১৩ অক্টোবর, ১৮৬৪ তারিখে ওরচেস্টারশায়ারের কিডারমিনস্টার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
শুরুরদিকের অধিকাংশ খেলাই কিডারমিনস্টার ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন। ১৮৮৫ ও ১৮৮৬ সালে দুই বছর ওরচেস্টারশায়ার একাদশের সদস্য ছিলেন। ১৮৮৫ সালে বোলিংয়ে বেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। এরপর, সমারসেটের সাথে যুক্ত হন ও স্লো বোলার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। ব্যক্তিগতভাবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন ও বন্ধুসূলভ ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৯১ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ১৮৯১ সালে দলের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে উত্তরণে অংশ নিয়ে নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। এস. এম. জে. উডস এবং লিওনেল পালাইরেটকে সাথে নিয়ে কার্যকর বোলিং করে শক্তিশালী ও আক্রমণাত্মক দলে পরিণত করতে সবিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। নিখুঁত নিশানায় বল ফেলে শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের সমীহের পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। তবে, নিজেকে কখনো উইলফ্রেড রোডস কিংবা কলিন ব্লাইদের সমপর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেননি।
১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৯৫-৯৬ মৌসুমে লর্ড হকের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২১ মার্চ, ১৮৯৬ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৩/৪৯ ও ১/১৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, দলের একমাত্র ইনিংসে বোনর মিডলটনের বলে শূন্য রানে বিদেয় নিয়েছিলেন। খেলায় তাঁর দল ইনিংস ও ৩৩ রানে জয়লাভ করলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
২৫ জানুয়ারি, ১৯১৭ তারিখে সমারসেটের নর্থ টাউন এলাকায় ৫২ বছর ১০৪ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
