| |

পেলহাম ওয়ার্নার

২ অক্টোবর, ১৮৭৩ তারিখে ত্রিনিদাদের দ্য হল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, প্রশাসক, সাংবাদিক ও লেখক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে স্লো বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

চার্লস উইলিয়াম ওয়ার্নার, সিবি ও দ্বিতীয় পত্নী এলেন রোজা দম্পতির আঠারো সন্তানের সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন। পিতা অনেকগুলো বছর ত্রিনিদাদের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। ট্রাফালগার যুদ্ধ শুরু হবার দুইদিন পূর্বে তাঁর জন্ম। রাগবি স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। এছাড়াও, অক্সফোর্ডভিত্তিক অরিয়্যাল কলেজে পড়াশুনো করেছেন। সুগঠিত স্বাস্থ্যের কারণে সুন্দর জীবন অতিবাহিত করেছেন ও দৃশ্যতঃ ক্রিকেটের সর্বক্ষেত্রে সম্মানিত হয়েছেন। পিতার মৃত্যু হলে মাতার সাথে সাড়ে তেরো বছর বয়সে ইংল্যান্ডে চলে আসেন। তবে, এর তিন বছর পূর্বে বার্বাডোসের হ্যারিসন কলেজ ও তেরো বছর বয়সে প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, ১৮৮৩ থেকে ১৮৮৭ সাল পর্যন্ত হ্যারিসনে অধ্যয়ন করেছিলেন।

১৮৯৪ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেকের পূর্বে রাগবি স্কুলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৯৫ ও ১৮৯৬ সালে ব্লুধারী হন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে মিডলসেক্সের পক্ষে ১৮৯৪ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত খেলেন। তন্মধ্যে, ১৯০৮ সালে জি. ম্যাকগ্রিগরের পরিবর্তে দলের অধিনায়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ১৯২০ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত দলনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ৫১৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৬০ শতক সহযোগে ২৯০২৮ রান তুলেন। ১৯১১ সালে ওভালে বাদ-বাকী ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৪৪ রানের ইনিংস খেলেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কোর্ট ইন্সে যুক্ত ছিলেন। কিছু সময় জেনারেল স্টাফের সাথে ক্যাপ্টেন পদবী নিয়ে ওয়ার অফিসে কাজ করেন। এরপর, ১৯১৬ সালে অস্ত্রোপচারের কারণে কিং এডওয়ার্ড সপ্তম অফিসার্স হাসপাতালে ভর্তি হন। ছয় মাস পর সুস্থ হলে ফরিন অফিসের তথ্য মন্ত্রণালয়ে কর্নেল জন বুকাননের সাথে কাজ করেন। আরও ছয় মাস পর পুণরায় অসুস্থ হলে ২১ মার্চ, ১৯১৮ তারিখে স্বাস্থ্যজনিত কারণে কমিশন থেকে অব্যহতি নেন।

ইংল্যান্ডের পক্ষে ১৮৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ১৫ টেস্টে অংশ নেন। সব মিলিয়ে ৬২২ রান তুলেছিলেন। তন্মধ্যে, ১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে জোহানেসবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ১৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন।

১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে লর্ড হকের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ক্লেম উইলসন, ফ্রাঙ্ক মিচেল, ফ্রাঙ্ক মিলিগান, জ্যাক বোর্ড, জনি টিল্ডসলে, শোফিল্ড হেই ও উইলিস কাটেলের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। কয়েকবার ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। দ্বিতীয় ইনিংসে টেস্টে নিজস্ব প্রথম শতক হাঁকান। এ পর্যায়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। খেলায় তিনি ২১ ও ১৩২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। ৩২ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সফরকারীরা এগিয়ে যায়।

১৯০৫-০৬ মৌসুমে এমসিসি দলকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ২ জানুয়ারি, ১৯০৬ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ৬ ও ৫১ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ১ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়ে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

 
১৯০৩-০৪ মৌসুমের শেষদিকে এমসিসি দলের সাথে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৪ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ০ ও ৩১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ১৫৭ রানে পরাজয়বরণ করলেও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

১৯১২ সালে ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে নিজ দেশে সিড গ্রিগরি’র নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২৪ জুন, ১৯১২ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ৪ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।

সব মিলিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি ৩৬.২৮ গড়ে ২৯০২৮ রান তুলেছিলেন। ছয়টি শতক হাঁকান। এছাড়াও, চৌদ্দ মৌসুমে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।

স্বল্পসংখ্যক ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময় ক্রিকেটের প্রতি উৎসর্গ করেছিলেন। খেলোয়াড়, ব্যবস্থাপক, দল নির্বাচক, লেখক ও ১৯২১ সালে ‘দ্য ক্রিকেটার’ সাময়িকীর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ১৯৩৭ সালে ক্রিকেটে অসাধারণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ নাইট পদবী লাভ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে এমসিসি’র উপ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৫০-৫১ মৌসুমে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৫৮ সালে তাঁর সম্মানার্থে লর্ডসের একটি ছাউনি নামাঙ্কিত করা হয়।

সামরিক ইতিহাস পড়তে ভালোবাসতেন। এপ্রিল, ১৯০৪ সালে এমসিসি কমিটিতে যুক্ত হন। ১৯২৬ সালে পে. পেরিন ও এ.ই.আর. জিলিগানের সমন্বয়ে গঠিত দল নির্বাচন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। এ পর্যায়ে ওভালে পঞ্চম টেস্টে স্মরণীয় জয়ের মাধ্যমে ইংল্যান্ড দল অ্যাশেজ করায়ত্ত্ব করতে সক্ষম হয়। ১৯৩১ সালে আবারও এ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, ১৯৩৫, ১৯৩৬, ১৯৩৭ ও ১৯৩৮ সালে একই দায়িত্ব লাভ করেছিলেন।

সুদীর্ঘ জীবনে অনেকগুলো গ্রন্থ লিখেন কিংবা সম্পাদনা করেন। তন্মধ্যে, ক্রিকেট ইন ম্যানি ক্লাইমস, ক্রিকেট অ্যাক্রস দ্য সীজ, হাউ উই রিকভার্ড দি অ্যাশেজ, উইদ এম.সি.সি. ইন সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ভার্সার্স অস্ট্রেলিয়া (১৯১১-১২ সফর), ক্রিকেট রেমিনিসেন্সেস, বয়েজ বুক অব আউটডোর গেমস এন্ড পাস্টটাইমস (অন্যান্যদের সাথে), ইম্পেরিয়াল ক্রিকেট, বুক অব ক্রিকেট (অগণিত সংস্করণ), ক্রিকেট (ব্যাডমিন্টন লাইব্রেরি, পুণঃসংস্করণ, ১৯২০, অন্যান্যদের সাথে), স্টোরি অব দি অ্যাশেজ (মর্নিং পোস্ট, ১৯২০), মাই ক্রিকেটিং লাইফ, ফাইট ফর দি অ্যাশেজ ১৯২৬, অক্সফোর্ড অ্যান্ড কেমব্রিজ এট দি উইকেট (এফ.এস. অ্যাশলে-কুপারের সাথে), ক্রিকেট বিটুইন টু ওয়ার্স, ফাইট ফর দি অ্যাশেজ ১৯৩০, লর্ডস ১৭৮৭-১৯৪৫, জেন্টলম্যান ভার্সার্স প্লেয়ার্স ১৮০৬-১৯৪৯ ও লং ইনিংস অন্যতম। এছাড়াও, ওয়েস্টমিনস্টার গ্যাজেট, দ্য মর্নিং পোস্ট ও দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের ক্রিকেট সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯০৪ ও ১৯২১ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ৭ জুন, ১৯০৪ তারিখে অ্যাগ্নেস ব্লাইদ নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির দুই পুত্র ও এক কন্যা ছিল। তাঁর সন্তান জন ওয়ার্নার ‘দ্য ক্রিকেটার’ সাময়িকীর সম্পাদক হিসেবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়। ৩০ জানুয়ারি, ১৯৬৩ তারিখে সাসেক্সের ওয়েস্ট লেভিংটনে ৮৯ বছর ১২০ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। তাঁর ভষ্ম লর্ডসের প্রথম চারের মারের জায়গায় সমাহিত করা হয়। ১৭ এপ্রিল, ১৯৬৩ তারিখের হিসেব অনুযায়ী £৩,৭২০ পাউন্ড-স্টার্লিং রেখে যান।

Similar Posts

  • | | |

    আলী বাখের

    ২৪ মে, ১৯৪২ তারিখে ট্রান্সভালের জোহানেসবার্গে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাশাপাশি, দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষণের দায়িত্ব পালনে অগ্রসর হতেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন কারণে নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। প্রায় পাঁচ দশক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে হৃৎপিণ্ডতুল্য ভূমিকার…

  • |

    সোহাগ গাজী

    ৫ আগস্ট, ১৯৯১ তারিখে বরিশালে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। ২০১০-এর দশকে বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। প্রকৃত মানসম্পন্ন অফ-স্পিনার হিসেবে বরিশালের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পটুয়াখালী থেকে এসে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে যুক্ত হয়েছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম উদীয়মান ধীর গতিসম্পন্ন বোলাররূপে স্বীকৃতি…

  • | | |

    ব্যারি রিচার্ডস

    ২১ জুলাই, ১৯৪৫ তারিখে নাটালের মর্নিংসাইড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, প্রশাসক ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৭০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুম থেকে ১৯৮২-৮৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রেখেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে…

  • | | |

    গ্রাহাম ডাউলিং

    ৪ মার্চ, ১৯৩৭ তারিখে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রেফারি। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটের অনেক তারকা ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে কোনরূপ ব্যতিক্রম ছাড়াই নিজের সেরা খেলা উপহারে সচেষ্ট ছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে পুরোটা সময় জুড়েই দেশের পক্ষে ইনিংসে উদ্বোধনে…

  • | | |

    অ্যাশলে মলেট

    ১৩ জুলাই, ১৯৪৫ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের চ্যাটসউড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকার, প্রশাসক ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী। অধিকাংশ মাঠেই পর্যাপ্ত বাউন্স আনয়ণে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। সন্দেহাতীতভাবে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে নিজেকে অধিক কার্যকর করে…

  • | | |

    সাবা করিম

    ১৪ নভেম্বর, ১৯৬৭ তারিখে বিহারের পাটনায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও প্রশাসক। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলা ও বিহারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিস্ময়করভাবে…