১৪ ডিসেম্বর, ১৮৫৩ তারিখে কেন্টের ডার্টফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতে পারতেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট ও সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৭৬ থেকে ১৯০০ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। তন্মধ্যে, সারে দলের পক্ষে ৫২৩টি ক্যাচ ও ৯৬টি স্ট্যাম্পিংসহ সর্বমোট ৬১৯টি ডিসমিসাল ঘটিয়েছিলেন। সারে ক্লাব গঠনের ৩১ বছর পর ১৮৭৬ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়। কেন্টে জন্মগ্রহণ করলেও ১৮৮৪ সালে সারে দলের পক্ষে প্রথম খেলেন। মাঠকর্মী হিসেবে নিযুক্তির ফলে স্ট্রেদাম ক্লাব তাঁকে কাউন্টি পরিবর্তনের সুযোগ দেয়। উইজডেনে উল্লেখ করা হয় যে, ‘দলে স্থান লাভকালীন তিনি নিশ্চিতরূপেই উচ্চমানসম্পন্ন উইকট-রক্ষক ছিলেন না; তবে, ক্রমাগত অনুশীলনে নিজেকে সেরাদের কাতারে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।’ নিজের স্বর্ণালী সময়ে থাকা অবস্থায় ইংল্যান্ড দলে যুক্ত করা হয়।
১৮৮৮ থেকে ১৮৯২ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে মাত্র চারটি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৮৮ সালে নিজ দেশে পার্সি ম্যাকডোনেলের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১৩ আগস্ট, ১৮৮৮ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ফ্রাঙ্ক সাগ ও জন শাটারের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, উইকেটের পিছনে অবস্থান করে একটি স্ট্যাম্পিং ও সমসংখ্যক ক্যাচ গ্লাভসবন্দীকরণে অগ্রসর হয়েছিলেন। ইনিংস ও ১৩৭ রানে জয়লাভ করলে স্বাগতিকরা তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সমতা আনতে সমর্থ হয়।
১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে মেজর হোয়ার্টনের ব্যবস্থাপনায় ১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় এমসিসি দলের প্রথম সফরে যান। ১২ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথের জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ৮ উইকেটে জয়লাভ করলে তাঁর দল দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
১৮৯১-৯২ মৌসুমে ওয়াল্টার রিডের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে আবারও ঐ দেশে যান। ১৯ মার্চ, ১৮৯২ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। টেস্টে নিজস্ব প্রথম শতক হাঁকান। ঘটনাবহুল এ টেস্টে যে-কোন উইকেট-রক্ষকের এটিই প্রথম শতরান ছিল। এছাড়াও, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এটিই তাঁর একমাত্র শতক ছিল। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে অপরাজিত ১৩৪ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। সফরকারীরা ইনিংস ও ১৮৯ রানে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
১৯০০ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৮৯১ সালে সারের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর আম্পায়ারিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। দুইটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা পরিচালনা করেছিলেন তিনি। ৩০ এপ্রিল, ১৯১৯ তারিখে সারের ওয়াডন এলাকায় ৬৫ বছর ১৩৭ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
