২৭ ডিসেম্বর, ১৮৬১ তারিখে ডার্বিশায়ারের থর্নসেট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৮৮২ থেকে ১৯০২ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ডার্বিশায়ারের অন্যতম সেরা তারকা খেলোয়াড় ছিলেন। অনেকগুলো বছর পেশাদারী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে আসীন ছিলেন। তাঁর এ সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে দলটি পুণরায় ১৮৯৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়।
অনেক ধরনের স্ট্রোক খেলায় পারদর্শী ছিলেন। তাঁর ব্যাটিং বেশ দৃষ্টিনন্দন ছিল ও ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন। সতর্কতার সাথে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ডার্বিশায়ারের পক্ষে ২৫.১৫ গড়ে ১১৬১৯ রান তুলেন। এছাড়াও, ২৩-এর কম গড়ে ১৯৯ উইকেট দখল করেছিলেন। ১৮৯৬ সালে লেটনে এসেক্সের বিপক্ষে অপূর্ব ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। ১১১ ও ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এরফলে সম্ভবতঃ একবার দুইটি শতক হাঁকানো থেকে বঞ্চিত হন। ১৮৮৯ থেকে ১৮৯৮ সাল পর্যন্ত প্লেয়ার্সের সদস্যরূপে জেন্টলম্যানের বিপক্ষে আট খেলায় অংশ নেন। তন্মধ্যে, ১৮৯১ সালে হ্যাস্টিংসে সর্বোচ্চ ৫৮ রান তুলেন। ২০.৬৬ গড়ে ২৪৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
১৮৯২ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। এমসিসি দলের সদস্য থেকেও অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে প্রায়শঃই অমূল্য খেলোয়াড়ে পরিণত করতেন। ১৮৯১-৯২ মৌসুমে ওয়াল্টার রিডের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। একমাত্র উপেনিবেশীয় সফরটিতে তিনি ব্যাপকসংখ্যক রানের সন্ধান পেয়েছিলেন।
১৯ মার্চ, ১৮৯২ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। অ্যালেক হার্ন, জর্জ হার্ন, জ্যাক হার্ন, ডিক পাওয়ার ও ভিক্টর বার্টনের সাথে তাঁর একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ৪৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ইনিংস ও ১৮৯ রানে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
১৯ মার্চ, ১৯১৩ তারিখে চেশায়ারের ফ্লাওয়ারি ফিল্ড এলাকায় ৫১ বছর ৮২ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
