| |

ফ্রেড টেট

২৪ জুলাই, ১৮৬৭ তারিখে সাসেক্সের ব্রাইটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন। ১৯০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৮৭ থেকে ১৯০২ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। সাসেক্সের তারকা খেলোয়াড় ছিলেন। ভেজা পিচে বেশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়তেন। সহজাত ভঙ্গীমায় ও চমৎকারভাবে বলের উপর নিয়ন্ত্রণ করতেন। ১৮৮৮ সালে সাসেক্সের পক্ষে প্রথম খেলতে নামেন। পাঁচ মৌসুমে ১০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ৩৫ বছর বয়সে এসে নিজের স্বর্ণালী মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। ১৯০২ সালে ১৬-এর কম গড়ে ১৮০ উইকেট দখল করেছিলেন।

১৯০২ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ঐ বছর নিজ দেশে জো ডার্লিংয়ের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ৩৫ বছর বয়সে ২৪ জুলাই, ১৯০২ তারিখে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। লিওনেল পালাইরেতের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খ্যাতনামা ঐ টেস্টে তাঁর দল অজিদের কাছে নাটকীয়ভাবে মাত্র ৩ রানে পরাজয়বরণ করলে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। জয়ের জন্যে আট রানের প্রয়োজন থাকা অবস্থায় এগারো নম্বর অবস্থানে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন। উইলফ্রেড রোডসের সাথে জুটি গড়েন। এরফলে, সফরকারীরা অ্যাশেজ করায়ত্ত্ব করে। ব্রন্ডের বলে ১৬ রানে থাকা জো ডার্লিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ হাতছাড়া করেন। এছাড়াও, খেলার শেষ খেলোয়াড় হিসেবে বিদেয় নিয়েছিলেন। অবশ্য সন্ডার্সের প্রথম বল থেকে চার হাঁকিয়েছিলেন। খেলায় তিনি ৫* ও ৪ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে তিনি কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। সব মিলিয়ে দুই উইকেট লাভ করেছিলেন। ০/৪৪ ও ২/৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও সাসেক্সের তারকা খেলোয়াড়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। অফ-স্পিন বোলিংয়ের পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বোলিং করে দারুণভাবে সফল হন। প্রায় দুই দশকব্যাপী প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ২১.৫৫ গড়ে ১৩৩১ উইকেট দখল করেছেন। অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। তৎকালে দ্বিতীয়-শ্রেণীর কাউন্টি দল হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ৯/২৪ পেয়েছিলেন। এছাড়াও, ১৯০২ সালে লিচেস্টারে এক ইনিংসে ৯/৭৩ লাভ করেছিলেন। তবে, ঐ বছরই লর্ডসে ব্যক্তিগত সেরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। একদিনে মিডলসেক্সের বিপক্ষে ৬৮ রান খরচায় পনের উইকেট পেয়েছিলেন। অ্যাশেজ টেস্টের তিন বছর পর ক্রিকেট জগৎ থেকে বিদেয় নেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিংয়ের দিকে ধাবিত হন। ডার্বিতে কাউন্টি ক্লাব পরিচালনা করেন। এরপর, ১৯২১ সালে ট্রেন্ট কলেজে পেশাদার কোচ হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। এছাড়াও, পানশালা পরিচালনা করেছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। তিন সন্তানের দুইজন – সিএফ টেট ও এমডব্লিউ টেট কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, মরিস টেট ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেছে। ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৩ তারিখে ওয়েস্ট সাসেক্সের বার্জেস হিল এলাকায় ৭৫ বছর ১৯৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • |

    নবি ক্লার্ক

    ৯ আগস্ট, ১৯০২ তারিখে হান্টিংডনশায়ারের এলটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। তারকা বোলারের যাবতীয় গুণাবলী থাকলেও ফুরফুরে মেজাজের অধিকারী ছিলেন না। বামহাতে আলতো বোলিং করতেন। ব্যাটসমস্যান বরাবর ডান কাঁধ সোজা রেখে ধ্রুপদী ভঙ্গীমায় বল…

  • |

    ব্লেয়ার হার্টল্যান্ড

    ২২ অক্টোবর, ১৯৬৬ তারিখে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৯০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির নিয়মিত সদস্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তাঁর পিতা ইয়ান হার্টল্যান্ড একই দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট…

  • | |

    জোনাথন ক্যাম্পবেল

    ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে ম্যাশোনাল্যান্ডের হারারেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি। জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। পিতা এডিআর ক্যাম্পবেল জিম্বাবুয়ের পক্ষে টেস্ট ও কাকা ডিজেআর ক্যাম্পবেল প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০১৯-২০ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর…

  • | | |

    সাবা করিম

    ১৪ নভেম্বর, ১৯৬৭ তারিখে বিহারের পাটনায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও প্রশাসক। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলা ও বিহারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিস্ময়করভাবে…

  • | |

    কলিন কাউড্রে

    ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৩২ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের তামিলনাড়ুর উটি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিং করতে পারতেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অন্যতম সেরা ধ্রুপদীশৈলীর অধিকারী ব্যাটসম্যান ও সর্বাপেক্ষা পূজনীয় ভদ্রলোক ছিলেন। টনব্রিজে অধ্যয়নের পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেছেন।…

  • |

    বিলি নিউহাম

    ১২ ডিসেম্বর, ১৮৬০ তারিখে শ্রপশায়ারের হলি ক্রস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ফুটবলার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৮৮০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। আর্ডিংলিতে পড়াশুনো করেছেন। ১৮৮৭ সাল পর্যন্ত ঐ কলেজে শিক্ষকতা করেন। সর্বক্রীড়ায় দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৮১ থেকে ১৯০৫ সময়কালে…