|

মুস্তাফিজুর রহমান

৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

খুব ছোট বয়স থেকেই ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। বামহাতে পেস বোলিং করেন। ২০১২ সালে ঢাকায় ফাস্ট বোলিং প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেন। ঢাকা থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরবর্তী সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৭ প্রতিযোগিতায় সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। বিসিবি’র পরিচালনায় পেস ফাউন্ডেশনে যুক্ত হন। খুব শীঘ্রই কোচদের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হন। তাঁর অসামান্য প্রতিভার বিষয়টি দৃশ্যমান হতে বেশীদিন সময় লাগেনি।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নিয়মিত সদস্যরূপে খেলার সুযোগ লাভ করেন। ফলশ্রুতিতে, ২০১৪ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সদস্যরূপে মনোনীত হন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় দারুণ খেলেন। ছয় খেলায় অংশ নিয়ে নয় উইকেট ঝুলিতে পুড়েন। এর পরপরই অনেকটা বিস্ময়করভাবেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সদস্যরূপে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমনের সুযোগ পান। সংক্ষিপ্ত সফর থেকে ফিরে আসার পর সেরা বোলার হিসেবে দেখা হলেও ধীরে ধীরে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনয়ণে সচেষ্ট হন। শুরুতে বলে পেসের অভাব দেখা গেলেও ২০১৪-১৫ মৌসুমে নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট হন। এরপর থেকেই অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে তৎপরতা দেখাতে শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে, দলে নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা পান। এ পর্যায়ে ১৯.০৮ গড়ে ২৬ উইকেট দখল করেন।

৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। ২০১৩-১৪ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে খুলনা বিভাগ ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, চট্টগ্রাম, ঢাকা ডাইনামাইটস, ঢাকা ক্যাপিটাল, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম, রংপুর রাইডার্স, রংপুর র‌্যাঞ্জার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, রাজশাহী কিংস, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, লাহোর কালান্দার্স, দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালস, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, ডাম্বুলা সিক্সার্স, সাসেক্স ও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলেছেন। ১৯ এপ্রিল, ২০১৪ তারিখে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত খুলনা বিভাগ বনাম ঢাকা বিভাগের মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান।

২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশের দল নির্বাচকমণ্ডলী পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণের জন্যে আমন্ত্রণ জানান। ২৪ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০আইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জগতে প্রবেশ করেন। শহীদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাফিজের উইকেট দুটি লাভ করেন।

এরপর, ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়কালে ভারতের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে দলে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৮ জুন, ২০১৫ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে ওডিআইয়ে প্রথম অংশ নেন। ঊনিশ বছর বয়সে সকলের নজর কাড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে বলে নিখুঁততা ও বৈচিত্র্যভাব এনে সকলকে বিমোহিত করেন। ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র পর মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে পাঁচ-উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। এছাড়াও, একমাত্র বোলার হিসেবে প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে ১১ উইকেট দখল করেন। নিজস্ব তৃতীয় খেলায় আরও দুই উইকেট নিয়ে ৩ ওডিআই নিয়ে গড়া সিরিজে সর্বমোট ১৩ উইকেট দখল করে ইতিহাস গড়েন। বলাবাহুল্য, বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে সিরিজ বিজয় করে।

জুলাই, ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বি-পক্ষীয় সিরিজেও চমৎকার খেলা উপহার দেন। ঐ সিরিজেই প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলেন। ২১ জুলাই, ২০১৫ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় চার উইকেট পান। ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার লাভের ফলে টেস্টের পাশাপাশি ওডিআইয়েও প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পেয়েছিলেন। এরফলে, বৈশ্বিক ক্রিকেটে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে উভয় স্তরের ক্রিকেট এ মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও খেলেছেন। প্রথম চার টেস্ট থেকে ১২ উইকেট দখল করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের প্রথম বছরেই ১৩.৬৩ গড়ে ৩৬ উইকেট পেয়েছিলেন। দ্রুততর থেকে ধীরগতিতে অফ-কাটার, চিরাচরিত বামহাতি বোলিংয়ের সমন্বয়ে এ সফলতা পেয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে, ২০১৬ সালে আইসিসি কর্তৃক উদীয়মান বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।

