১১ মার্চ, ১৯২৯ তারিখে নাটালের পিটারমারিৎজবার্গে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও রেফারি ছিলেন। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৫০-এর দশকে দৃষ্টিনন্দন ব্যাটসম্যান ছিলেন না। তবে, তাঁর ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং পরবর্তীতে দর্শকদের নির্মল আনন্দের খোড়াক জোগাতো। কার্যকর ব্যাটিং কৌশল অবলম্বনসহ অসম্ভব মনোযোগের অধিকারী ছিলেন। নিজের ইনিংস ধীরে ধীরে বিনির্মাণে অগ্রসর হতেন। অনেক সময় অতি-রক্ষণাত্মক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে দলে বিপর্যয় নিয়ে আসতো। এমনকি কিছু খেলায় দল প্রভাব বিস্তার করলেও খেলাগুলো ড্রয়ে পরিণত হতো মূলতঃ সময়ে অভাবে। দূর্দান্ত ফিল্ডার ছিলেন। প্রায়শঃই কভার অঞ্চলে অবস্থান করতেন।

মার্চিস্টন প্রিপারেটরি স্কুলে অধ্যয়নের পর পিটারমারিৎজবার্গের মারিৎজবার্গ কলেজে পড়াশুনো করেছেন। এ পর্যায়ে ক্রিকেটের চেয়ে রাগবি খেলাকেই অগ্রাধিকার দিতেন। এছাড়াও, মাঝারিপাল্লার দৌড়ে অংশ নিতেন, উচ্চলম্ফে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ও হকি খেলতেন। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম থেকে ১৯৬৬-৬৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

১৯৫১ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বমোট ৩৪ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫১ সালে ডাডলি নোর্সের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন। এ সফরে কার্ডিফে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে শতক হাঁকান। এরপর, গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৯০ ও সারের বিপক্ষে ৯৯ রান তুলেন। ফলশ্রুতিতে, ৭ জুন, ১৯৫১ তারিখে নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। জন ওয়েট, ক্লাইভ ফন রাইনেভেল্ড ও জিওফ চাবের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। তিন নম্বর অবস্থানে মাঠে নেমেছিলেন। ৩১ রানে এরিক রোয়ানের বিদেয়ের পর তিনি ব্যাটিংয়ে নামেন। ৪০ রান তুলে ফ্রেডি ব্রাউনের শিকারে পরিণত হন। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, অ্যাথল রোয়ান ও টাফ্টি মানের কল্যাণে সফরকারীরা ৭১ রানে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

সিরিজের বাদ-বাকী খেলাগুলোয় তেমন সুবিধে করতে পারেননি। অপর তিন টেস্ট থেকে মাত্র ১০ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। এরফলে দল থেকে বাদ পড়েন। তবে, স্কারবোরায় সফরের শেষ খেলায় টিএন পিয়ার্স একাদশের বিপক্ষে নিজের সেরা ইনিংস খেলেন। দল মাত্র ৯৫ রানে গুটিয়ে গেলেও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে ৬৪ রানে অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করেন। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল মোটে আট রান।

১৯৫২-৫৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে জ্যাক চিদামের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট খেলেন। ৬ মার্চ, ১৯৫৩ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেন। প্রথম ইনিংসে একবার পাঁচ রান সংগ্রহ করেছিলেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৬৯ রান অতিক্রম করেন। এ পর্যায়ে নিজস্ব প্রথম শতরানের সন্ধান পান। এছাড়াও, ২০০ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ২৫৫* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৮০ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

১৯৫৫ সালে জ্যাক চিদামের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সাথে ইংল্যান্ড সফরে যান। ২১ জুলাই, ১৯৫৫ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ২৩ ও ১৩৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ২২৪ রানে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে নিজ দেশে ইয়ান ক্রেগের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৭ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে সফররত অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে খেলেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ২৯ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ১০৮ ও ৬ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে ইয়ান ম্যাকিফের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই সফরের ২৪ জানুয়ারি, ১৯৫৮ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৫ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিয়ে গড়ালে স্বাগতিকরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

১৯৬১-৬২ মৌসুমে নিজ দেশে জন রিডের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৮ ডিসেম্বর, ১৯৬১ তারিখে ডারবানে সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ট্রেভর গডার্ডের (৫৬*) পর চতুর্থ দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে প্রথম ইনিংসে ১২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩১২ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে ১২টি চারের সাহায্যে এ রান সংগ্রহ করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। সফরকারী দল ৩০ রানে পরাজিত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

