৫ ডিসেম্বর, ১৯৭০ তারিখে অকল্যান্ডের টাকাপুনা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে ২০০৫-০৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও ওতাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বমোট ৩৫ টেস্ট ও ৫০টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে নিজ দেশে মাইক অ্যাথার্টনের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৪২ ও ১৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ঐ খেলায় সফরকারীরা ৪ উইকেটে জয় পায় ও ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।
১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে অকল্যান্ডে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এনজে অ্যাশলে’র সাথে চতুর্থ উইকেটে ২৪৩ রানের জুটি গড়েন। এ সংগ্রহটি নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ সেরার মর্যাদা পায়।
১৯৯৯ সালে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২২ জুলাই, ১৯৯৯ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে স্বাগতিক ইংরেজ দলের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ১০০ ও ২৬ রান তুলে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর এ শতকের কল্যাণে কিউই দলকে তেরোবার প্রচেষ্টায় ক্রিকেটের স্বর্গভূমিতে প্রথম টেস্ট জয়ের সন্ধান পায়। ছয় ঘণ্টা পিচে অবস্থান করে দলকে ৩৬৮ রান তুলতে ভূমিকা রাখেন ও প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের চেয়ে ১৭২ রানে এগিয়ে যায় তাঁর দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড দল ২২৯ রানে গুটিয়ে গেলে সফরকারীদের জয়ের জন্যে মাত্র ৫৮ রানের প্রয়োজন পড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ রান তুললে নিউজিল্যান্ড দল নয় উইকেটে বিজয়ী হয়। স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে পরাজিত হলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
এরপর, এজবাস্টনে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল পরাজিত হলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ বিজয় করে ও টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে নিচেরদিকে চলে যায়।
২০০০-০১ মৌসুমে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সাথে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০০ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৩ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ১১০ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। পল ওয়াইজম্যানের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
২০০২-০৩ মৌসুমে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। ২৫ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে কলম্বোর পিএসএসে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ৪ ও ৪২ রান সংগ্রহ করেন। খেলাটি ড্র হয়। এরপর, ৩ মে, ২০০৩ তারিখে ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ১ ও ৭ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। তবে, টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল ও সিরিজটি ০-০ ব্যবধানে অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
