রিত করতে আরও দুই বছর সময় নেন। এ পর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাত উইকেট লাভ করেছিলেন।
৪২৬ মিনিটে ২৯৭ বল মোকাবেলায় ১৮টি চার ও এক ছক্কায় এ ইনিংস সাজান। এ পর্যায়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐ খেলার প্রথম ইনিংসে অষ্টম উইকেটে জোনাথন ট্রটের সাথে ৩৩২ রানের জুটি গড়েছিলেন। এছাড়াও ঐ টেস্টে ৩৪ রান খরচায় তিন উইকেট নিয়ে দলের ইনিংস ও ২২৫ রানের বিজয়ে বিরাট ভূমিকা রাখেন এবং ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ করায়ত্ত্ব করে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।
২০১১ সালে ইন্ডিয়ান টি২০ লীগে মোহালীর পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু, কোন খেলায় অংশ নিতে পারেননি। ২০১২ সালে আঘাতের কারণে দলের বাইরে থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ সফরে দলের প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে খেলার ধারা অব্যাহত রাখেন। ২০০৬ সালে অভিষেকের পর অন্যতম অভিজ্ঞ টি২০ খেলোয়াড় ছিলেন। ২০১০ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ইংল্যান্ডে বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতার সফলতায় অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে, ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে টি২০ দলের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। কিন্তু, তেমন সফলতা লাভে ব্যর্থ হওয়ায় ইয়ন মর্গ্যানকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সাদা-বলের খেলায় সেরা ছন্দে অবস্থান করেন। পরের বছর নিজ দেশের ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ বিজয়ে অন্যতম রূপকার ছিলেন। তবে, ঐ বছরের শেষদিকে অ্যাশেজের ফিরতি সফরে ৫-০ ব্যবধানে পরাজিত হলেও তিনি স্ব-মহিমায় ভাস্বর ছিলেন।
নিজ দেশে নটিংহামে অ্যাশেজের খেলায় অন্যতম সেরা বোলারে পরিণত হন। ব্যক্তিগত সেরা ৮/১৫ লাভ করেছিলেন। বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়ে ২০.৯০ গড়ে ২১ উইকেট দখল করেন। এরফলে, ২০১৫ সালে ইংল্যান্ড দল ৩-২ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়াকে পরাভূত করে।
২০১৫ সালে নিজ দেশে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৯ মে, ২০১৫ তারিখে লিডসের হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ৪৬ ও ২৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৫/১০৯ ও ২/৯৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। বিজে ওয়াটলিংয়ের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১৯৯ রানে পরাজয়বরণ করলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।
২০১৫-১৬ মৌসুমে অ্যালাস্টেয়ার কুকের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের অন্যতম সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৪ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ২/৮২ ও ৬/১৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, প্রথম ইনিংসে একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ বোলিংয়ের বদৌলতে সফরকারীরা ৭ উইকেটে জয়লাভ করলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৬ সালে ভারত সফরে যান ও সেখানে নভেম্বর, ২০১৬ সালে নিজস্ব শততম টেস্টে অংশ নেন।
২০২৩ সালে নিজ দেশে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২৭ জুলাই, ২০২৩ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ২/৪৯ ও ২/৬২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৭ ও ৮* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ক্রিস ওকসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৪৯ রানে জয় পেলে সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে শেষ করতে সমর্থ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
জেমস অ্যান্ডারসনের পর ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা উইকেট শিকারীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন। টেস্টের ঊনিশজন শীর্ষ অল-রাউন্ডারের অন্যতম হিসেবে ২০০ উইকেট ও ৩০০০ রানের ন্যায় ‘ডাবল’ লাভের অধিকারী।
