| |

কেন মিউলম্যান

৫ সেপ্টেম্বর, ১৯২৩ তারিখে ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ইনিংস উদ্বোধনের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক বোলিং করতে পারতেন। ১৯৪০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৯৪৫-৪৬ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ভিক্টোরিয়ার পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। দলটিতে ছয় মৌসুম খেলেছিলেন। ২৮টি শেফিল্ড শীল্ডের খেলায় অংশ নিয়ে ১৮৮১ রান তুলেছিলেন।

১৯৫২ সালে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। তাৎক্ষণিকভাবে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার তারকা খেলোয়াড়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ৪৮ খেলা থেকে ১১ শতক সহযোগে ৫১.৪৮ গড়ে ৩৩৯৮ রান তুলেছিলেন। অপরাজিত ২৩৪ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন। শেফিল্ড শীল্ডে ৪২ খেলার মধ্যে ৩২টিতে দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ৫৩.২৪ গড়ে ৩০৩৫ রান তুলেছিলেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে শীর্ষ রান সংগ্রাহক ছিলেন।

১৯৪৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৪৫-৪৬ মৌসুমে বিল ব্রাউনের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সাথে প্রথম সফরে নিউজিল্যান্ড যান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের ইতিহাসে এটিই অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী খেলা ছিল। ২৯ মার্চ, ১৯৪৬ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। কলিন ম্যাককুল, ডন টলন, আর্নি টোশ্যাক, ইয়ান জনসন, কিথ মিলাররে লিন্ডওয়ালের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। তবে, একমাত্র ইনিংসটিতে কোন রান সংগ্রহ করতে পারেননি। চার দিন নিয়ে গড়া ঐ টেস্টটি দুই দিনে শেষ হয়ে যায়। স্বাগতিক দল ৪২ ও ৫৪ রানে গুটিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের কাছে ইনিংস ও ১০৩ রানে পরাভূত হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। তবে, ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে আবারও নিউজিল্যান্ড গমন করেছিলেন।

তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেটের প্রসারণে শক্ত সমর্থক ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর অনেকগুলো বছর কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। জাস্টিন ল্যাঙ্গারের ন্যায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটারের উত্তরণে সরাসরি ভূমিকা রেখেছিলেন। ২০০১ সালে ভিনটেজ বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। তাঁর সম্মানার্থে মিউলম্যান শীল্ডের প্রবর্তন করা হয়।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। তাঁর সন্তান বব ও নাতি স্কট ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষাবলম্বন করেছেন। এরফলে, তিন প্রজন্ম ধরে রাজ্য দলের সাথে তাঁরা যুক্ত হয়েছেন। দীর্ঘদিন অস্থি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। অতঃপর, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ তারিখে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হলিউড প্রাইভেট হাসপাতালে ৮১ বছর ৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | | |

    স্টিফেন ফ্লেমিং

    ১ এপ্রিল, ১৯৭৩ তারিখে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, নিউজিল্যান্ড দলকে সকল স্তরের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্ণাঢ্যময় ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ চিত্তে খেলায় অংশ নিতেন। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক হিসেবে পরিচিতি লাভ…

  • |

    পিটার কার্স্টেন

    ১৪ মে, ১৯৫৫ তারিখে নাটালের পিটারমারিৎজবার্গে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মাঝে-মধ্যে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ১৯৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন সরব রেখেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বর্ডার ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এবং…

  • |

    কুলদীপ যাদব

    ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। স্লো লেফট-আর্ম চায়নাম্যান বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১.৬৮ মিটার উচ্চতার অধিকারী। রাম সিং ও ঊষা যাদব দম্পতির সন্তান তিনি। প্রিয়া যাদব নাম্নী জ্যেষ্ঠা ভগ্নী রয়েছে। পিতা ইট ভাটার মালিক।…

  • | |

    হ্যারল্ড জিলিগান

    ২৯ জুন, ১৮৯৬ তারিখে লন্ডনের ডেনমার্ক হিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে সবিশেষ পারদর্শী ছিলেন। ১৯৩০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ফেয়ারফিল্ড স্কুল ও ডালউইচ কলেজে পড়াশুনো করেছেন। তিন বছর ডালউইচ একাদশে খেলেন। তন্মধ্যে, ১৯১৫…

  • | | | | |

    জন রিড, ১৯২৮

    ৩ জুন, ১৯২৮ তারিখে অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, কোচ, প্রশাসক ও রেফারি ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে অংশ নিতেন। পাশাপাশি, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষণেও অগ্রসর হতেন। নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। বিদ্যালয় জীবনে খেলাধূলায় বেশ দক্ষতার পরিচয় দেন। ১৯৪৩ সালে হাট ভ্যালি হাই স্কুলে থার্ড ফর্মে থাকাকালীন…

  • | | |

    সৌরভ গাঙ্গুলী

    ৮ জুলাই, ১৯৭২ তারিখে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বেহালায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও প্রশাসক। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে সবিশেষ পারদর্শী ছিলেন। ভারত দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। সেন্ট জাভিয়ার্স কলেজে পড়াশুনো করেছেন। বাংলা ক্রিকেট দলের পক্ষাবলম্বনকারী জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা স্নেহাশীষের পদাঙ্ক অনুসরণে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ…