|

জন শার্প

৯ ডিসেম্বর, ১৮৬৬ তারিখে নটিংহ্যামশায়ারের রাডিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

পিতা স্যামুয়েল শার্প দুইবার নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। তিনি দুইবার দ্বাবিংশতিতম কোল্টস বনাম নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে খেলে উভয়ক্ষেত্রে প্রাইজ বল লাভ করেন। তবে, কাউন্টির পক্ষে আর কোন যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পাননি। বেডফোর্ড টাউন ও সেন্ট হেলেন্স সিসি’র পক্ষে খেলার পর সারে দলে যোগ দেন।

ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ার ও সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৮৯ থেকে ১৮৯৪ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের ২২৯তম খেলোয়াড় হিসেবে যুক্ত হন। মে, ১৮৮৯ সালে ওভালে এসেক্সের বিপক্ষে তাঁর অভিষেক হয়। ঐ একই বছর সাউথ বনাম নর্থের খেলায় অংশ নেন। সারে দলের তারকা খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান। বিখ্যাত তারকা খেলোয়াড় জর্জ লোহমানের সাথে উদ্বোধনী জুটি গড়ে বিরাট সফলতার স্বাক্ষর রাখেন।

১৮৯০ থেকে ১৮৯২ সাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে মাত্র তিন টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়েছিল তাঁর। ১১ উইকেট দখল করেছিলেন। ১৮৯০ সালে নিজ দেশে বিলি মারডকের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১১ আগস্ট, ১৮৯০ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ফ্রেড মার্টিন ও জেমস ক্রান্সটনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ১/৮ ও ১/১০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। পাশাপাশি, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, অপরাজিত ৫ ও অপরাজিত ২ রানের ইনিংস খেলেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে সংগৃহীত তাঁর দুই রান বেশ গুরুত্বতা বহন করে। জ্যাক বারেট সহজ রান-আউট করতে ব্যর্থ হলে ওভারথ্রোয়ের কারণে ইংল্যান্ড দল দুই উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

শক্ত উইকেটে দক্ষতার কারণে ১৮৯১-৯২ মৌসুমে ডব্লিউজি গ্রেসের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমনকল্পে শীর্ষ পর্যায়ে থাকেন। পর্যাপ্ত সফলতা পান। এমসিজিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৫১ ওভারে ৬/৮৪ লাভ করেন।

এরপর, ২৯ জানুয়ারি, ১৮৯২ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২৬ ও ৪* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৩১ ও ১/৯১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ৭২ রানে জয় পেলে স্বাগতিকরা তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

সব মিলিয়ে ৮২টি প্রথম-শ্রেণীর খেলা থেকে ১৬.০৬ গড়ে ৩৩৮ উইকেট পেয়েছিলেন।

১৮৯২ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ক্রিকেটের বাইরে জ্যাক শার্প নামধারন করে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নটস দলে খেলেন। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ফরওয়ার্ড হিসেবে তিনটি খেলায় অংশ নিলেও কোন গোল করতে পারেননি। পেশায় ফ্রেমওয়ার্ক নিটার ছিলেন।

১৯ জুন, ১৯৩৬ তারিখে নটিংহ্যামশায়ারের রাডিংটন এলাকায় নিজ গৃহে ৬৯ বছর ১৯৩ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • |

    সিড বার্নস

    ৫ জুন, ১৯১৬ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের অ্যানানডেল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। চমৎকার ক্রিকেটার ও অদ্ভূত চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। ডন ব্র্যাডম্যানের নেতৃত্বাধীন ‘অপরাজেয় দলের’ সদস্য ছিলেন। সচরাচর ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে খেলতেন। অগণিত দূর্ভাগা খেলোয়াড়ের অন্যতম…

  • |

    মঈন আলী

    ১৮ জুন, ১৯৮৭ তারিখে বার্মিংহামে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলে থাকেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। পাশাপাশি ডানহাতে কার্যকর অফ-ব্রেক বোলিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ইংল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘মো’ ডাকনামে পরিচিতি পান। ৬ ফুট উচ্চতার অধিকারী মঈন আলী মোজলে স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। কিশোর বয়সেই তাঁর মাঝে দ্রুত রান সংগ্রহের প্রবণতা লক্ষ্য…

  • | |

    গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন

    ২৬ মে, ১৯৬৬ তারিখে ওয়াইকাতোর হ্যামিল্টনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসতেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম থেকে ২০০১-০২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে নর্দার্ন…

  • | | |

    ভিভ রিচার্ডস

    ৭ মার্চ, ১৯৫২ তারিখে অ্যান্টিগুয়ার সেন্ট জোন্সে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেট তারকা ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে স্লো কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ক্রিকেটে নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন। সামনের পায়ের উপর ভর…

  • | | |

    অ্যাশওয়েল প্রিন্স

    ২৮ মে, ১৯৭৭ তারিখে কেপ প্রভিন্সের পোর্ট এলিজাবেথ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাটিং ও বোলিংয়ের পাশাপাশি খাঁটি মানসম্পন্ন ফিল্ডার হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম…

  • |

    ইয়ান লেগাট

    ৭ জুন, ১৯৩০ তারিখে সাউথল্যান্ডের ইনভারকার্গিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংকর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর মিডিয়াম বোলিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ১৯৫০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। নেলসন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন। এ সময়ে তিনি ক্রিকেট ও রাগবি খেলায় অংশ নিতেন। পরবর্তীতে ক্রিকেট খেলাকেই বেছে নেন। অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের…