|

জো কক্স

২৮ জুন, ১৮৮৬ তারিখে নাটালের পিটারমারিৎজবার্গে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯১০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

ক্ষীপ্র গতিসম্পন্ন মিডিয়াম-পেস বোলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। ফিল্ডিংয়ে বেশ দূর্বলতার পরিচয় দেন ও সাধারণমানের নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯১০-১১ মৌসুম থেকে ১৯২১-২২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। অভিষেক মৌসুমেই কারি কাপের প্রথম শিরোপা বিজয়ে অন্যতম ভূমিকা রাখেন। ছয় খেলা থেকে ৩৬ উইকেট দখল করেন। ট্রান্সভালের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৮/২০ লাভ করেন।

১৯১৩ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ১৯১৩-১৪ মৌসুমে নিজ দেশে জনি ডগলাসের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯১৩ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। হ্যারল্ড বমগার্টনার, আলফ্রেড কুপার, ডাস্টি ট্যাপস্কট, জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গ, ফিলিপ হ্যান্ডস ও পাম লুইসের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ২/১২৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ১ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ইনিংস ও ১৫৭ রানে জয়লাভ করে।

একই সফরের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৪ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ০/৩০ ও ০/১৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৪ ও ১২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। ইনিংস ও ১৫৭ রানে জয়লাভ করে সফরকারীরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

তবে, টেস্টগুলো থেকে কোনরূপ সফলতার সন্ধান পাননি। এরপূর্বে, ১৯১২ সালে ত্রি-দেশীয় সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড সফর করলেও কোন টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি। ৪ জুলাই, ১৯৭১ তারিখে রোডেশিয়ার বুলাওয়েতে ৮৫ বছর ৬ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • |

    মাইকেল প্যাপস

    ২ জুলাই, ১৯৭৯ তারিখে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। ২০০০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের সাথে জুটি গড়ার জন্যে তাঁকে নিউজিল্যান্ড দলে রাখা হয়েছিল। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ২০১৮ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে…

  • | | |

    জন আর্নল্ড

    ৩০ নভেম্বর, ১৯০৭ তারিখে অক্সফোর্ডের কাউলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও রেফারি ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে স্লো বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৩০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯২৯ থেকে ১৯৫০ সময়কাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।…

  • | |

    মার্ক ডেকার

    ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে ম্যাশোনাল্যান্ডের গাটুমা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম কিংবা স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। খাঁটিমানসম্পন্ন শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান ও কভার অঞ্চলে চমৎকার ফিল্ডার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপনায় সচেষ্ট ছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ…

  • | | | |

    হাসান তিলকরত্নে

    ১৪ জুলাই, ১৯৬৭ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসক। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। নাছোড়বান্দা ও ক্রিজ আঁকড়ে থাকতেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার উত্থান পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বিদ্যালয় পর্যায়ের ক্রিকেটে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। শুরুতে…

  • | |

    জ্যাক ফিঙ্গলটন

    ২৮ এপ্রিল, ১৯০৮ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়াভার্লি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, সাংবাদিক ও ধারাভাষ্যকার ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৩০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ট্রাম কন্ডাক্টর জেমস ফিঙ্গলটন ও বেলিন্ডা মে দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ১৯১৩ সালে তাঁর পিতা নিউ সাউথ ওয়েলসের আইনসভায় ওয়াভার্লির…

  • |

    কুলদীপ যাদব

    ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। স্লো লেফট-আর্ম চায়নাম্যান বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১.৬৮ মিটার উচ্চতার অধিকারী। রাম সিং ও ঊষা যাদব দম্পতির সন্তান তিনি। প্রিয়া যাদব নাম্নী জ্যেষ্ঠা ভগ্নী রয়েছে। পিতা ইট ভাটার মালিক।…