|

ডানকান শার্প

৩ আগস্ট, ১৯৩৭ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণকারী অ্যাংলো-পাকিস্তানী ক্রিকেটার। কার্যকর ও আগ্রাসী ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাশাপাশি, বিশ্বস্ত উইকেট-রক্ষক হিসেবে খ্যাতি কুড়ান। ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে লাহোর, পাকিস্তান রেলওয়ে ও পাঞ্জাব এবং অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

১৯৫৯ সালে পাকিস্তানের পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। আটজন অ-মুসলিম ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ লাভ করেন। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমের শেষদিকে পাকিস্তানের পক্ষে মাত্র একটি সিরিজের তিন টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। সবগুলোই সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছিল। মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। ২২.৩৩ গড়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করেছেন।

১৯৫৯-৬০ মৌসুমে নিজ দেশে রিচি বেনো’র নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১৩ নভেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৫৬ ও ৩৫ রান তুলে উভয় ইনিংসেই দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রাণান্তঃকর চেষ্টা চালানো সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার বিজয় রথ আটকাতে পারেননি। ঐ টেস্টে সফরকারীরা আট উইকেটে জয় তুলে নিলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

সিরিজের বাদ-বাকী খেলাগুলোয়ও অংশ নিয়েছেন। তবে, শুরুরদিকের সফলতা থেকে পুরোপুরি নিজেকে বিচ্যূত রেখেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটিই তাঁর প্রথম ও শেষ সিরিজ ছিল। এরপর আর তাঁকে পাকিস্তানের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি। একই সফরের ৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ৪ ও ২৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও সফরকারীরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ব্যারি জার্মানের সহায়তায় ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানকার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে থাকেন। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত শেফিল্ড শীল্ডে গ্যারি সোবার্স ও ব্যারি জার্মানের সাথে একত্রে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩৭টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়ে ২৭.৩৩ গড়ে ১৫৩১ রান পেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে দুইটি শতক ও আটটি অর্ধ-শতকের সন্ধান পেয়েছিলেন।

Similar Posts

  • |

    এজি মিল্খা সিং

    ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৪১ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুম থেকে ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মাদ্রাজের প্রতিনিধিত্ব…

  • | |

    রশীদ খান

    ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে নানাগড়হর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। লেগ-ব্রেক বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। আফগানিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। আফগানিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ পর্যায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কনিষ্ঠ অধিনায়কের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। স্বল্প কয়েকজন বোলারের অন্যতম হিসেবে পরপর চার বল থেকে চার…

  • | |

    ক্রিস হ্যারিস

    ২০ নভেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘লাগস’ ডাকনামে পরিচিতি পান। কিউই তারকা ব্যাটসম্যানের খ্যাতি অর্জন করেন। প্রথম নিউজিল্যান্ডীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওডিআইয়ে দুই সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন ও প্রথম…

  • |

    চার্লস মিলস

    ২৬ নভেম্বর, ১৮৬৭* তারিখে লন্ডনের পেকহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ১৮৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে কিম্বার্লী ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৮৮ থেকে ১৮৯৪-৯৫ মৌসুম…

  • |

    আফতাব বালুচ

    ১ এপ্রিল, ১৯৫৩ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৬৯-৭০ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী, পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংক, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স,…

  • |

    এস শ্রীশান্ত

    ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩ তারিখে কেরালার কথামঙ্গলমে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। ‘গপু’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০০২-০৩ মৌসুম থেকে ২০১২-১৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের…