২৪ মার্চ, ১৮৭১ তারিখে সাসেক্সের ব্রাইটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ফুটবলার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার ও সমারসেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেছেন। ১৮৯১ থেকে ১৯০৪ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। শুরুতে নিয়মিতভাবে ক্রিকেট খেললেও পরবর্তীতে ১৯০৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকেন। ১৮৯২ ও ১৮৯৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষাবলম্বন করেন ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে খেলেন। ১৮৯৪ সালে সমারসেটের পক্ষে চারটি খেলায় অংশগ্রহণের পর ইংল্যান্ড দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন।
১৮৯৪ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৯৪-৯৫ মৌসুমে অ্যান্ড্রু স্টডার্টের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমনের সুযোগ পান। ১৪ ডিসেম্বর, ১৮৯৪ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। আর্চি ম্যাকলারেন, ফ্রান্সিস ফোর্ড ও জ্যাক ব্রাউনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৩৩ ও ৪ রান সংগ্রহের পাশাপাশি উইকেটের পিছনে অবস্থান করে তিনটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন। ঐ খেলায় সফরকারীরা নাটকীয়ভাবে ১০ রানে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
এরপর, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে বিরত থাকলেও এমসিসির পক্ষে খেলতেন। অবশ্য, ১৯০০ সালে হ্যাম্পশায়ারের সাথে নয়টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে ৪৬টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে ১৫.০৬ গড়ে ১০০৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। দুইটি অর্ধ-শতকের একটিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, ৭০ ক্যাচ ও ২০টি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখেন।
ক্রিকেটের পাশাপাশি গল্ফে দক্ষতার ছাঁপ রাখেন। ডেভনের পক্ষে গল্ফে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ফুটবল খেলায় দক্ষ ছিলেন। ১৮৯১ থেকে ১৮৯৪ সময়কালে ওল্ড ব্রাইটনিয়ান্স ও করিন্থিয়ান্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ক্লেয়ার কলেজের পক্ষে গোলরক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। ১৮৯২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে খেলে ব্লুধারী হন। এর পূর্বে ডিসেম্বর, ১৮৯১ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের সদস্যরূপে কানাডার বিপক্ষে স্বীকৃতিবিহীন আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঐ খেলায় তাঁর দল ৬-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল।
এপ্রিল, ১৮৯৩ সালে রিচমন্ডে ইংল্যান্ডের সদস্যরূপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলেন। এছাড়াও, আরও দুইটি খেলায় অংশ নেন। মার্চ, ১৮৯৪ সালে রেক্সহামে ওয়েলসের বিপক্ষে ৫-১ ব্যবধানে জয়ের খেলাসহ একমাস পর সেল্টিক পার্কে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২-২ ব্যবধানে ড্রয়ের খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯০০ সালে সাউদাম্পটনে যোগ দেন। ইংল্যান্ডের নিয়মিত গোলরক্ষক জ্যাক রবিনসনের সহকারী হিসেবে সংরক্ষিত খেলোয়াড় ছিলেন। তবে, প্রথম একাদশে খেলেননি।
১ নভেম্বর, ১৯৪৯ তারিখে ডেভনের স্যালকম্ব হিল এলাকায় ৭৮ বছর ২২২ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
