২২ ডিসেম্বর, ১৯২৯ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গুজরাতের জুনাগড় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৪৯-৫০ মৌসুম থেকে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে বাহাওয়ালপুর ও করাচীর প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বমোট ২০ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে আব্দুল কারদারের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সাথে উদ্বোধনী সিরিজে অংশ নিতে ভারত গমন করেন। ১৩ নভেম্বর, ১৯৫২ তারিখে বোম্বের বিএসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৮ ও ৪ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে বি মানকড়ের বলে বিদেয় নিয়েছিলেন। স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেয়ে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
১৯৫৪ সালে পাকিস্তান দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন।
১৯৫৮ সালে পোর্ট অব স্পেনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সাঈদ আহমেদের সাথে ১৬৯ রানের জুটি গড়ে দ্বি-পক্ষীয় নতুন রেকর্ড গড়েন। পরবর্তীতে, ২৯ নভেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইনজামাম-উল-হক (১৭৭) ও আমির সোহেলের (১৬০) মধ্যকার তৃতীয় উইকেটে ৩২৩ রানের জুটি গড়লে তাঁদের রেকর্ড ভেঙ্গে পড়ে।
১৯৫৯-৬০ মৌসুমে নিজ দেশে রিচি বেনো’র নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১৩ নভেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ০ ও ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ৮ উইকেটে জয় পেলে সফরকারীরা তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৩ তারিখে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত টেস্ট ক্রিকেট গালা সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেন। ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে ৯৫ বছর ২৯৫ দিন বয়সে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
