|

রুবেল হোসেন

১ জানুয়ারি, ১৯৯০ তারিখে বাগেরহাটে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

স্পিনারদের আধিপত্যবাদের যুগে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বোলিং আক্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম বোলার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। তাঁর ফাস্ট বোলিংয়ের ধরন কিছুটা বাঁকা ধরনের। এরফলে, ‘বাংলাদেশের মালিঙ্গা’ ডাকনামে পরিচিতি পান। খেলায় মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করলেও তেমন সফলতা পাননি। বাংলাদেশের ক্রিকেটে আশার আলো হিসেবে নিজেকে উপস্থাপনায় সচেষ্ট রয়েছেন। শারীরিক সুস্থতা ও আঘাতের বাইরে থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজাকে প্রিয় তারকার মর্যাদা দেন। পরবর্তীতে সতীর্থ হন ও ঘরোয়া ক্রিকেটে খুলনা বিভাগের পক্ষে খেলেন। প্রিয় তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা’র অংশগ্রহণে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে খেলেন। মর্তুজা’র বিপক্ষেও বাউন্সার মারেন ও স্থানীয় প্রতিযোগিতায় প্রথম স্বাক্ষাতেই উইকেট পান। মোটর সাইকেল চালনার মাধ্যমে গতির প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান।

২০০৭-০৮ মৌসুম থেকে ২০১৯-২০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে চট্টগ্রাম বিভাগ, খুলনা বিভাগ ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, বেক্সিমকো ঢাকা, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে খেলেছেন। ২৬ অক্টোবর, ২০০৭ তারিখে খুলনায় অনুষ্ঠিত খুলনা বিভাগ বনাম চট্টগ্রামের মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান।

নিজ শহর বাগেরহাটে পাড়ার খেলায় টেপ টেনিস বল নিয়ে খেলার জগতে প্রবেশ করেন। প্রতিভা অন্বেষণ প্রকল্পের মাধ্যমে স্পিড গান টেস্টে চিহ্নিত হন। ২০০৭ সালের জাতীয় ক্রিকেট লীগে প্রথমবার অংশগ্রহণ করেই ডানহাতি সিমার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে সচেষ্ট হন। ২৬ অক্টোবর, ২০০৭ তারিখে খুলনায় অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের বিভাগের সদস্যরূপে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ঐ খেলায় একটিমাত্র উইকেটের সন্ধান পান। ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণের পর থেকেই সঞ্চিত ডেলিভারিতে ব্যাটসম্যানদের আঘাতের ঘটনা ঘটতে থাকে। ঘরোয়া আসরে ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ ও ‘এ’ দলে অংশগ্রহণের পথ সুগম হয়। ২০০৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের সদস্য হন। ৫ খেলা থেকে ২১.৬৬ গড়ে ছয় উইকেট দখল করেন। সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন।

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করছেন। ১৪ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে ওডিআইয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম অংশ নেন। অভিষেকেই তাৎক্ষণিক প্রভাব বিস্তার করেন। বাউন্সারে প্রতিপক্ষীয় ব্যাটসম্যানদের সমীহের পাত্রে পরিণত হন। ঢাকায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐ খেলায় ৫.৩ ওভারে ৪/৩৩ লাভ করেন ও শ্রীলঙ্কা দলকে ১৪৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে বাংলাদেশের ৫ উইকেটের বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা পালন করেন। পরের বছর নিজ দেশে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার জন্যে বাংলাদেশের একদিনের দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন।

ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর আসরেই অধিক কার্যকারিতা প্রদর্শনে অগ্রসর হন। এরপর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দলে ঠাঁই পান। ২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা’র নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলের সদস্যরূপে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। ৯ জুলাই, ২০০৯ তারিখে কিংসটাউনে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে মাহমুদউল্লাহ’র সাথে তাঁর একযোগে অভিষেক ঘটে। ঐ টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট লাভ করেন। এছাড়াও, বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে শাহাদাত হোসেনের সাথে দশম উইকেট জুটিতে মূল্যবান রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলায় তাঁর দল ৯৫ রানে জয় তুলে নেয় ও দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

২০০৯-১০ মৌসুমে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে নিজস্ব পঞ্চম টেস্টে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫/১৬৬ লাভ করেন। পরবর্তীতে এটিই তাঁর একমাত্র পাঁচ-উইকেট লাভের ঘটনা ছিল। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বতন সেরা বোলিং বিশ্লেষণ ছিল ৩/৭৬। খেলায় তিনি ৫/১৬৬ ও ০/৪৪ লাভ করেন। কিন্তু, উভয় ইনিংসেই শূন্য রানে বিদেয় নিয়েছিলেন। তবে, মার্টিন গাপটিলের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ১২১ রানে পরাজিত হয়েছিল। একই দলের বিপক্ষে ওডিআইয়ের শেষ ওভারে বেশ শান্ত ভঙ্গীমায় অগ্রসর হন ও নাটকীয়ভাবে বাংলাদেশ দলকে তিন রানের জয় এনে দেন।

অক্টোবর, ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে ব্যক্তিগত সেরা ৪/২৫ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। পাঁচ-খেলা নিয়ে গড়া ওডিআই সিরিজে বাংলাদেশ দল ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় ‘বাংলাওয়াশ’ নামে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২৯ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে তৃতীয় বাংলাদেশী বোলার হিসেবে ওডিআইয়ে হ্যাট্রিক করার গৌরব গাঁথা রচনা করেন। মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ সফলতা পান। কোরে অ্যান্ডারসন, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও জিমি নিশামকে উপর্যুপরী বলে বিদেয় করেন। এছাড়াও, ঐ খেলায় ৫.৫ ওভারে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৬/২৬ দাঁড় করান।