এরপর, ইংরেজ ঘরোয়া সীমিত-ওভারের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা টি২০ ব্ল্যাস্টে অংশ নেয়ার জন্যে সাসেক্সের সাথে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। তবে, নতুন দলের সাথে যুক্ত হবার বিষয়ে সংশয় দেখা দেয়। বিশ্ব টি২০ অঙ্গনে সেরা বোলারদের অন্যতম হিসেবে আবির্ভুত হন। ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। দলের চাপে পড়ে শুরুরদিকের কয়েকটি খেলায় অংশ নিতে পারেননি। তাসত্ত্বেও ঐ প্রতিযোগিতায় সহজাত খেলা উপহারে সচেষ্ট ছিলেন। তিন খেলায় অংশ নিয়ে নয় উইকেট দখল করে দলের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হন। তন্মধ্যে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৈচিত্র্যময় কাটারে বিভ্রান্তি তৈরি করেন ও ৫/২২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতার পর স্বীয় দক্ষতা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে বহিঃপ্রকাশ ঘটান।

প্রথমবারের মতো বিপিএলে অংশ নিয়ে যথেষ্ট ভালো খেলেন। বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে যথেষ্ট ভালো খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ আইপিএলের নিলামে যুক্ত হন। ২০১৬ সালের শুরুতে ডাকনামে পরিচিত ‘দ্য ফিজ’-কে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ কর্তৃপক্ষ ১.৪ কোটি রূপীর বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ করে। ১৬ খেলা থেকে ১৭ উইকেট নিয়ে পাদপ্রদীপে চলে আসেন ও প্রতিযোগিতার উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন। ঐ আসরে দলের শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।

কাঁধের আঘাতের কারণে সাসেক্সের পক্ষে ছয় মাস খেলতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে, নিজ দেশে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হন। ডিসেম্বর, ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ড গমনার্থে বাংলাদেশের ওডিআই ও টি২০আই দলে যুক্ত হন। শতভাগ সুস্থতার বিষয়ে সন্দীহান থাকায় দলীয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ সংস্করণের খেলা থেকে তাঁকে বিরত রাখে। এছাড়াও, পেশীতে টানজনিত কারণে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্টেও অনুপস্থিত ছিলেন।

আঘাত থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের সফল সফরে প্রধান ভূমিকা রাখেন। টেস্টে সমতা আনয়ণসহ ওডিআই ও টি২০আই সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ দল। ২০১৭ সালের আইপিএল আসর শেষে এসআরএইচ ক্যাম্পে যোগ দেন। এক খেলায় অংশ নিয়ে উইকেটশূন্য অবস্থায় থাকেন। এরপর, আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ দলে যুক্ত হন। বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সেরা ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় বেশ ম্লান ছিলেন। চার খেলায় অংশ নিয়ে মাত্র এক উইকেট পান। এরপর, বাংলাদেশ সফরে আসা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজেও তেমন ভালোমানের খেলা প্রদর্শন করতে পারেননি। অবশ্য, চূড়ান্ত টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট পেয়েছিলেন।

২০১৭-১৮ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। দক্ষিণ আফ্রিকায় দলের শোচনীয় ফলাফলে অধিকাংশ সতীর্থের ন্যায় তিনিও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। কেবলমাত্র টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। গোড়ালীর আঘাতের কারণে ওডিআইয়ে অংশ নিতে পারেননি। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে পচেফস্ট্রুমে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১/৯৮ ও ২/৩০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ১০* ও ১ রান সংগ্রহ করেন। ডিন এলগারের অনবদ্য ব্যাটিং কৃতিত্বে সফরকারীরা ৩৩৩ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ খেলেন। প্রথম বাংলাদেশী খেলোয়াড় হিসেবে সীমিত-ওভারের ক্রিকেটে লর্ডস অনার্স বোর্ডে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। খেলায় তিনি ৫/৭৫ লাভ করেন। শতকধারী ইমাম-উল-হক, ইমাদ ওয়াসিম, রহমান, শাদাব খান ও মোহাম্মদ আমিরের উইকেট পান। তন্মধ্যে, শেষ দুই উইকেট উপর্যুপরী দুই বল থেকে পেয়েছিলেন।

