| |

ফ্রাঙ্ক ইরিডেল

১৯ জুন, ১৮৬৭ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের সারে হিলস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও সাংবাদিক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৮৯০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

জনৈক আয়রনমোঙ্গার ও আইরিশ বংশোদ্ভূত স্ত্রীর সন্তান ছিলেন। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী। রক্ষণাত্মক ধাঁচ অবলম্বনসহ চমৎকার মারমুখী ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। সতেরো বছর বয়সে সফররত ইংরেজ একাদশের বিপক্ষে খেলার জন্যে কিশোর দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন।

১৮৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ১৯০১-০২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কয়েক মৌসুম ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেয়ার পর ২১ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে অভিষেক ঘটে।

১৮৯৪ থেকে ১৮৯৯ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বমোট ১৪ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ১৮৯৪-৯৫ মৌসুমে নিজ দেশে অ্যান্ড্রু স্টডার্টের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৪ ডিসেম্বর, ১৮৯৪ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। চার্লি ম্যাকলিওড, আর্নি জোন্স, জো ডার্লিং ও জন রিডম্যানের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। দারুণ খেলে প্রথম টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখেন। ৮১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। পাশাপাশি, একটি ক্যাচ তালুবন্দীসহ ০/৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ঐ খেলায় স্বাগতিক দল নাটকীয়ভাবে ১০ রানে পরাজয়বরণ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

একই সিরিজের অ্যাডিলেড ওভাল টেস্টে ১৪০ রানের মনোরম শতক হাঁকান। ১৮৯৬ ও ১৮৯৯ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন। উভয় সফরেই সহস্রাধিক রান তুলেছিলেন। তন্মধ্যে, ১৮৯৬ সালের সফরে ওল্ড ট্রাফোর্ডে টেস্টে শতকসহ উপর্যুপরী চারটি শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন।

১৮৯৯ সালে জো ডার্লিংয়ের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৪ আগস্ট, ১৮৯৯ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টে ক্লেম হিল ও জর্জ গিয়েরি’র সাথে তিনিও দৌঁড়ে পাঁচ রান সংগ্রহকালে রান-আউটে বিদেয় নিয়েছিলেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

টেস্টগুলো থেকে দুই শতক সহযোগে ৩৬.৬৮ গড়ে ৮০৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৪০ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, ১৬ ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ১৮৯৯ সালের ইংল্যান্ড সফর শেষে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর, নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯০১-০২ মৌসুম পর্যন্ত ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বমোট ৬৭৯৫ রান সংগ্রহ করেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৯৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, রাজ্য ও জাতীয় দলের নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ‘দ্য লন্ডন স্পোর্টসম্যানে’ প্রতিবেদন লিখতেন। ১৯২০ সালে ‘থার্ট থ্রি ইয়ার্স অব ক্রিকেট’ গ্রন্থ প্রকাশ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। তাঁর দুই সন্তান ছিল। ১৫ এপ্রিল, ১৯২৬ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রোজ নেস্ট এলাকায় যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৮ বছর ৩০০ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • |

    মার্কো জানসেন

    ১ মে, ২০০০ তারিখে ক্লার্কসডর্প এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলিংয়ের দিকেই অধিক জোর দিয়ে থাকেন। বামহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। লায়েরস্কুল গুডকপে অধ্যয়ন করেছেন। ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি (২.০৩ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জগতে নয় মাসের মধ্যে অবিশ্বাস্যভাবে তাঁর উত্থান…

  • | | |

    চেতন চৌহান

    ২১ জুলাই, ১৯৪৭ তারিখে উত্তরপ্রদেশের বারিলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ, প্রশাসক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। শ্রী নবরতন সিং চৌহানের সন্তান ছিলেন। মহারাষ্ট্রের পুণেভিত্তিক এ. ওয়াদিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেন এবং বি.এ., বি.কম ডিগ্রী লাভ করেন।…

  • | | |

    মুশতাক মোহাম্মদ

    ২২ নভেম্বর, ১৯৪৩ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গুজরাটের জুনাগড় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও রেফারি। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানের সেরা অধিনায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৭৯-৮০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন।…

  • | |

    হেনরি উড

    ১৪ ডিসেম্বর, ১৮৫৩ তারিখে কেন্টের ডার্টফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতে পারতেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট ও সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৭৬ থেকে ১৯০০ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। তন্মধ্যে, সারে…

  • |

    সাব্বির রহমান

    ২২ নভেম্বর, ১৯৯১ তারিখে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ প্রকৃত মানসম্পন্ন মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। পাশাপাশি, দূর্দান্ত ফিল্ডিং করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ও ‘রুমন’ ডাকনামে পরিচিতি পান। পরিবারের শত বাঁধাকে পাশ কাটিয়ে ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শহীদ আফ্রিদি’র…

  • |

    যশস্বী যশওয়াল

    ২৮ ডিসেম্বর, ২০০১ তারিখে উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির সূর্য্যবন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই ও বহিঃভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, রাজস্থান রয়্যালস, ভারত ‘এ’ অনূর্ধ্ব-১৯, ভারত ‘বি’, ভারত অনূর্ধ্ব-২৩ দলের পক্ষে খেলেছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে…