২৫ নভেম্বর, ১৯৭৬ তারিখে ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
‘গুল্লা’ ডাকনামে পরিচিত জাভেদ ওমর বেলিম কখনোবা ‘ওমর বেলিম’ নামে পরিচিতি পেয়েছেন। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০১১-১২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে বরিশাল বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, বিমান বাংলাদেশের পক্ষে খেলেছেন।
কিশোর অবস্থায় ১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্যে মনোনীত হন। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য ছিলেন। ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে জাতীয় দলের সদস্যরূপে ঠাঁই পান। শুরুটা তেমন ভালো হয়নি ও পরবর্তী তিন বছর দলের বাইরে থাকেন। ১৯৯৮ সালে ভারত ও পাকিস্তানের অংশগ্রহণে ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় তাঁকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়।
পুরনো ঢাকার বক্সিবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। ক্রিকেট ও ফুটবল অনুরাগী পরিবারে বড় হন। তবে, ফুটবলের তুলনায় ব্যাট-বল ক্রীড়া হিসেবে ক্রিকেটকেই বেছে নেন। লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ও মাঠের বাইরে বল ফেলতেন। এক পর্যায়ে ১৯৯০-এর দশকের সূচনালগ্নে ক্লাব ক্রিকেটে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পান। তবে, তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন একদিনের ক্রিকেটের উপযোগী ছিল না। অনেকাংশেই একগুঁয়েমিতায় পরিপূর্ণ বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার ট্রেভর বেইলি’র অনুরূপ ছিল।
১৯৯৫ থেকে ২০০৭ সময়কালে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বমোট ৪০ টেস্ট ও ৫৯টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ৫ এপ্রিল, ১৯৯৫ তারিখে শারজায় ভারতের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ২০০০ সালের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম খেলায় উল্লেখযোগ্য ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ১৪৬ বল মোকাবেলা ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশ দল টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদাপ্রাপ্ত হলে তাঁকে পাশ কাটিয়ে শাহরিয়ার হোসেন ও মেহরাব হোসেনকে দলের প্রথম পছন্দের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের আসনে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, ২০০০-০১ মৌসুমে নাইমুর রহমানের অধিনায়কত্বে জিম্বাবুয়ে সফরে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পেয়ে নিজের পরিচিতি ঘটান। ১৯ এপ্রিল, ২০০১ তারিখে বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে মঞ্জুরুল ইসলাম, মুশফিকুর রহমান ও মোহাম্মদ শরীফের সাথে তাঁর একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৮৫ রান তুলে মাঠ ছাড়েন। এরপূর্বে প্রথম ইনিংসেও ধীরলয়ে ৬২ রানের অর্ধ-শতক হাঁকিয়েছিলেন। এরফলে, অভিষেকে তৃতীয় টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করার কৃতিত্বের অধিকারী হন। স্বাগতিক দল ইনিংস ও ৩২ রানে জয়লাভ করলেও অপূর্ব ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের সুবাদে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
খুব কমসংখ্যক ক্রিকেট বিশ্লেষকের কাছেই উচ্চ মানসম্পন্ন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পেয়েছিলেন। তাসত্ত্বেও নতুন শতাব্দীতে এসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পুরো টেস্ট ইনিংসেই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করার মাধ্যমে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন। এছাড়াও, বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে এ কীর্তিগাঁথা রচনা করেন। ২০০১ সালে বাংলাদেশের প্রথম বিদেশ সফরে বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে অংশ নিয়ে এ কৃতিত্বের অধিকারী হন। এরফলে, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যানের অন্যতম