৯ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৫ তারিখে সারের থর্নটন হিদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী শৌখিন ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি। ১৮৮০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। লিওনার্ড শাটারের সন্তান ছিলেন। উইনচেস্টারে অধ্যয়ন করেছেন। সেখানে অধ্যয়নকালে ১৮৭১ থেকে ১৮৭৩ সময়কালে ক্রিকেট একাদশের সদস্য ছিলেন। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮৮ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট ও সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
সারেতে জন্মগ্রহণ করলেও কিশোর অবস্থায় কেন্টের ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৮৭১, ১৮৭২ ও ১৮৭৩ সালে উইনচেস্টার একাদশে খেলেছেন। তন্মধ্যে, শেষ বর্ষে দলের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। উইনচেস্টার ছেড়ে চলে আসার পর ১৮৭৪ সালে কেন্টের পক্ষে একটি খেলায় অংশ নেন। মেইডস্টোনে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় কেন্টের প্রতিপক্ষ ছিল ল্যাঙ্কাশায়ার দল। পরের বছর ক্যাটফোর্ড ব্রিজে কাউন্টি একাদশের সদস্যরূপে কেন্ট কোল্টসের বিপক্ষে খেলেন।
১৮৭৭ সালে সারের পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলেন। ১৮৮০ থেকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত সারে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৮৭ সালে তাঁর নেতৃত্বে সারে দল কাউন্টি দলগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করে। পরবর্তী পাঁচ মৌসুমে অপরিমেয় সফলতার সন্ধান পায়।
১৮৮৮ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৮৮ সালে নিজ দেশে পার্সি ম্যাকডোনেলের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১৩ আগস্ট, ১৮৮৮ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ফ্রাঙ্ক সাগ ও হেনরি উডের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ২৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ইনিংস ও ১৩৭ রানে জয়লাভ করলে স্বাগতিকরা তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সমতা আনে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
সব মিলিয়ে ৩০৬টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। তন্মধ্যে, সারের পক্ষে খেলেছেন ২৭৪টি। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১৯১২ সালে টেস্ট দল নির্বাচকের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯২০ সালে সারের সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন।
পেশায় তিনি কাঠ ব্যবসায়ী ও পিপে-নির্মাতা ছিলেন। তাঁর ভ্রাতা লিওনার্ড এ. ১৮৭৬ থেকে ১৮৮৩ সাল পর্যন্ত সারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৮১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী তিনি পিতা লিওনার্ড ও মাতা ক্যারোলিনের সাথে কেন্টের ভ্যাল মাস্কাল এলাকায় বসবাস করতেন। এথেল ও ফ্যানি নাম্নী দুই ভগ্নী ছিল। ৫ জুলাই, ১৯২০ তারিখে লন্ডনের ব্ল্যাকহিদ এলাকায় অবস্থিত নিজ গৃহে ৬৫ বছর ৪৭ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়।
