১০ ডিসেম্বর, ১৮৭০ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের র্যাগল্যান এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৮৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ১৮৯৮-৯৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৮৯৫ থেকে ১৮৯৮ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৯৪-৯৫ মৌসুমে নিজ দেশে অ্যান্ড্রু স্টডার্টের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১ মার্চ, ১৮৯৫ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ২৩ ও ১৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৭৩ ও ১/৪৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সফরকারীরা ৬ উইকেটে জয়লাভ করে সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে দল ৪৪ রানে গুটিয়ে গেলেও তিনি ১৬ রান তুলে শীর্ষ রান সংগ্রাহকে পরিণত হয়েছিলেন। ১৮৯৬ সালের ওভাল টেস্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে এ কৃতিত্বের পরিচয় দেন। এ সফরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘খুব কমই সন্দেহ রয়েছে যে তিনি ক্রমাগত বল ছুড়েছিলেন না।’ তিনি নো-বল থেকে মুক্তি পান ও পোতানো উইকেটে স্লো থেকে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতেন।
১৮৯৭-৯৮ মৌসুমে নিজ দেশে আর্চি ম্যাকলারিনের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১ জানুয়ারি, ১৮৯৮ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২/৬৬ ও ০/১৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৫৫ রানে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সমতায় ফেরে।
১৫ ডিসেম্বর, ১৯৩৯ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ম্যাকুয়ারি প্লেইন্স হোমস্টিড এলাকায় ৬৯ বছর ৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
