২৫ এপ্রিল, ১৮৪৮ তারিখে ইয়র্কশায়ারের শেফিল্ডের ওয়াক্লি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৫ জুন, ১৮৭২ তারিখে কেইলি বনাম ওয়াকফিল্ডের মধ্যকার খেলার প্রথম ইনিংসে আট উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে দশ উইকেটের সবগুলো করায়ত্ত্ব করেন। ১৮৭২ থেকে ১৮৮৬ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন অতিবাহিত করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকার প্লেয়ারর্সের পক্ষে খেলেছেন। জীবনী রচয়িতাদের অভিমত, ব্যাট হাতে দারুণ খেলতেন এবং মাঠের যে-কোন প্রান্তে ফিল্ডিং করতেন।
১৮৭২ থেকে ১৮৭৮ সাল পর্যন্ত ইয়র্কশায়ারের পক্ষে ৫৩ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৩.৫৯ গড়ে ১০৭৪ রান এবং ১৪.০৮ গড়ে ১১৯ উইকেট দখল করেছিলেন। ১৮৭৬ সালে শেফিল্ডে মিডলসেক্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯৫ রান তুলেন। লব বোলিংয়ে বিরাট সফলতা পেয়েছেন। একই বছরের জুন মাসে শেফিল্ডে অনুষ্ঠিত খেলায় সারের বিপক্ষে ৬/২০ ও ৭/২৬ লাভ করেছিলেন। ঐ খেলায় তাঁর বোলিং জেমস সাউদার্টনকে বেশ উজ্জ্বীবিত করে ও তিনি তাঁর ন্যায় লব বোলিং আর কারও মাঝে দেখেননি। পুরো মৌসুমে ৬৬৯ রান খরচায় তিনি ৪৫ উইকেট দখল করেন।
১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সব মিলিয়ে মাত্র দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে জেমস লিলিহোয়াইটের জুনিয়রের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। এ টেস্ট সিরিজটিই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী সিরিজের মর্যাদা পায়। উভয় টেস্টে অংশ নেন। ১৫ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অন্য সকলের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলোয়াড়দের নম্বরের ভিত্তিতে তিনি ইংল্যান্ডের প্রথম খেলোয়াড়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ৯ ও ৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/১৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ৪৫ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ৩১ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ঐ টেস্টে সফরকারীরা জয় পেলেও খুব কমই ভূমিকা রেখেছিলেন। একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ২১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ঐ খেলায় সফরকারীরা ৪ উইকেটে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দেন। নিজ দেশে খেলার মানের চেয়ে অনেক নিচেরদিকে চলে গিয়েছিল। ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর পুলম্যান এলাকায় ৭৪ বছর ১৪৯ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। দীর্ঘদিন তিনি সেখানে বসবাস করতেন।
