| |

হ্যান্স এবলিং

১ জানুয়ারি, ১৯০৫ তারিখে ভিক্টোরিয়ার অ্যাভোকা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্র্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৩০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২৩-২৪ মৌসুম থেকে ১৯৩৭-৩৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৭/৩৩ পান। তন্মধ্যে, হ্যাট্রিক লাভ করেছিলেন। কৌশলগতভাবে বেশ দক্ষ ও বেশ সময়ানুবর্তী হিসেবে ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ সময়কালে ভিক্টোরিয়া দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। চার মৌসুমের মধ্যে দুইবার শেফিল্ড শীল্ডের শিরোপা জয়ে ভূমিকা রাখেন। ভিক্টোরিয়ার পক্ষে ৩১.১৭ গড়ে ১১৭ উইকেট দখল করেন। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে এমসিসি’র নেতৃত্বে থেকে পাঁচবার ভিসিএ প্রিমিয়ারশীপে নিয়ে যান। সাতবার ক্লাবটির বোলিং গড়ে শীর্ষে ছিলেন। ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে সেরা সময় কাটান। ১২.০১ গড়ে ৬২ উইকেট দখল করেন। ১৯৩৩ সালে ডগলাস জার্ডিনের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের বডিলাইন সফরে ভিক্টোরিয়ার সদস্যরূপে দারুণ খেলেছিলেন।

১৯৩৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন। ঐ বছর বিল উডফুলের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৮ আগস্ট, ১৯৩৪ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টে উল্লেখযোগ্য সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। তিনটি উইকেট পান। তন্মধ্যে, তারকা ক্রিকেটার ওয়াল্টার হ্যামন্ডের উইকেট ছিল। এরপর, দ্বিতীয় ইনিংসে দশ নম্বর অবস্থানে ৪১ রানের অমূল্য ইনিংস উপহার দেন। শেষ উইকেটে বিল ও’রিলি’র সাথে চল্লিশ মিনিটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন। ঐ খেলায় তাঁর দল ৫৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। জয়লাভ করেছিল। এ সফরে ২০.৮০ গড়ে ৬২ উইকেট দখল করেছিলেন।

এমবিই পদবীধারী হন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ধাবিত হন। ১৯৭৭ সালের শতবার্ষিকী টেস্ট আয়োজনের চিন্তাধারা তিনি তুলে ধরেন ও সফলকাম হন। ১২ জানুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে ভিক্টোরিয়ার ইস্ট বেন্টলেই এলাকায় ৭৫ বছর ১১ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সম্মানার্থে ক্রীড়ায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮১ সালে হ্যান্স এবলিং পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। ১৯৯৯ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব তাঁকে শতাব্দীর সেরা দলে অন্তর্ভুক্ত করে।

Similar Posts

  • | |

    মার্ক ওয়াহ

    ২ জুন, ১৯৬৫ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্যান্টারবারি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। পিতা ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাতা নিউ সাউথ ওয়েলসের শিক্ষা বিভাগের অধীন শিক্ষক ছিলেন। স্টিভ ওয়াহ ছাড়াও ডিন ও…

  • | | |

    ভিক রিচার্ডসন

    ৭ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ তারিখে অ্যাডিলেডের পার্কসাইড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্টার্ট ক্লাবের পক্ষে ১৯১৫ থেকে ১৯২৭ সালের মধ্যে ১১৪ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এ সময়ে ক্লাব ও রাজ্য দল – উভয়টির পক্ষে অধিনায়কের…

  • |

    কেএল রাহুল

    ১৮ এপ্রিল, ১৯৯২ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ২০১০-১১ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটক ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ব্যাঙ্গালোর ব্রিগেডিয়ার্স,…

  • |

    কাইল জেমিসন

    ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে তিনি মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত তিনি। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। ‘কিলা’ ডাকনামে ভূষিত কাইল জেমিসন ৬ ফুট ৮ ইঞ্চির দীর্ঘ উচ্চতার অধিকারী। বেশ লম্বাটে গড়ন নিয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হন ও পেস বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের…

  • | |

    এরিক ডেম্পস্টার

    ২৫ জানুয়ারি, ১৯২৫ তারিখে ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সরব ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।…

  • |

    শহীদ মাহমুদ

    ১৭ মার্চ, ১৯৩৯ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন ও বামহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বামহাতে ব্যাটিং উদ্বোধন করতেন ও কার্যকর মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন।…