৪ এপ্রিল, ১৯৯১ তারিখে তামিলনাড়ুর সালেম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলছেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল। পিতা রেলওয়ে স্টেশনে মুটের কাজ করেন ও মাতা রাস্তার পার্শ্বে খাবারের দোকান পরিচালনা করছেন। তাঁর এক ভাই ও তিন বোন রয়েছে। জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসেবে প্রায়শঃই তাঁকে পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে চিহ্নিত থাকতে দেখা যায়।
অন্যান্য ভারতীয় শিশুর ন্যায় তিনিও টেনিস-বলের মাধ্যমে ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকে পড়েন। কোন একদিন বিভাগীয় ক্রিকেটার এ. জয়প্রকাশ তাঁর মাঝে বোলার হিসেবে দক্ষতার চিত্র চিহ্নিত করেন। স্থানীয় পর্যায়ের ক্রিকেট খেলতে উৎসাহিত করেন। চেন্নাইয়ে চলে যান ও শহরের একটি ক্রিকেট ক্লাবে যুক্ত হন।
তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার পরিচালনাধীন চতুর্থ বিভাগ লীগের প্রতিনিধিত্বকারী দল বিএসএনএলের সদস্যরূপে দারুণ খেলে প্রথমবারের নিজেকে সংবাদ শিরোনামে নিয়ে আসেন। এরপর প্রায় এক বছর প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে বিজয় ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। পরবর্তীতে, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মুরালী বিজয়ের ন্যায় তারকাসমৃদ্ধ জনপ্রিয় ক্লাব জোলি রোভার্সে চলে যান।
২০১৪-১৫ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে তামিলনাড়ুর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ডিন্ডিগাল ড্রাগন্স, কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব লাইকা কোভাই কিংস ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পক্ষে খেলেছেন।
৫ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে কলকাতায় রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় তামিলনাড়ুর পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। আয়োজক দল বাংলার বিপক্ষে ঐ খেলার প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট পান ও খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পান। তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লীগের উদ্বোধনী আসরে ডিন্ডিগাল ড্রাগন্সের প্রতিনিধিত্ব করেন।
উইকেট প্রতি গড় রান খরচ করা ও মিতব্যয়ী বোলিংয়ের কারণের পাশাপাশি উইকেট লাভে দক্ষতা প্রদর্শনের ফলে দল নির্বাচকমণ্ডলী তাঁকে তামিলনাড়ুর রঞ্জী ট্রফি দলের সদস্যরূপে মনোনীত করে। ২০১৭-১৮ মৌসুমে কঁনুইয়ের আঘাতের কারণে খেলতে পারেননি।
ঘরোয়া ক্রিকেট ও টিএনপিএলে দারুণ খেলা প্রদর্শনের কারণে আইপিএলের ২০১৭ সালের আসরে কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব কর্তৃপক্ষের সাথে ₹৩ কোটি রূপীর বিনিময়ে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। আইপিএলের ঐ মৌসুমে ৬ খেলায় অংশ নিয়ে ২ উইকেট পান। সাধারণমানের ক্রীড়াশৈলীর পর ২০১৮ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সাথে ₹৪০ লাখ রূপীর বিনিময়ে যুক্ত হন। তবে পুরো মৌসুম জুড়েই অভিজ্ঞ বোলারদের কারণে তাঁকে মাঠের পার্শ্বে অবস্থান করতে হয়েছে।
২০২০ সাল থেকে ভারতের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ২০২০-২১ মৌসুমে অজিঙ্কা রাহানে’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ২ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জগতে প্রবেশ করেন। একই সফরের ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত টি২০আইয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নেন।
১৫ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। ওয়াশিংটন সুন্দরের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৩/৭৮ ও ০/৪১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, ঋষভ পন্তের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কারণে সফরকারীরা ৩ উইকেটে জয়লাভ করে ও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ করায়ত্ত্ব করে নেয়।
