১১ জুন, ১৯২৯ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। ইমতিয়াজ আহমেদ, খান মোহাম্মদ ও পার্সি ক্রিকেটার রুসি দ্বিনশ’য়ের সাথে তাঁকে তুলনা করা হতো। পাকিস্তানের ক্রিকেটের শুরুর দিনগুলোয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেয়ার সুযোগ বেশ কম ছিল। তাসত্ত্বেও, ১৯৪৮ সালে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একাদশ ও ১৯৪৯ সালে কমনওয়েলথ দলের বিপক্ষে খেলেছিলেন। তবে, খেলাগুলো প্রথম-শ্রেণী হিসেবে গণ্য করা হয়নি।
১৯৪৯-৫০ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে বাহাওয়ালপুর, লাহোর ও পাঞ্জাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় দলের পক্ষে খেলেছিলেন। ১৯৫০ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। সিলনের বিপক্ষে পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন।
ইংল্যান্ড গমনার্থে পাকিস্তান ঈগলেটের সফরে অনেক ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে আল্ফ গোভার স্কুলের প্রথম স্তরের সদস্যরূপে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। দূর্ভাগ্যজনকভাবে আশানুরূপ উত্তরণের স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। তাসত্ত্বেও, ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে করাচীতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে ফিল্ডিংয়ে দূর্দান্ত দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে, ঢাকায় অনুষ্ঠিত পরবর্তী টেস্টে তাঁকে দলের সদস্যরূপে মনোনীত করা হয়েছিল।
১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের পক্ষে সব মিলিয়ে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিজ দেশে হ্যারি কেভের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৭ নভেম্বর, ১৯৫৫ তারিখে ঢাকায় সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ওয়ালিস ম্যাথিয়াসের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অপরাজিত ৮ রান সংগ্রহের পাশাপাশি তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।
১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন। এ পর্যায়ে লাহোর ‘বি’ দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। সব মিলিয়ে মাত্র ১৭টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ১৩.৫৪ গড়ে ৩২৫ রান তুলেছিলেন। এছাড়াও, এক উইকেট লাভের পাশাপাশি আটটি ক্যাচ নিয়েছিলেন।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর জাতীয় পর্যায়ে কোচ হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। এক পর্যায়ে বিসিসিপি’র সহকারী সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৮ সালে আম্পায়ার হিসেবে পাকিস্তান-ভারতের মধ্যকার ওডিআই পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও, লাহোরভিত্তিক বিলিয়ার্ড ও স্নুকার সংস্থার সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। উভয় সন্তানই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২৫ অক্টোবর, ১৯৯৫ তারিখে নিজ শহর লাহোরে ৬৬ বছর ১২৬ দিন বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জীবনাবসান ঘটে।
