|

কেনেথ হাচিংস

৭ ডিসেম্বর, ১৮৮২ তারিখে কেন্টের টানব্রিজ ওয়েলসের কাছাকাছি সাউথবোরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

টনব্রিজ স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী চার ভ্রাতার সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন। সার্জন পিতার সন্তান হিসেবে তাঁরা সকলেই টনব্রিজ স্কুলের পক্ষে ক্রিকেট খেলেছেন। তন্মধ্যে, তাঁর ক্রিকেটীয় প্রতিভাই শ্রেয়তর ছিল। ১৮৯৮ সাল থেকে ১৯০২ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয় একাদশে স্বীয় ভ্রাতা উইলিয়ামের নেতৃত্বে খেলেন। শেষ দুই বছর তিনিও দলের নেতৃত্বে ছিলেন।

কব্জী ও হাতে অপরিসীম শক্তিমত্তার অধিকারী ছিলেন। কাট ও ড্রাইভে সেরা ফিল্ডারদেরকেও বিমোহিত করতেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯০২ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। বিদ্যালয় থেকে চলে আসার প্রথম বছরেই অন্যান্য শৌখিন খেলোয়াড়ের ন্যায় তিনিও আরও অভিজ্ঞতা লাভ করতে থাকেন। আগস্ট, ১৯০২ সালে টনব্রিজে কেন্ট বনাম ওরচেস্টারশায়ারের মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। ১৯০৩ সালে কেন্টের ৬০তম ক্যাপ লাভের অধিকারী হন। তাঁর খেলোয়াড়ী জীবন স্বল্পকালীন ছিল। তাসত্ত্বেও তিনি আদর্শস্থানীয় ছিলেন।

খেলার প্রথম বল থেকেই বোলিংয়ের উপর খবরদারী চালাতে শুরু করতেন। প্রাপ্ত ২২ শতকের মধ্যে কমপক্ষে বারোটিতে মিনিটপ্রতি রান তুলতে সচেষ্ট ছিলেন। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ‘নিজের সেরা দিনগুলোয় সর্বাপেক্ষা উদীয়মান ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন।’

১৯০৭ থেকে ১৯০৯ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে মাত্র সাতটি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯০৭-০৮ মৌসুমে ফ্রেডরিক ফেনের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯০৭ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। জর্জ গান, জো হার্ডস্টাফ ও ডিক ইয়ংয়ের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৪২ ও ১৭ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। সফরকারীরা ২ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

১৯০৯ সালে নিজ দেশে মন্টি নোবেলের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ৯ আগস্ট, ১৯০৯ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/১৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও সফরকারীরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

১৯০৭ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ১৯৩৮ সাল শেষে দীর্ঘ খেলোয়াড়ী জীবন শেষে ফ্রাঙ্ক ওলি তাঁকে সেরা ড্রাইভের অধিকারী হিসেবে চিত্রিত করেন। নিজের সেরা দিনগুলোয় সীমানার শেষদিকে পাঁচজন ফিল্ডার যথেষ্ট ছিল না। প্যাভিলিয়নের জানালা বরাবর তাঁর সোজা ড্রাইভগুলো আঁছড়ে পড়তো। তাঁর ড্রাইভের কল্যাণে ক্যান্টারবারির প্যাভিলিয়নের শীর্ষে অবস্থানরত তাঁর মাতার হাতঘড়ি ভেঙ্গে যায়। অন্য যে-কোন ক্রিকেটারের চেয়ে সর্বাগ্রে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কৃতিত্ব দেখান। ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯১৬ তারিখে ফ্রান্সের গিঞ্চি এলাকায় সোমের যুদ্ধে মাত্র ৩৩ বছর ২৭১ দিন বয়সে তিনি নিহত হন।

Similar Posts

  • | |

    সেলিম মালিক

    ১৬ এপ্রিল, ১৯৬৩ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ মাঝারিসারিতে আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ডানহাতে স্লো-মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে অংশ নিতেন। পাকিস্তানের অধিনায়কের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। সহজাত প্রকৃতির প্রতিভাবান ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। বর্ণাঢ্যময় চরিত্রের অধিকারী থেকে ব্যাটকে বেশ উঁচুতে তুলে ধরতেন। অফ-সাইডে স্কয়ার অঞ্চলে খেলতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।…

  • | | |

    হাবিবুল বাশার

    ১৭ আগস্ট, ১৯৭২ তারিখে কুষ্টিয়া জেলার নাগাকান্দা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-স্পিন বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ‘সুমন’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের…

  • | | |

    নামি ডিন

    ২১ জুলাই, ১৮৯৫ তারিখে জুলুল্যান্ডের এশোই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ও কার্যকর বোলিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, দক্ষ ফিল্ডার হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছিলেন। পয়েন্ট, সিলি-পয়েন্ট, মিড-অন ও শর্ট-লেগের ন্যায় কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করতেন। আকর্ষণীয় ধাঁচে ব্যাটিং করতেন। উইকেটে…

  • |

    পিটার কার্স্টেন

    ১৪ মে, ১৯৫৫ তারিখে নাটালের পিটারমারিৎজবার্গে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মাঝে-মধ্যে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ১৯৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন সরব রেখেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বর্ডার ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এবং…

  • | |

    অশান্ত ডিমেল

    ৯ মে, ১৯৫৯ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৮০-এর দশকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার প্রথমদিককার প্রাণবন্তঃ ও সেরা ডানহাতি ফাস্ট বোলার ছিলেন। পর্যাপ্ত বাউন্স ও আউট সুইঙ্গার প্রদান সক্ষম ছিলেন। ফলশ্রুতিতে, ব্যাটসম্যানকে বলের কাছাকাছি নিয়ে যেতে…

  • | |

    কেনরয় পিটার্স

    ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে সেন্ট ভিনসেন্টে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ২০১০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। পাড়ার ক্রিকেটে অংশ নিতেন। ২০০০ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে উইন্ডওয়ার্ড…