১৫ ডিসেম্বর, ১৯৩০ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের রাজস্থানের আজমিরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ ইনিংস উদ্বোধনে মাঠে নামতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের ক্রিকেটের সূচনালগ্নে অন্যতম উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন ও অসাধারণ ফিল্ডার ছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের সূচনালগ্ন থেকে স্বীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন। ১৯৪২-৪৩ মৌসুম থেকে ১৯৬৭-৬৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বাহাওয়ালপুর, গুজরাত, করাচী, মুসলিম, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট, রাজপুতানা ও সিন্ধুর প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ভারত বিভাজনের পূর্বে মাত্র ১২ বছর ৭৩ দিন বয়সে রাজস্থানের পক্ষে রঞ্জী ট্রফিতে অংশ নিয়েছিলেন। এরফলে, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের মর্যাদা লাভ করেন। ১৩ রান সংগ্রহ করলেও দলের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। এরপর, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ রান তুলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন।
১৯৫৪ থেকে ১৯৬২ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বমোট ২৫ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫৪ সালে আব্দুল কারদারের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের প্রথম ইংল্যান্ড সফরে অংশ নেন। ওরচেস্টারে শতক হাঁকানোর মাধ্যমে যাত্রা শরু করেন। এরপর, কেমব্রিজের বিপক্ষে আরও একটি শতক হাঁকান। তবে, এরপর থেকে তাঁর খেলায় ছন্দহীনতা লক্ষ্য করা যায়। তিন টেস্ট থেকে মাত্র ৫১ রান তুলতে পেরেছিলেন।
১০ জুন, ১৯৫৪ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। খালিদ ওয়াজির ও শুজাউদ্দীনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১৯ ও ০ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম সিরিজে পুণরায় নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট হন। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে নিজ দেশে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ সিরিজে উভয় দলের মধ্যে সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। তবে, এরপর থেকে খুব কম সময়ই নিজেকে খেলার জগতে নিয়ে গিয়েছিলেন। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে নিজ স্থান হারান।
কিন্তু, ১৯৬১-৬২ মৌসুমে করাচীতে অনুষ্ঠিত সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দূর্দান্ত খেলেছিলেন। ঐ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ১০৯ রান সংগ্রহের পর ৫৩ রান তুলেছিলেন।
১৯৬২ সালে জাভেদ বার্কি’র নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। ২৬ জুলাই, ১৯৬২ তারিখে নটিংহামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। ০ ও ১১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে স্বাগতিকরা ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
করাচী ‘বি’ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের পর জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের পক্ষে কাজ করার সুবাদে লন্ডনে চলে যান। ১২ জুলাই, ২০১২ তারিখে হ্যারোর নর্থউইক পার্ক হাসপাতালে ৮১ বছর ২১০ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
