১ আগস্ট, ১৯৩১ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে মিডিয়াম বোলিং পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
দীর্ঘকায় ও শক্ত-মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন। চমৎকার কৌশল অবলম্বনে ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন। বল হাতে নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুইংয়ের উপর জোর দিতেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে আউট-সুইঙ্গার মারতেন। বলে নিখুঁততা আনয়ণে নজর দিতে ও ওভারপ্রতি স্বল্প রান খরচ করতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা ক্রিকেটারদের অন্যতম হিসেবে পরিগণিত হন।
ডারবান হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল ও নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুম থেকে ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন।
১৯৫৫ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বমোট ৪১ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫৫ সালে জ্যাক চিদামের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। ৯ জুন, ১৯৫৫ তারিখে নটিংহামে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ১২ ও ৩২ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২/৬১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, সফরকারীরা ইনিংস ও ৫ রানে পরাজিত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
একই সফরের ২১ জুলাই, ১৯৫৫ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। বেশ কয়েকবার ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৬২ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ৯ ও ৭৪ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। এছাড়াও, ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে জেবি স্ট্যাদামকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৪/৫৯। এ পর্যায়ে টেস্টে নিজস্ব প্রথম পাঁচ-উইকেট লাভ করেন। খেলায় তিনি ২/৩৯ ও ৫/৬৯ লাভ করেন। সফরকারীরা ২২৪ রানে জয়লাভ করলেও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
এরপর, ১৩ আগস্ট, ১৯৫৫ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৫/৬৯। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৫/৩১ ও ১/২৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৮ ও ২০ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ৯২ রানে পরাজিত হলে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিজ দেশে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে পিটার মে’র নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। এ সিরিজে স্বাগতিক দল ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ২-২ ব্যবধানে সিরিজে সমতা আনয়ণে সমর্থ হয়। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৬ তারিখে ওয়ান্ডারার্সে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৪৯ ও ৫ রান সংগ্রহসহ চারটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৩/৫১ ও ১/১৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ১৩১ রানে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ১ মার্চ, ১৯৫৭ তারিখে জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত ২৭ ও দলীয় সংগ্রহ ৬৪/২ থাকাকালে আঘাতের কবলে পড়লে মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। তবে, দলের সংগ্রহ ৯৯/৫ থাকাকালে পুণরায় মাঠে ফিরে আসেন। খেলায় তিনি ৬৭ ও ৪৯ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে ট্রেভর বেইলি’র শিকারে পরিণত হন। পাশাপাশি, তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/২২ ও ১/৫৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ৫৮ রানে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ড্রয়ে পরিণত হয়।
১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে নিজ দেশে ইয়ান ক্রেগের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৭ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে সফররত অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে খেলেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৭৪ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ৯০ ও ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৫৭ ও ০/২৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
বিলি জাল্খের (৪৩*) পর তৃতীয় দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েন। কেপটাউন টেস্টে সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
১৯৬০ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লিউ’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের অন্যতম সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ৭ জুলাই, ১৯৬০ তারিখে নটিংহামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষীয় অধিনায়ক এমসি কাউড্রে’র প্রথম উইকেট লাভ করে ৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৫/৮০ ও ২/১৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ১৬ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিকরা ৮ উইকেটে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ১৮ আগস্ট, ১৯৬০ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। কয়েকবার ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৯০ রান অতিক্রম করেন। এ পর্যায়ে টেস্টে ৫৫ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৯৯ ও ২৮ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে ব্রায়ান স্ট্যাদামের শিকারে পরিণত হন। পাশাপাশি, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। এছাড়াও, ০/২৫ ও ৩/৬৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে সফরকারীরা ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
সহজাত নেতৃত্বের অধিকারী হিসেবে খুব সহজেই দলের ক্রান্তিকালে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। দলটি প্রতিভাবান হলেও প্রত্যেকেই স্বল্প অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ছিল। দলটিকে দর্শনীয়তার সাথে উঁচুর দিকে নিয়ে যান ও কয়েকজনকে তারকা খেলোয়াড়ে পরিণতকরণে অসম্ভব ভূমিকা রাখেন। অসম্ভব জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন, কৌশলগতভাবে শক্তিধর ও প্রতিপক্ষের ত্রুটি সনাক্ত করতে পারতেন। স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের কাছ থেকেও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পান।
১৯৬৩-৬৪ মৌসুম থেকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩ টেস্টে দলের নেতৃত্বে ছিলেন। ঐ মৌসুমে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলেন। স্প্রিংবককে নেতৃত্ব দিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ৬ ডিসেম্বর, ১৯৬৩ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ৫২ ও ৮* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২/৫২ ও ০/৩৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
একই সফরের ২৪ জানুয়ারি, ১৯৬৪ তারিখে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্ট খেলেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ৩৪ ও ৩৪* রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৫/৬০ ও ০/৬৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সফরকারীরা ১০ উইকেটে জয়লাভ করলে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় নিয়ে আসে।
ঐ মৌসুমে স্প্রিংবককে নেতৃত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৪ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ২৪ ও ৪০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/৪২ ও ১/১১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। পাশাপাশি, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে নিজ দেশে মাইক স্মিথের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ২২ জানুয়ারি, ১৯৬৫ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। পঞ্চম দিনে সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম শতরানের সন্ধান পান। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ৬০ ও ১১২ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৩৫ ও ০/৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়ালেও সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে নিজ দেশে বব সিম্পসনের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৭ তারিখ ডারবানে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে আইআর রেডপাথের প্রথম উইকেট লাভ করে ১০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ২/২৬ ও ১/২৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ১৯ ও ২৩ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে বব কাউপারের শিকারে পরিণত হন। পাশাপাশি, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। সফরকারীরা ৮ উইকেটে পরাজিত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।
১৯৬৯-৭০ মৌসুমে নিজ দেশে বিল লরি’র নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। অজিদেরকে ৪-০ ব্যবধানে পরাস্তকরণে স্বর্ণালী মুহূর্ত অতিবাহিত করেন। টেস্টে ২৫১৬ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ১২৩ উইকেট দখল করেন। এরফলে, প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে দুই সহস্র রান ও শত উইকেট লাভের ন্যায় ‘ডাবল’ লাভের অধিকারী হন।
৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৯ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ২৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ১৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ২/১০ ও ১/৩১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ইনিংস ও ১২৯ রানে পরাজয়বরণ করলে সফরকারীরা ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।
এ সফরের ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলেন। খেলায় তিনি ৬ ও ২ রান সংগ্রহ করে উভয় ক্ষেত্রে অ্যালান কনোলি’র শিকারে পরিণত হন। পাশাপাশি, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৪১ ও ৩/২৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সফরকারীরা ৩০৭ রানে পরাভূত হলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৯৭০-এর দশকে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত জবুথবু দলের প্রাণসঞ্চারে অসম্ভব ভূমিকা রাখেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পুরনো ও নতুন খেলোয়াড়দের সেঁতুবন্ধনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার স্বাক্ষর রাখেন। তবে, রান ও উইকেট সংখ্যার বিচারে সন্দেহাতীতভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে অন্যতম অবহেলিত অল-রাউন্ডার হিসেবে চিত্রিত হয়ে আছেন।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের ধর্মপ্রচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। লেসলি নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। ক্রিস নামীয় পুত্র ও লিন্ডি স্মিথ নাম্নী কন্যা রয়েছে। ২৫ নভেম্বর, ২০১৬ তারিখে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ৮৫ বছর ১১৬ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
