| |

চম্পকা রামানায়েকে

৮ জানুয়ারি, ১৯৬৫ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন।

১৯৮৫-৮৬ মৌসুম থেকে ২০০১-০২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে গল ক্রিকেট ক্লাব এবং তামিল ইউনিয়ন ও অ্যাথলেটিক ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বমোট ১৮ টেস্ট ও ৬২টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে রঞ্জন মাদুগালে’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮ তারিখে পার্থে সিরিজের একমাত্র টেস্টটিতে শ্রীলঙ্কা দলের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল। ডিন জোন্সের অসাধারণ শতকে ইনিংস ও ১০৮ রানে স্বাগতিকরা জয় পায়। ঐ টেস্টে তাঁকে উইকেটবিহীন অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হতে হয়। অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র ইনিংসে ০/৫৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। এছাড়াও, ৯ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন।

নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফিল নিউপোর্টকে বিদেয় করে প্রথম উইকেটের সন্ধান পান। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে মাত্র চার উইকেট পান। তবে, নিউজিল্যান্ড সফরে গ্রাহাম ল্যাব্রয় ও রত্নায়েকেকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। ঐ সিরিজে তিন টেস্ট থেকে ১১ উইকেট দখল করেছিলেন।

সহকারী বোলার হিসেবে তিনি বেশ দীর্ঘ সময় ধরে নিখুঁতমানের বোলিংয়ে সক্ষম ছিলেন। পরবর্তীতে নিজ দেশে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ধ্বংসাত্মক বোলিংয়ে অগ্রসর হয়েছিলেন। তিন টেস্ট থেকে ১৭ উইকেট পান। তন্মধ্যে, মোরাতুয়ায় ব্যক্তিগত সেরা ৫/৮২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। এ সিরিজে নবাগত দিলীপ লিয়ানাগে’র সাথে সফলতার সাথে নতুন বল নিয়ে বোলিং আক্রমণ পরিচালনা করেছিলেন। বল বাঁকিয়ে ও সুইংয়ে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেন।

একদিনের খেলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিলেন। নিখুঁত নিশানা বরাবর চমৎকার দক্ষতা প্রদর্শনে এগিয়ে এসেছিলেন। রান রেট নিয়ন্ত্রণে অসম্ভব নিয়ন্ত্রণের কারণে এ স্তরের ক্রিকেটে দলের নিত্য অনুসঙ্গ ছিলেন।

১৯৯২ সালে নিজে দেশে অ্যালান বর্ডারের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ তারিখে মোরাতুয়ায় অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৫/৮২ ও ৩/৭৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, দলের একমাত্র ইনিংসে ব্যাট হাতে নিয়ে ১৫* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, প্রতিপক্ষীয় দলনায়কের অসাধারণ ব্যাটিং কৃতিত্ব প্রদর্শন সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।

১৯৯৩ সালে নিজ দেশে কেপলার ওয়েসেলসের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে কলম্বোর পিএসএসে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ৩/৭৫ ও ১/২৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ড্যারিল কালিনানের অসাধারণ শতকের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

এরপর থেকে একদিনের খেলায় অংশ নিতে থাকেন। চমৎকার ঘরোয়া মৌসুম অতিবাহনের পর ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমকে সামনে রেখে দল নির্বাচকমণ্ডলীর সু-নজরে ছিলেন। তবে, তাঁরা বাজে সিদ্ধান্ত নিয়ে তরুণদেরকে প্রাধান্য দেন। মনেপ্রাণে ও আন্তরিকভাবে দৃঢ়প্রত্যয় সহকারে খেলতেন। এক পর্যায়ে শ্রীলঙ্কা দলে প্রকৃতমানের পেস বোলারের ঘাটতি মোকাবেলায় প্রকৃত মিডিয়াম পেসার হিসেবে আবির্ভুত হন। বোলিংয়ের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন। টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিতভাবে উইকেট পেতেন। এছাড়াও, ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে বেশ সমীহের পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন।

ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। ইংল্যান্ড থেকে প্রথম স্তর ও অস্ট্রেলিয়া থেকে দ্বিতীয় স্তরের কোচ হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর, সাত বছর শ্রীলঙ্কার ফাস্ট বোলিং একাডেমির প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। মার্চ, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং কোচ হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। এইচ রামানায়াকে ও এইচএইচ রামানায়াকে নামীয় সন্তানদ্বয়ের জনক।

Similar Posts

  • | |

    স্কচ টেলর

    ২৫ জুলাই, ১৯২৫ তারিখে ট্রান্সভালের জোহানেসবার্গে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। এরপর, উইওয়াটারস্রান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে খনিবিষয়ক ডিগ্রীধারী হন। ইনিংস উদ্বোধনে নির্ভরযোগ্যতার পরিচয় দিতেন। ১৯৪৯-৫০ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম…

  • | |

    গ্রেগ ম্যাথুজ

    ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের নিউক্যাসল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। কিশোর বয়সে রাগবি খেলায় মনোনিবেশ ঘটালেও পরবর্তীতে ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকে পড়েন। শুরুতে অফ-স্পিনার ও অসাধারণ ফিল্ডার হিসেবে খেলায় প্রভাব ফেলতেন। তবে, উচ্চ…

  • | | |

    রবি শাস্ত্রী

    ২৭ মে, ১৯৬২ তারিখে মহারাষ্ট্রের বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ভারত দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। যেখানে ক্রিকেট ও ক্রিকেটবিষয়ক আলোচনা রয়েছে সেখানেই তাঁর নিত্য অবস্থান। টেলিভিশনের পর্দায় তাঁর চেহারা ও কণ্ঠস্বরকে ঘিরে গণমাধ্যমে…

  • |

    আল শাহরিয়ার

    ২৩ এপ্রিল, ১৯৭৮ তারিখে ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘রোকন’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০০৭-০৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে ঢাকা মেট্রোপলিসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে…

  • |

    উইলিয়াম মিল্টন

    ৩ ডিসেম্বর, ১৮৫৪ তারিখে ইংল্যান্ডের লিটল মারলো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। মার্লবোরা কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ২৪ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিবাসিত হন। ১৮৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ১৮৯১-৯২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন।…

  • |

    রয় গিলক্রিস্ট

    ২৮ জুন, ১৯৩৪ তারিখে জ্যামাইকার সীফোর্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ১৯৫০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ‘জিলি’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম দ্রুত গতিসম্পন্ন বোলারের মর্যাদা পেয়েছেন। বল…