২৭ এপ্রিল, ১৮৭৫ তারিখে আয়ারল্যান্ডের কুরা ক্যাম্প এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। দলে মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ক্রিকেট জগতে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। চার্টারহাউজ স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ১৮৯২ থেকে ১৮৯৪ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশ দলের পক্ষে ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতেন। এরপর, অক্সফোর্ডের নিয়ন্ত্রাধীন ম্যাগডালেন কলেজে অধ্যয়ন করেন ও ১৮৯৭ সালে ব্লুধারী হন।
১৮৯৫ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া পর্যায়ের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স দলের পক্ষাবলম্বন করেছেন। এছাড়াও, লন্ডন কাউন্টি ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেছেন। ১৮৯৫ সালে এসেক্সের পক্ষে খেলতে থাকেন। ১৯০৪ থেকে ১৯০৬ সাল পর্যন্ত দলটির অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। প্রায় ২০ বছর দলটির সাথে বর্ণাঢ্যময় খেলোয়াড়ী জীবন পাড় করেন।
১৮৯৯ সালে লিটনে অনুষ্ঠিত খেলায় লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০৭ রানের ইনিংস খেলেন। ১৯০৫ সালে লিটনে অনুষ্ঠিত খেলায় সফররত অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে এসেক্সের ১৯ রানের বিজয়ে অংশ নেন। ডিপ লং অঞ্চলে অবস্থান করে দারুণ ক্যাচ তালুবন্দী করে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখেন। এ পর্যায়ে বাকেনহামের অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন বল রুখতে ঐ স্থানে অবস্থান করেন। ১৯০৬ সালে নিজস্ব স্বর্ণালী মৌসুম অতিবাহিত করেন। ৩৪ গড়ে ১৫৭২ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
১৯০৬ থেকে ১৯১০ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বমোট ১৪ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯০৫-০৬ মৌসুমে পেলহাম ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ২ জানুয়ারি, ১৯০৬ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। আর্নি হেইস, জ্যাক ক্রফোর্ড ও ওয়াল্টার লিসের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ১ ও ৩ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ১ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়ে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
১৯০৭-০৮ মৌসুমে দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। নিয়মিত অধিনায়ক এ. ও. জোন্স অসুস্থতার কবলে পড়লে এমসিসি দলকে প্রথম তিন টেস্টে নেতৃত্ব দেন। ঐ সফরে তিনি ৩৩ গড়ে ৭৭৪ রান তুলেছিলেন। তন্মধ্যে, নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ১০১ রান তুলেছিলেন। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯০৭ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ২ ও ৩৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ২ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
১৯০৯-১০ মৌসুমে হেনরি লেভসন গাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১১ মার্চ, ১৯১০ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ৬ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ৯ উইকেটে জয়লাভ করলেও সফরকারীরা ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
টেস্টগুলো থেকে ২৬.২৩ গড়ে ৬৮২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ১৯০৫-০৬ ও ১৯০৯-১০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৯০২-০৩ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড সফর করেন। পাশাপাশি, ১৯০২ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান।
৭৯ বছর বয়সে তাঁর কাকাতো ভাই ফ্রান্সিস এল. ফেনের কারণে নামের মিল থাকায় উইজডেনের প্রতিবেদন তাঁর মৃত্যুবরণের সংবাদ প্রকাশ করলে বিস্মিত হয়ে পড়েন। কাকতালীয়ভাবে তাঁর পিতাও নিজের মৃত্যুসংবাদ পড়েছিলেন। ২৭ নভেম্বর, ১৯৬০ তারিখে এসেক্সের কেলভেডন হ্যাচ এলাকায় ৮৫ বছর ২১৪ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