২০২২ সালে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের সাথে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমন করেন। ১৬ জুন, ২০২২ তারিখে নর্থ সাউন্ডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। ঐ টেস্টে তাঁর দল ৭ উইকেটে পরাজয়বরণ করেছিল ও দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে স্বাগতিক দল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ব্যাট হাতে ০ ও ৭ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৩০ ও ০/৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান।

সীমিত-ওভারের সফলতা টেস্টে প্রভাব ফেলতে পারেননি। সাত বছরের মধ্যে তিনি মাত্র ১৫ টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। তবে, ২০২১ সালের মধ্যে ওডিআইয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচজন উইকেট সংগ্রাহকের অন্যতম হন। এ পর্যায়ে গড়ের দিক দিয়ে তিনি শীর্ষ অবস্থানে ছিলেন।

মে, ২০২৪ সালে নাজমুল হোসেন শান্ত’র অধিনায়কত্বে তিনটি টি২০আই নিয়ে গড়া সিরিজ খেলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন। প্রথম দুই খেলায় সফরকারীদের পরাজয়ের পর তৃতীয়টিতে রুখে দাঁড়ান। ২৫ মে, ২০২৪ তারিখে প্রেইরি ভিউতে অনুষ্ঠিত একচেটিয়া খেলাটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নির্ধারিত চার ওভারে ৬/১০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। পরবর্তীতে তানজিব হাসান-সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিতে ১০৮ রানের নিরবিচ্ছিন্ন জুটির কল্যাণে তাঁর দল ১০ উইকেটের বড়সড়ো ব্যবধানে জয় পায়। তবে, ঐ সিরিজে মার্কিন দল অনেকটা বিস্ময়করভাবে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারসহ ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান। ছয়-উইকেট লাভ করে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে এ সাফল্য পান ও তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছেন। এরফলে, ১৮ জুলাই, ২০১২ তারিখে বেলফাস্টে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইলিয়াস সানি’র গড়া ৫/১৩ বোলিং বিশ্লেষণ ম্লান হয়ে পড়ে। ২০১৭ সালে উইজডেন ইন্ডিয়া কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার লাভ করেন।

Similar Posts

  • |

    সিলভেস্টার ক্লার্ক

    ১১ ডিসেম্বর, ১৯৫৪ তারিখে বার্বাডোসের লিড ভেল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘সিলভার্স’ ডাকনামে ভূষিত সিলভেস্টার ক্লার্ক ৬ ফুট ২ ইঞ্চি দীর্ঘ উচ্চতাসহ শক্ত মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন। সেন্ট বাথোলমিউজ বয়েজ স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন।…

  • |

    হ্যারি ব্রোমফিল্ড

    ২৬ জুন, ১৯৩২ তারিখে কেপ প্রভিন্সের মোসেল বেল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৬০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর…

  • | | |

    অ্যান্ডি রবার্টস

    ২৯ জানুয়ারি, ১৯৫১ তারিখে অ্যান্টিগুয়ার আর্লিংস ভিলেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, প্রশাসক ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিং করতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। সচরাচর তাঁকে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আধুনিক ফাস্ট বোলিংয়ের জনক হিসেবে পরিচিতি ঘটানো হয়ে থাকে। ছন্দোবদ্ধ দীর্ঘ দূরত্ব নিয়ে বোলিং কর্মে…

  • |

    অন্তাও ডি’সুজা

    ১৭ জানুয়ারি, ১৯৩৯ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গোয়ায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটের ইতিহাসের শুরুরদিকের অন্যতম ফাস্ট বোলার। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৬-৬৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর…

  • |

    বিল প্লেল

    ১ ডিসেম্বর, ১৯৩৮ তারিখে মানাওয়াতুর পালমারস্টোন নর্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৭-৬৮ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে অকল্যান্ড…

  • |

    দানিশ কানেরিয়া

    ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৮০ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। লেগ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পিনার ছিলেন। শারীরিক গড়নের কারণে চমৎকার বাউন্স করতে পারতেন। বলকে তেমন শূন্যে না ভাসালেও উল্লেখযোগ্যভাবে বলকে বাঁক খাওয়াতে পারতেন। তবে,…