২২ জুন, ১৮৫৫ তারিখে তাসমানিয়ার হোবার্টে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৮০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
আইজাক মরিস ও এলিজাবেথ অ্যান দম্পতির সন্তান ছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা বেশ তুঙ্গে অবস্থান করে ও দি অস্ট্রালাসিয়ানের প্রতিবেদক ফেলিক্স মন্তব্য করেন যে, স্যামকে প্রত্যেকেই ভালবাসতো। ১৮৮৫-৮৬ মৌসুমে কার্লটনের প্রথম প্রিমিয়ারশীপে খেলেন। ঐ মৌসুমে দলের বোলিং গড়ে শীর্ষে ছিলেন। রিচমন্ডের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৮০ রান তুলেন। পঞ্চম উইকেটে রেকর্ডসংখ্যক ২৩৮ রানের জুটি গড়েন। সাউথ মেলবোর্ন সিসি’র পক্ষে পঞ্চম উইকেটে ১৮১ রানের জুটি গড়ে যৌথ রেকর্ডের সাথে নিজেকে জড়ান।
১৮৮১-৮২ মৌসুম থেকে ১৮৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ভিক্টোরিয়ার ১৫২তম ক্যাপ লাভ করেন। সব মিলিয়ে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে ১৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ১৮.০৩ গড়ে ৫৭৭ রান ও ২৫.৩৮ গড়ে ২৯ উইকেট দখল করেছিলেন।
১৮৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৮৪-৮৫ মৌসুমে নিজ দেশে আর্থার শ্রিউসবারি’র নেতৃত্বাধীন মুখোমুখি হন। ১ জানুয়ারি, ১৮৮৫ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। অ্যাফি জার্ভিস, আলফ্রেড মার, হ্যারি মাসগ্রোভ, জ্যাক ওরেল, জন ট্রাম্বল, রোল্যান্ড পোপ, উইলিয়াম ব্রুস ও ডিগার রবার্টসনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরফলে, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে ক্রিকেটে অংশ নেয়ার কৃতিত্বের অধিকারী হন। এছাড়াও, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও প্রথম তাসমানীয় বংশোদ্ভূত টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা পান। আর্থার শ্রিউসবারি ও বিলি বার্নসের উইকেট পান। এছাড়াও, তাঁর ফিল্ডিং অসাধারণ ছিল। খেলায় তিনি ২/৭৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ৪ ও ১০* রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ১০ উইকেটে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এরপর, আর তাঁকে দলে রাখা হয়নি। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
১৮৮০-এর দশকে অধিকাংশ খেলোয়াড়ই মাত্র এক টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দশ বছরে ২৭ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ও দূর্ভাগ্যজনকভাবে ১৩জন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে একটিমাত্র টেস্ট খেলার সুযোগ পান।
১৮৯৮ সালে ডায়াবেটিসের কারণে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে পড়ে। ঐ বছরই তিনি খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯১০ সালে কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর অনেকগুলো বছর রিচমন্ড, ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট ক্লাব ও সেন্ট কিল্ডায় কিউরেট/মাঠ কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। প্রায় ত্রিশ বছর অন্ধত্বের কবলে পড়েন।
১৮৯০-এর দশকে তাসমানিয়া ও ভিক্টোরিয়ার মধ্যকার তিনটি খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। জুলিয়া ও জেন নাম্নী রমণীদ্বয়কে বিয়ে করেন। ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৩১ তারিখে ভিক্টোরিয়ার আলবার্ট পার্ক এলাকায় নিজ গৃহে ৭৬ বছর ৯০ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। মেলবোর্ন জেনারেল সিমেট্রির চার্চ অব ইংল্যান্ড অংশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