একই সফরের ১ জানুয়ারি, ১৯৬২ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত ১১ ও দলীয় সংগ্রহ ১১/০ থাকাকালে আঘাতের কবলে পড়েন। পরবর্তীতে, দলীয় সংগ্রহ ১০০/৩ থাকাকালে পুণরায় মাঠে ফিরে আসেন। খেলায় তিনি ১৪ ও ৬৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ৭২ রানে জয় পেলে সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে অগ্রসর হতে থাকে। প্রসঙ্গতঃ এটিই নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ও বিদেশের মাটিতে প্রথম জয় ছিল।

১৯৬২ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদেয় নেন। বিদায়ী সিরিজ থেকেও শতক হাঁকিয়েছিলেন। একই সফরের ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬২ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথের জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ২৮* ও ২৬ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলা শেষ হবার মাত্র ২১ মিনিট পূর্বে সফরকারীরা ৪০ রানে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্ট ছিল।

১৪ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। টেস্টগুলো থেকে সাত শতক সহযোগে ৪২.০৬ গড়ে ২৪৪০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্বিতীয় মন্থরতম শতক হাঁকানোর ন্যায় অগৌরবজনক রেকর্ডের সাথে নিজেকে চিত্রিত করে রেখেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৭ শতক সহযোগে ৪৫.৯২ গড়ে ১২১৭০ রান তুলেন। এছাড়াও, ২৬.৬২ গড়ে ৩৫ উইকেট পেয়েছিলেন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর বর্ণবৈষম্যবাদের কারণে নিষিদ্ধ ঘোষিত দেশটিতে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সংবাদদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এক পর্যায়ে ১৯৯২ সালে আইসিসি রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। জিম্বাবুয়ে-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দুইটি টেস্ট ও সমসংখ্যক ওডিআই পরিচালনা করেছেন। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার পুণরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের পর দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে সাথে নিয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে প্রথম সফরে দলীয় ব্যবস্থাপক হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন।

১৯৫৬ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ক্রিকেট সফরবিষয়ক ‘ক্রিকেট ক্রাইসিস অন দ্য ১৯৬৪-৬৫’ (ইংল্যান্ড) ও ‘সিক্স ফর গ্লোরি অন দ্য ১৯৬৬-৬৭’ (অস্ট্রেলিয়া) গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এছাড়াও, ‘ক্রিকেট ফর সাউথ আফ্রিকা’ অন্যতম সেরা ক্রিকেট আত্মজীবনীর মর্যাদা পায়। রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে ৯ জুন, ১৯৯৮ তারিখে ট্রান্সভালের ক্রেগহিল পার্ক এলাকায় ৬৯ বছর ৯০ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | |

    জন রিডম্যান

    ৯ অক্টোবর, ১৮৬৫ তারিখে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গিলবার্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৮৯০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ‘ডিনি’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। দর্শনীয় ব্যাটসম্যান না হলেও কার্যকর ভূমিকা পালন করতেন। পরিবর্তিত বোলার হিসেবে ব্যবহৃত হতেন। প্রকৃতমানসম্পন্ন ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ…

  • |

    হিথ ডেভিস

    ৩০ নভেম্বর, ১৯৭১ তারিখে ওয়েলিংটনের লোয়ার হাটে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৯০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯১-৯২ মৌসুম থেকে ২০০৩-০৪ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও ওয়েলিংটনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মহৎ হৃদয়ের অধিকারী…

  • | |

    শহীদ আফ্রিদি

    ১ মার্চ, ১৯৮০ তারিখে খাইবার এজেন্সিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে কার্যকরী ও মারকুটে ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে এগিয়ে আসতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানের প্রথিতযশা অল-রাউন্ডার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন। সুইংয়ের সুলতান, স্পিনের যাদুকর ও বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান…

  • | |

    অ্যান্ড্রু গ্রীনউড

    ২০ আগস্ট, ১৮৪৭ তারিখে ইয়র্কশায়ারের কাউমস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, ডিপ অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৮৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। লড়াকু মানসিকতার অধিকারী ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর বেশ সুনাম ছিল। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে…

  • | |

    দিনেশ চণ্ডীমল

    ১৮ নভেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে বালাপিটিয়ায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হবার পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে দক্ষ তিনি। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও, শ্রীলঙ্কা দলের নেতৃত্বে ছিলেন। আম্বালাঙ্গোদাভিত্তিক ধর্মসকা কলেজে অধ্যয়নকালীন ক্রিকেট খেলা শিখতে শুরু করেন। বিদ্যালয় জীবনে ধারাবাহিকভাবে রান সংগ্রহে তৎপরতা দেখান।…

  • | |

    জুলফিকার আহমেদ

    ২২ নভেম্বর, ১৯২৬ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিং করতেন। ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। লখনউ দলের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম থেকে ১৯৬৪-৬৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী…