|

তানজিম হাসান সাকিব

২০ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে সিলেটে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। পাশাপাশি, ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

২০২০-২১ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে সিলেট বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সিলেট স্ট্রাইকার্স, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, আবাহনী লিমিটেড, গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স, বাংলাদেশ ‘এ’, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলেছেন। ২৯ মার্চ, ২০২১ তারিখে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত সিলেট বিভাগ বনাম ঢাকা বিভাগের মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান।

২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ২০২৫ সালে নিজ দেশে ক্রেগ আরভিনের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ীয় দলের মুখোমুখি হন। ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সফররত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ৪১ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৪৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। মেহেদী হাসান মিরাজের অসাধারণ অল-রাউন্ড শৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১০৬ রানে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ করতে সক্ষম হয়। তবে, এর পূর্বেই অবশ্য ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে কলম্বোর আরপিএসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রবেশ করেছিলেন।

২০২৪ সালের টি২০ বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশের সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে নিজের পরিচিতি ঘটান। ঐ প্রতিযোগিতায় ১৩.৫৪ গড়ে ১১ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, নেপালের বিপক্ষে ৪/৭ লাভ করেন। পেস সহযোগে পরিবেশ অনুযায়ী সিম কিংবা সুইংয়ের সংমিশ্রণ ঘটাতে পারেন। তিনি এতোটাই সফল ছিলেন যে, শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে বাংলাদেশ দলের ব্যবস্থাপনা পরিষদ এ খেলার পরই ছন্দে থাকা অবস্থায় প্রতিযোগিতার শুরুতেই বামহাতিকে হটিয়ে দলে জায়গা করে নেন।

বাংলাদেশ দলে এটিই প্রথমবারের মতো তাঁর দীর্ঘ সময় ধরে অংশগ্রহণ ছিল। সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের পর থেকে কোন সিরিজ বা প্রতিযোগিতায় একাধারে দুইয়ের অধিক খেলায় অংশ নিতে পারেননি। অবশ্য, এ সময়ে বাংলাদেশ দলে সম্ভাবনাময় বেশ কয়েকজন ফাস্ট বোলার অবস্থান করছিলেন।

২০২০ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় শিরোপা বিজয়ী বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি সাত উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, ভারতের বিপক্ষে চূড়ান্ত খেলায় দুই উইকেট লাভ করেন। প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হবার পর ২০১৭ সালে বিকেএসপিতে ভর্তি হন। এমএস ধোনিমুশফিকুর রহিমকে পছন্দের শীর্ষে রেখেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলতে ৮ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে ঘোষিত বাংলাদেশ দলে তাসকিন আহমেদের বাম পায়ের গোঁড়ালিতে আঘাত ও পিএসএল খেলতে লিটন দাসের আবেদন মঞ্জুরের কারণে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন।

Similar Posts

  • |

    সৈয়দ মুশতাক আলী

    ১৭ ডিসেম্বর, ১৯১৪ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী ও পরিপাটি অবস্থায় খেলতে নামতেন। ভারতের শুরুরদিকের ক্রিকেটারদের অন্যতম ছিলেন। অনেকাংশেই তিনি বলিউডের নায়কের ন্যায় ছিলেন। ক্রিজে…

  • | |

    স্টুয়ার্ট কার্লাইল

    ১০ মে, ১৯৭২ তারিখে সলসবারিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ২০০৫-০৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। অত্যন্ত দক্ষ ও কার্যকর ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ…

  • |

    সনি রামাদিন

    ১ মে, ১৯২৯ তারিখে ত্রিনিদাদের সেন্ট চার্লস ভিলেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের অমূল্য অফ-স্পিনার ছিলেন। জন্মসনদে তাঁর নামের প্রথমাংশ ছিল না। কেবলই ‘বয়’ নামে পরিচিত ছিলেন। ফলশ্রুতিতে, কেবলমাত্র ‘সনি’ ডাকনামে…

  • | |

    বিজয় হাজারে

    ১১ মার্চ, ১৯১৫ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের সাংলী এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারত দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারতের অন্যতম কিংবদন্তীতূল্য ব্যাটসম্যান। চীরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও দলীয় সঙ্গী বিজয় মার্চেন্টকে সাথে নিয়ে বোম্বে স্কুলের অগ্রযাত্রায় অংশ নেন। ভারতীয় ক্রিকেটের শুরুর বছরগুলোয়…

  • |

    মাইক ম্যাকাউলি

    ১৯ এপ্রিল, ১৯৩৯ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে মিডিয়াম কিংবা স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ভ্রমণপ্রিয় ক্রিকেটার হিসেবে সম্যক পরিচিতি পান। পাঁচটি রাজ্য দলের পক্ষে খেলেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে…

  • | |

    মার্ক ওয়াহ

    ২ জুন, ১৯৬৫ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্যান্টারবারি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। পিতা ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাতা নিউ সাউথ ওয়েলসের শিক্ষা বিভাগের অধীন শিক্ষক ছিলেন। স্টিভ ওয়াহ ছাড়াও ডিন ও…