২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৪ তারিখে বার্বাডোসের ওয়েলচম্যান হল প্ল্যান্টেশন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ফাউন্ডেশন স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৩৯ সালে ফাউন্ডেশন স্কুল ত্যাগ করে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে যোগ দেন। অফ-স্পিন বোলিংয়ে বেশ মিতব্যয়ীতার স্বাক্ষর রাখেন ও মাঝারিসারিতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করতেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৪০-৪১ মৌসুম থেকে ১৯৫৮-৫৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ১৭ বছর বয়সে বার্বাডোসের পক্ষে অভিষেক খেলায় এগারো নম্বর অবস্থানে ব্যাটিংয়ে নেমে শূন্য রানে বিদেয় নেন। ত্রিনিদাদের বিপক্ষে আট-বল নিয়ে গড়া ১৫ ওভারে ১০০ রান খরচ করলেও তিনি কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। তবে, পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে দক্ষ হয়ে উঠেন ও দ্রুততার সাথে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন। সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের তিন মাস পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন। মৎস্য শিকার শেষে ফিরে আসার পর তিনি এ সংবাদ জানেন।
১৯৫৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ঐ বছর নিজ দেশে ইয়ান জনসনের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ৩১ বছর বয়সে ২৬ এপ্রিল, ১৯৫৫ তারিখে জর্জটাউনে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ক্লেয়ারমন্ট ডেপিয়াজা’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। নিম্নমূখী রানের খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল ৮ উইকেট জয়লাভ করে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ০ ও ৮ রান তুলেন। এছাড়াও, ৪৬.৩-২২-৬২-২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করে মিতব্যয়ীতার স্বাক্ষর রাখেন। এরপর দল থেকে বাদ পড়েন। পরবর্তীকালে এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
পরের মৌসুমে ইডব্লিউ সোয়ান্টনের নেতৃত্বাধীন কাউন্টি খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দলের বিপক্ষে ১০০ রান সংগ্রহসহ সাত উইকেট লাভ করেন। সব মিলিয়ে তেত্রিশটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দুই শতক সহযোগে ৩০.৩৮ গড়ে ১৩৩৭ রান সংগ্রহসহ ৩১.৭২ গড়ে ৯০ উইকেট দখল করেছিলেন।
সিঙ্গার কোম্পানীতে নির্বাহী পদে যোগ দেন। এরপর, পেরু ও ভেনেজুয়েলায় ক্রিকেট খেলেন। বার্বাডোসে প্রত্যাবর্তন করে পঞ্চাশের বয়সে এসেও ওয়ান্ডারার্সকে ইন্টারমিডিয়েট বিভাগে নিয়ে যান। জীবনের শেষ দিনগুলোয়ও বেশ কর্মক্ষম ছিলেন। গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকার করতেন ও নিয়মিতভাবে টেনিস খেলায় অংশ নিতেন। ১১ আগস্ট, ২০০৭ তারিখে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাস্টিংসের নিজ গৃহে আকস্মিকভাবে ৮৩ বছর ১৬৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রয় মার্শাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে খেলেছিলেন।