হিসেবে অভিষেক টেস্টে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকার গৌরব অর্জন করেন। সেজন্যে অসম্ভব ধৈর্য্য ও উইকেটে টিকে থাকার মানসিকতা জড়িত ছিল। ক্রিকেটের অভিজাত পরিবারের সদস্য হিসেবে যুক্ত হবার পর থেকে এ গুণাবলীর অনুপস্থিতি বাংলাদেশী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদের মাঝে নেই বললেই চলে। কিন্তু, বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে খুব ধীরলয়ে ব্যাটিংয়ের কারণে অনেকের কাছে বিরক্তির উদ্রেক সৃষ্টিকারীতে পরিণত হয়েছেন। তবে, এ দায়িত্ব লাভের জন্যে নতুন বল মোকাবেলা ও দলের ভিত্তি আনয়ণে নিঃসন্দেহে প্রভূতঃ ভূমিকা পালন করেছেন।
২০০২-০৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে খালেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৮ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে ইস্ট লন্ডনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৭ ও ১০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। গ্রায়েম স্মিথের অনবদ্য দ্বি-শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ১০৭ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
২০০৩ সালে নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২৪ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ২৮ ও ৭১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। অভিষেকধারী জ্যাক রুডল্ফের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় খেলায় স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৬০ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
পিছনের পায়ের উপর ভর রেখেই মূলতঃ ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটিয়েছিলেন। শর্ট ও ওয়াইড বল যাই হোক না কেন কাট করতেন। ইনিংসের গোড়াপত্তনে নেমে ধীরলয়ে খেললেও বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের শুরুর দিনগুলোর জন্যে তা অনেকাংশেই সাযুজ্জ্যেপূর্ণ ছিল। ২০০৩ সালে পেশাওয়ারে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে আট ঘণ্টারও অধিক সময় নিয়ে নিজের একমাত্র শতরানের ইনিংসটি খেলেছিলেন। শোয়েব আখতার, উমর গুল, শাব্বির আহমেদ, দানিশ কানেরিয়াসমৃদ্ধ বোলারদের মোকাবেলা করে বীরোচিত ১১৯ রান তুলে বাংলাদেশ দলকে তাদের প্রথম ইনিংসে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তার হাত প্রসারিত করেছিলেন। ঐ খেলায় অবশ্য তাঁর দল নয় উইকেটে পরাজিত হয়েছিল। এ ইনিংসের পূর্বে দূর্বলমানের খেলা উপহার দেয়ার টেস্ট দলে ঠাঁই পেতে বেশ হিমশিম খেতে হয়।
প্রায় ষোল মাস পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরও একটি কীর্তির সাথে জড়িত থাকেন। ২০০৪-০৫ মৌসুমে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ধরে উদ্বোধনী জুটি গড়েন। চতুর্থ ইনিংসে নাফিস ইকবালের সাথে ৮৩ ওভার ক্রিজে অবস্থান করে ১৪২ রান তুলেন।
২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছয় ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থান করে ২৫৮ বল রুখে ৪৩ রান তুলেন ও বাংলাদেশ দল ১৪২ ওভার টিকে থাকে। এরফলে, দ্বিতীয় টেস্ট রক্ষা পায় ও বাংলাদেশ দল তাদের অভিষেক সিরিজ জয়লাভে সমর্থ হয়।
২০০৫ সালে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। ২৮.৮৩ গড়ে ৩৪৬ রান তুলেছিলেন। তবে, পরবর্তী দুই বছরে বেশ রান খরায় ভুগতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে, দল নির্বাচকমণ্ডলী উদীয়মান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের সন্ধানে নামেন। কেবলমাত্র তামিম ইকবাল ব্যতীত অন্য কোন ব্যাটসম্যান তাঁর ন্যায় ক্রিজে টিকে থাকা কিংবা রান সংগ্রহে তৎপরতা দেখাতে পারেননি।
চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে আরও চারটি টেস্টে অর্ধ-শতক হাঁকিয়েছিলেন। এছাড়াও, ২০০৫ সালে চেস্টার-লি-স্ট্রিটে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭১ রানের সাহসিকতাপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। এরফলে, একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মকালের সূচনাতে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেন ও অংশগ্রহণকৃত চার ইনিংসের সবকটিতেই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে সক্ষমতা দেখান।
এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, ‘ইংল্যান্ড গমনের পূর্বে আমার কোচ বলেছিলেন যে এ সফরেই আমার খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি ঘটবে। আমি সেখানে আশাতীত ভালোমানের খেলা প্রদর্শন করি ও যৌথভাবে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করি। তবে, আমি সর্বদাই দলের সুবিধের দিকে লক্ষ্য রেখে ব্যাটিংয়ে অগ্রসর হই যা আমাকে নির্মল তৃপ্তি দেয়।’
১৯৯০-এর দশকের শেষদিক থেকে শুরু করে ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত ওডিআই খেলোয়াড়ী জীবনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। তবে, ঐ সময়ে বাংলাদেশের পক্ষে কমপক্ষে দশটি ওডিআইয়ে অংশ নেয়া উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ৫১.৭৬ স্ট্রাইক রেটে সর্বনিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করেন। বাংলাদেশের প্রথম ৪৮ টেস্টের মধ্যে ৪০ টেস্টেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ পর্যায়ে বাংলাদেশ দলের ক্রমাগত ২১ টেস্টে পরাজয় ও ১৬টি সিরিজে পরাজয়ের ন্যায় অমর্যাদাকর রেকর্ডের সাথে জড়িয়েছিলেন।
একদিনের আন্তর্জাতিকে তেমন সফলতা না পেলেও দশটি অর্ধ-শতরান করেছেন। তন্মধ্যে, ২০০৫ সালে হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫০ বল খরচ করে ধীরগতিতে ৮১ রান তুলেন। বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার পর ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ১১৭ বলে ৮০ রান তুলে কিছুটা গতিশীলতার স্বাক্ষর আনয়ণে সচেষ্ট ছিলেন। এ পর্যায়ে দলে আসা-যাবার পালায় ব্যস্ত শাহরিয়ার নাফিসের ব্যাটিং উদ্বোধনে শূন্যতা পূরণে খেলেছিলেন। ঢাকায় সফরকারী ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ছন্দহীনতার কবলে পড়েন। উভয় ইনিংসেই জহির খানের প্রথম বলে কিং পেয়ার লাভ করেন।
২০০৭ সালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন। ঐ বছর মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের অন্যতম সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ১১ জুলাই, ২০০৭ তারিখে ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৮ ও ২২ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে লাসিথ মালিঙ্গা’র শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। মুত্তিয়া মুরালিধরনের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ১৯৩ রানে পরাজিত হলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
একই সফরের ২৫ জুলাই, ২০০৭ তারিখে কলম্বোর আরপিএসে সর্বশেষ ওডিআই খেলেন। পরবর্তী একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজগুলোয় পেস বোলিং মোকাবেলায় হিমশিম খাবার ফলে স্বীয় স্থান ধরে রাখতে পারেননি। এ পর্যায়ে তিনি অবসর গ্রহণের চিন্তাধারা থেকে বিরত থাকেন ও মন্তব্য করেন যে, ‘দেশীয় ক্রিকেটারদের এটি স্বাভাবিক ঘটনাবিশেষ।’
১৯৮৭-৮৮ মৌসুমের ঢাকা লীগে প্রথম খেলতে নেমেছিলেন। ২০১১-১২ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও ক্লাব ক্রিকেটে সর্বশেষ অংশ নিয়েছিলেন। এরপর ৩ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখ শুক্রবারে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের নিয়ে গড়া দলের বিপক্ষে খেলেন ও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেট জগৎ থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। এরফলে, ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে নর্দার্ন কনফারেন্সের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণকারীদের সর্বশেষ সদস্য হিসেবে সকল স্তরের ক্রিকেটকে বিদেয় জানান।
হাবিবুল বাশার সতীর্থ খেলোয়াড়দেরকে নিয়ে সর্বকালের সেরা বাংলাদেশী টেস্ট একাদশ গঠন করেন। তন্মধ্যে, তাঁকেও এ তালিকায় ঠাঁই দিয়েছেন।
