|

জর্জ পার্কার

২৭ মে, ১৮৯৯ তারিখে কেপ প্রভিন্সের কেপটাউনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯২০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

চার বছর ইংল্যান্ডে অবস্থান করেন। অ্যাক্রিংটন সিসি’র পক্ষে খেলেছিলেন। ১৯২৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ব্রাডফোর্ড লীগে একলেসহিলের পক্ষে খেলেন। হার্বি টেলরের নেতৃত্বাধীন দলটি ইংল্যান্ড সফরে থাকাকালীন তাঁকে দলে যুক্ত করা হয়েছিল। কোনরূপ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ না নিলেও সফররত দক্ষিণ আফ্রিকান একাদশের সদস্যরূপে অক্সফোর্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। তবে, খেলাটি চার ঘণ্টা পর পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়। এ পর্যায়ে দূর্দান্ত পেস বোলিং করে ৪/৩৪ পান। তন্মধ্যে, তিনটি বোল্ড ছিল ও তাঁর বোলিং থেকে তিনটি ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার সদস্যরূপে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯২৪ সালে হার্বি টেলরের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরেই টেস্টগুলো খেলেন। ১৪ জুন, ১৯২৪ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী অংশ নেন। নামি ডিন ও ফ্রেড সাসকিন্ডের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। সিড পেগলারের পরিবর্তে তাঁকে খেলানো হয়। ব্যক্তিগতভাবে বেশ সফল ছিলেন। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৬/১৫২ লাভ করেন তিনি। তন্মধ্যে, প্রথম দিনেই পেয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। এরফলে, ষষ্ঠ দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে অভিষেকে পাঁচ-উইকেট ও তৃতীয় বোলার হিসেবে অভিষেকে ছয়-উইকেট লাভের অধিকারী হন। উইজডেনে মন্তব্য করা হয় যে, ‘তিনি নিশ্চলচিত্তে নিজের সাথে নিজেকে যুদ্ধ করছিলেন। এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে মাঠ ত্যাগ করেছিলেন।’ দ্য টাইমসে উল্লেখ করা হয় যে, তিনি দ্রুততার সাথে বোলিং করেছিলেন। এছাড়াও, এগারো নম্বর অবস্থানে ব্যাটিংয়ে নেমে ০ ও অপরাজিত ২ রান তুলেন। ইনিংস ও ১৮ রানে জয়লাভ করলে স্বাগতিকরা সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ২৮ জুন, ১৯২৪ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। স্বাগতিক দল ৫৩১/২ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। হবস ও সাটক্লিফের ঐ দুই উইকেট লাভ করতে তিনি ১২১ রান খরচ করেন। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে অপরাজিত ১ ও গোল্ডেন ডাক পান। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৮ রানে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

হার্বি টেলরের নেতৃত্বাধীন দলটি এ সফরে একেবারেই জবুথবু অবস্থায় সফর শেষ করে। কেবলমাত্র ফেনার্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় জয় পায়। এছাড়াও, একমাত্র বোলার হিসেবে এ সফরে তিনি কিছুটা সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। এরপর, আর তিনি কোন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেননি। তবে, ব্রাডফোর্ড লীগে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ১৯২৯ সালে মার্গারিট গ্রেস পেগ ইলিংওয়ার্থ নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির পাঁচ সন্তান ছিল। ভেড়াপালক ছিলেন ও অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন। ১ মে, ১৯৬৯ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার থ্রেডবো এলাকায় ৬৯ বছর ৩৩৯ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • |

    ভাগবত চন্দ্রশেখর

    ১৭ মে, ১৯৪৫ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কর্ণাটকের মহীশূরে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। লেগ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাঁচ বছর বয়সে ডানহাতে পোলিওতে আক্রান্ত হন। তিন মাস তাঁকে হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়। এ পঙ্গুত্বের ফলে তাঁর বাহু অতি নমনীয় পর্যায়ে…

  • |

    জেমস অ্যান্ডারসন

    ৩০ জুলাই, ১৯৮২ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের বার্নলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও পেশাদার ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘জিমি’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) উচ্চতার অধিকারী জেমস অ্যান্ডারসন সেন্ট থিওডর্স আরসি হাই স্কুলে…

  • | |

    স্টিভ স্মিথ

    ২ জুন, ১৯৮৯ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনিতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৬ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। পিটার স্মিথ ও জিলিয়ান স্মিথ দম্পতির সন্তান। ক্রিস্টি স্মিথ নাম্নী জ্যেষ্ঠা…

  • | |

    সালমান বাট

    ৭ অক্টোবর, ১৯৮৪ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গীমায় ইংরেজি ভাষায় পারঙ্গমতা প্রদর্শন করতেন। বয়সভিত্তিক খেলাগুলোয় দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায়…

  • |

    জসুভাই প্যাটেল

    ২৬ নভেম্বর, ১৯২৪ তারিখে গুজরাতের আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। অফ-স্পিন বোলিং করতেন। তবে, মিহির বসু তাঁকে সিম সহযোগে বোলিং করার কথা উল্লেখ করেছেন। ১৯৪৩-৪৪ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত…

  • |

    আরিফুল হক

    ১৮ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে উত্তরাঞ্চলীয় রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। মাঝারিসারিতে নিচেরদিকে ডানহাতে মারকুটে ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে যথেষ্ট দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অংশ নেন। অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সদস্য ছিলেন। ২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন…