২৮ মে, ১৮৬৪ তারিখে মিডলসেক্সের কিলবার্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৮৮০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
হ্যারো স্কুলে অধ্যয়ন করেছিলেন। ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পেশায় পানশালা পরিচালনা করতেন। হ্যারোর পক্ষে বোলার হিসেবে বেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। লর্ডসে এটনের বিপক্ষে ৪/৬৭ লাভ করেন। এরপর, ওয়ান্ডারিং ক্লাবসের পক্ষে খেলেন। হ্যারো ও এমসিসি’র পক্ষে উদ্বোধনী বোলার হিসেবে খেলতেন।
১৮৮৯ সালে সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে মাত্র দুইটি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৮৫ সালে এমসিসি’র সদস্য হন। মেজর হোয়ার্টনের ব্যবস্থাপনায় ১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় এমসিসি দলের প্রথম সফরে যান। ১২ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথের জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ফ্রাঙ্ক হার্ন, মন্টি বাউডেন, চার্লস কভেন্ট্রি, আর্নল্ড ফদারগিল ও অব্রে স্মিথের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ১৪* ও ১২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। ৮ উইকেটে জয়লাভ করলে তাঁর দল দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ২৫ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ১৪ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে পূর্বেকার সর্বোচ্চ রানের সমকক্ষ হন। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে দলের একমাত্র ইনিংসে ১৪ রান করেছিলেন। ইনিংস ও ২০২ রানে জয়লাভ করে সফরকারীরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
সম্মিলিত দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে ঐ দুই খেলাই তাঁর পুরো খেলোয়াড়ী জীবনের দুইটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ ছিল। পরবর্তীতে, ঐ দুই খেলাই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম দুই টেস্টরূপে স্বীকৃতি লাভ করে। এরফলে, খুবই স্বল্পসংখ্যক ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ ব্যতিরেকেই টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেয়ার অধিকারী হন।
দুইবার নীচেরসারিতে ও একবার চার নম্বর অবস্থানে ব্যাটিং নেমেছিলেন। একবার বিদেয় নেয়ার তাঁর টেস্ট গড় ৪০-এ দাঁড়ায়। এ সফরের পর ক্রিকেট খেলায় তেমন জোড়ালোভাবে অংশ নেননি। ১৯ নভেম্বর, ১৯১৭ তারিখে সাসেক্সের ইস্টবোর্ন এলাকায় ৫৩ বছর ১৭৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। উইজডেনে তিন লাইনে মৃত্যু সংবাদে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেয়ার বিষয়ে আলোকপাত না করে শুধুমাত্র এটনের বিপক্ষে খেলার কথা উল্লেখ করে।
