| |

মার্ক ডেকার

৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে ম্যাশোনাল্যান্ডের গাটুমা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম কিংবা স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

খাঁটিমানসম্পন্ন শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান ও কভার অঞ্চলে চমৎকার ফিল্ডার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপনায় সচেষ্ট ছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ অনেকাংশেই নাটকীয়তায় ভরপুর ছিল। টেস্টে খুব কমসংখ্যক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানই তাঁদের খেলোয়াড়ী জীবনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত অবস্থায় থেকেছেন। কিন্তু, মার্ক ডেকার এ অর্জনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন।

১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে মাতাবেলেল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কৌশলগতভাবে বিদ্যালয় জীবনেই রক্ষণাত্মক ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। বোলারদের আক্রমণ প্রতিহতকরণে প্রায়শঃই দীর্ঘ সময় ধরে ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকতেন। নিজ নামের পার্শ্বে আশাপ্রদ কোন বড় ধরনের ইনিংস যুক্ত করতে পারেননি। তবে, জিম্বাবুয়ে দলের অবস্থা অনুযায়ী জয়ের অপূর্ব সুযোগ আসে ও তাঁর ইনিংস খেলায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করে। তাসত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের গ্লানি তাঁকে পীড়া দেয়।

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডার হিসেবেও চমৎকার ভূমিকা পালন করতেন। সচরাচর কভার অঞ্চলেই অবস্থান করতেন। এমনকি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটেও পরিসংখ্যানগতভাবে তেমন কিছুই সংগ্রহ করতে পারেননি। খেলোয়াড়ী জীবনে ইংরেজ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের দূর্দমনীয় ইচ্ছে থাকলেও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে, বিভিন্ন ক্লাব থেকে বিভিন্নভাবে চুক্তির প্রস্তাবনা পান।

১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সময়কালে জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বমোট ১৪ টেস্ট ও ২৩টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ৩১ অক্টোবর, ১৯৯২ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন।

১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ে দলের সাথে পাকিস্তান গমন করেন। ১ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। গাই হুইটল, গ্লেন ব্রুক-জ্যাকসন, হিথ স্ট্রিক, জন রেনি ও স্টিফেন পিয়লের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৫ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। ১৩১ রানে তাঁর দল পরাজিত হয়।

এরপর, রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছাড়েন। উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে পিচের গুণগতমানে এটি অসামান্য অর্জনবিশেষ। অপরাজিত ৬৮ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন। উভয় ইনিংসেই শতরানের জুটি গড়েন। তবে, ২৪০ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে এক পর্যায়ে দলকে ১৩৫/১-এ নিয়ে গেলেও পরবর্তীতে ১৮৭ রানে গুটিয়ে যায় তাঁর দল। অংশগ্রহণকৃত টেস্টগুলোয় এগুলোই একমাত্র অর্ধ-শতক করেছিলেন। এছাড়াও, ব্যাটিংয়ের গড়ও বেশ হতাশাব্যঞ্জক ছিল।

১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে নিজ দেশে মাইক অ্যাথার্টনের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৬ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। তবে, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের দৃঢ়তায় খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর কেন্ট দলে কোচ হিসেবে নিজেকে যুক্ত রাখেন। এরপর কমিউনিটি ক্রিকেট অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৮ সালের শেষদিকে কেন্ট মহিলা দলের কোচ হিসেবে মনোনীত হন।

Similar Posts

  • |

    কাইল জেমিসন

    ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে তিনি মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত তিনি। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। ‘কিলা’ ডাকনামে ভূষিত কাইল জেমিসন ৬ ফুট ৮ ইঞ্চির দীর্ঘ উচ্চতার অধিকারী। বেশ লম্বাটে গড়ন নিয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হন ও পেস বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের…

  • | | |

    রিকি পন্টিং

    ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে অংশ নিয়েছেন ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। গ্রায়েম পন্টিং ও লরেইন পন্টিং দম্পতির সন্তান ছিলেন। খুব সহজেই ক্রিকেটের…

  • |

    টি নটরাজন

    ৪ এপ্রিল, ১৯৯১ তারিখে তামিলনাড়ুর সালেম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলছেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল। পিতা রেলওয়ে স্টেশনে মুটের কাজ করেন ও মাতা রাস্তার…

  • |

    লেসলি উইট

    ২৮ মে, ১৯২৯ তারিখে ব্রিটিশ গায়ানার জর্জটাউনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। ১৯৫০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। বন্ধুদের কাছে ‘লেস’ নামে পরিচিত ছিলেন। ইনিংস উদ্বোধনে ধৈর্য্যশীল ও নিয়মানুবর্তীতার বিমূর্ত প্রতিমূর্তি ছিলেন। অসম্ভব মনোযোগের অধিকারী হিসেবে উইকেট থেকে খুব সহজে বিদেয় নিতে চাইতেন…

  • | | |

    ইউনুস খান

    ২৯ নভেম্বর, ১৯৭৭ তারিখে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের মারদান এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে অংশ নিতেন। পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। মারদানে জন্মগ্রহণ করলেও শৈশবেই পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচীতে চলে যান।…

  • | | |

    ডিওন ন্যাশ

    ২০ নভেম্বর, ১৯৭১ তারিখে অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাশাপাশি, সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ক্রিকেটে যুক্ত হবার পূর্বে অনেকগুলো ক্রীড়ায় সিদ্ধহস্তের অধিকারী ছিলেন। বাস্কেটবল ও রাগবি খেলায় দক্ষ ছিলেন। অকল্যান্ডে অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলে অংশ নিয়েছেন। অস্ট্রেলীয়…