১ এপ্রিল, ১৯৫৩ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৬৯-৭০ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী, পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংক, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্ট ও সিন্ধুর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তন্মধ্যে, ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে সিন্ধুর সদস্যরূপে বালুচিস্তানের বিপক্ষে ৪২৮ রান তুলে নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এ সংগ্রহটি সর্বকালের সেরাদের তালিকায় সপ্তম সর্বোচ্চ রান হিসেবে চিত্রিত হয়ে আছে।
১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে মাত্র দুই টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রাহাম ডাউলিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৮ নভেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। টেস্ট অভিষেককালীন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ২৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।
১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে, কোন টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়নি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বিশাল অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ৪২৮ নম্বর কক্ষ বরাদ্দ করে। দ্বিতীয় টেস্টটি খেলেন পাঁচ বছর পর।
১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে নিজ দেশে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫ তারিখে লাহোরে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, ১২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। পাশাপাশি, ০/১৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। কিন্তু, ১৯৭০-এর দশকে পাকিস্তানের শক্তিশালী ব্যাটিং অবস্থানের কারণে তাঁকে আর দলের স্থায়ী সদস্যরূপে রাখা হয়নি।
২৪ জানুয়ারি, ২০২২ তারিখে ৬৮ বছর ২৯৮ দিন বয়সে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