তাপস বৈশ্যের ন্যায় তাঁর হ্যাট্রিকও একই সূত্রে গাঁথা ছিল। জানতেই পারেননি যে, তিনি হ্যাট্রিক করেছেন। ব্রাদার্স ইউনিয়ন-গাজী ট্যাংকের মধ্যকার খেলায় পূর্ববর্তী ওভারের শেষ বলে উইকেট লাভের পর শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে আরও দুই উইকেট দখল করে হ্যাট্রিকের সাথে নিজেকে জড়ান। পরদিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে তাঁর এ সাফল্যের কথা প্রকাশিত হয়। সোহরাওয়ার্দী শুভ, মেহরাব ও এহসানুলের উইকেট পান।

অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের পর খেলায় ভাঁটা পড়ে। তবে, দলীয় সঙ্গীদের কারণে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ বিজয়ী দলেও খেলেন। ওভারপিছু অধিক রান প্রদান করা সত্ত্বেও পেস বোলার হিসেবে ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণের খেলায়ও বাংলাদেশ দলের সদস্য হন।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পূর্ণ পেস সহযোগে বোলিং করে জেমস অ্যান্ডারসনের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলার পর নাসের হুসাইন মন্তব্য করেন যে, বাংলাদেশ টাইগার্স বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড লায়ন্সকে কুপোকাত করেছে। বাংলাদেশ দল নক-আউট পর্বে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পায় ও অ্যাডিলেড ওভালের চতুস্পার্শে দৌঁড়ে যান। এ চিত্রটি পেস বোলার হিসেবে আজীবন স্মরণীয় করে রেখেছেন।

২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতার শুরুরদিকে মুস্তাফিজুর রহমানের আঘাতের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দলে যুক্ত হন। ঐ প্রতিযোগিতায় তেমন সফল না হলেও খেলায় ছন্দ ফিরে পেতে শুরু করেন। দলের প্রধান বোলার মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মুস্তাফিজুর রহমানের আঘাতের পাশাপাশি তাসকিন আহমেদের ধারাবাহিকভাবে না খেলার প্রবণতায় সীমিত-ওভারের ক্রিকেট খেলাগুলোয় বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণ পরিচালনার দায়িত্ব পান। টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে থাকলেও বৃহৎ সংস্করণের ক্রিকেটে নিজেকে তুলে ধরতে পারেননি।

২০১৭-১৮ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ৬ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে ব্লোমফন্তেইনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১/১১৩ পান। এছাড়াও, ১০ ও ৭ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে কাগিসো রাবাদা’র শিকারে পরিণত হন। কাগিসো রাবাদা’র অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২৫৪ রানে জয়লাভ করলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

২০১৯-২০ মৌসুমে মমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সাথে পাকিস্তান গমন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। স্বাগতিক দল ইনিংস ও ৪৪ রানে জয় পায়। ৩/১১৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে শ্রীলঙ্কা সফরকে ঘিরে বাংলাদেশের ২৭-সদস্যের প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। সব মিলিয়ে ২৭ টেস্টে অংশ নিয়ে ৭৬.৭৭ গড়ে ৩৬ উইকেট দখল করেছেন।

Similar Posts

  • |

    টাইরেল জনসন

    ১০ জানুয়ারি, ১৯১৭ তারিখে ত্রিনিদাদের টুনাপুনা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। বামহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৩০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বেশ লম্বাটে ও শীর্ণকায় গড়নের অধিকারী ছিলেন। ক্ষীপ্রতা সহকারে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। এছাড়াও, প্রয়োজনে কার্যকর ইন-সুইং করতেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট…

  • |

    জো কক্স

    ২৮ জুন, ১৮৮৬ তারিখে নাটালের পিটারমারিৎজবার্গে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯১০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্ষীপ্র গতিসম্পন্ন মিডিয়াম-পেস বোলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। ফিল্ডিংয়ে বেশ দূর্বলতার পরিচয় দেন ও সাধারণমানের নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর…

  • |

    হেনরি নিকোলস

    ১৫ নভেম্বর, ১৯৯১ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান তিনি। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘টোই’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছেন। দীর্ঘ সংস্করণের তুলনায় সাদা-বলের ক্রিকেটেই অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পাশাপাশি বিবিএলেও বেশ কিছু স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন। ক্রাইস্টচার্চভিত্তিক সেন্ট অ্যান্ড্রুজ কলেজে পড়াশুনো করেছেন। তাঁর মাঝে…

  • | |

    রোশন মহানামা

    ৩১ মে, ১৯৬৬ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব এবং কলম্বো ক্রিকেট ক্লাবের…

  • | | |

    জ্যাক চিদাম

    ২৬ মে, ১৯২০ তারিখে কেপ প্রভিন্সের মোব্রে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর লেগ-ব্রেক বোলিং করতেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৩৯-৪০ মৌসুম থেকে ১৯৫৪-৫৫ মৌসুম পর্যন্ত…

  • | | |

    কিরণ মোরে

    ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২ তারিখে গুজরাতের বরোদায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ক্ষুদ্রকায় গড়নের অধিকারী তিনি। ১৯৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বরোদার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।…