৭ ডিসেম্বর, ১৮৬৯ তারিখে ভিক্টোরিয়ার ক্যাসলমেইন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও লেখক ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
জোনাস লেভার ও মেরি অ্যান দম্পতির সাত পুত্র সন্তানের মধ্যে পঞ্চম ছিলেন। ক্যাসলমেইন গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেন। ১৮৮৭ থেকে ১৮৯৫ সময়কালে আইন বিভাগে কেরাণীর চাকুরী করেন। এর পূর্বে স্বীয় ভ্রাতা রল্ফের কলিংউড ফল প্রক্রিয়াকরণ ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। ১৮৮৭ সালে ইস্ট মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন। ১৮৯২-৯৩ মৌসুমে ক্লাবের পক্ষে রেকর্ডসংখ্যক ৩৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
১৮৯১-৯২ মৌসুম থেকে ১৯১১-১২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ইস্ট মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে দূর্দান্ত খেলার সুবাদে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০৪ রান তুলেন। পরবর্তী বছরগুলোয় প্রায়শঃই ভিক্টোরিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতেন।
১৮৯৯ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বমোট ১৫ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ১৯০১-০২ মৌসুমে সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে খেলেন। এছাড়াও, ১৮৯৯, ১৯০৩-০৪, ১৯০৫ ও ১৯০৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। তন্মধ্যে, ১৯০৫ ও ১৯০৯ সালের সফরে দলের খেলোয়াড়-ব্যবস্থাপকের যৌথ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯১৩-১৪ মৌসুমে আর্থার সিমসের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলীয় দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান।
১৮৯৯ সালে জো ডার্লিংয়ের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। ১ জুন, ১৮৯৯ তারিখে নটিংহামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ভিক্টর ট্রাম্পারের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি উভয় ইনিংসে ৩ রান করে সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
১৯০৫ সালে নটিংহামে ৭/৬১ ও ১৯০৯ সালে ম্যানচেস্টারে ৮/৩১ লাভ করেন।
১৯০৯ সালে মন্টি নোবেলের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ৯ আগস্ট, ১৯০৯ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৮* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/১৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও সফরকারীরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
টেস্টগুলো থেকে ২৫/৯৭ গড়ে ৩৭ উইকেট দখল করেছিলেন। শেফিল্ড শীল্ডের খেলায় ২৭৬০ রান ও ১০৮ উইকেট পেয়েছিলেন।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ক্রিকেটের বাইরে বেসবল খেলায় দক্ষ ছিলেন। ১৮৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্বে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯১৪ তারিখে কেটি মার্টল অ্যাডেল মেজর নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। পুত্র ও কন্যা রয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯১৯ তারিখে ভিক্টোরিয়ার ইস্ট মেলবোর্ন এলাকায় মাত্র ৪৯ বছর ২৯১ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। ব্রাইটন সমাধিক্ষেত্রে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
