|

সেলিম ইলাহী

২১ নভেম্বর, ১৯৭৬ তারিখে পাঞ্জাবের শাহীওয়ালে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৯৯৫-৯৬ মৌসুম থেকে ২০১০-১১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, লাহোর ও ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। অকস্মাৎ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবনে প্রবেশ করেন। কোনরূপ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ ব্যতিরেকেই পাকিস্তানের একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন।

১৯৯৫ থেকে ২০০৪ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বমোট ১৩ টেস্ট ও ৪৮টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে নিজ দেশে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হন। ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে গুজরানওয়ালায় অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ১০২ রানের দূর্দান্ত ইনিংস খেলেন।

একই বছরের শেষদিকে দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমের ঐ সফরে দলের নেতৃত্বে ছিলেন ওয়াসিম আকরাম। ৯ নভেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১১ ও ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, শেন ওয়ার্নের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১২৬ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে রমিজ রাজা’র নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ২৬ এপ্রিল, ১৯৯৭ তারিখে কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। চারটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়ান। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়মিত উইকেট-রক্ষক মঈন খান আঘাতপ্রাপ্ত হলে তিনি উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হয়েছিলেন। এছাড়াও, ০ ও ১৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, অরবিন্দ ডি সিলভা’র অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।

২০০০-০১ মৌসুমে মঈন খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ৮ মার্চ, ২০০১ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২৪ ও ৭ রান সংগ্রহ উভয় ইনিংসে ড্যারিল টাফি’র শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। তবে, মোহাম্মদ সামি’র অসামান্য বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ২৯৯ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

তবে, এরপর থেকেই জাতীয় দলে আসা-যাবার পালায় অবস্থান করতে থাকেন। একদিনের আন্তর্জাতিকেই অধিকতর সফল হয়েছিলেন। ২০০২-০৩ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সফলতার স্বর্ণশিখরে পৌঁছেন। চার খেলায় অংশ নিয়ে তিনটিতেই শতরান করার গৌরব অর্জন করেন।

বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের দূর্বলমানের ফলাফলের প্রেক্ষিতে কয়েকজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে দল থেকে বাদ পড়েন। তবে, কয়েক মাস বাদেই পুণরায় ওডিআই দলে ফিরে আসার সুযোগ পান। টেস্ট অভিষেকেও তেমন সুবিধে করতে পারেননি। ২০০২-০৩ মৌসুমের পর কেবল একটি টেস্টে খেলেন। ২০০২-০৩ মৌসুমে ওয়াকার ইউনুসের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২ জানুয়ারি, ২০০৩ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। তবে, হার্শেল গিবসের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৪২ রানে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। সব মিলিয়ে ১৩ টেস্ট থেকে মাত্র একটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন।

Similar Posts

  • |

    বিল এডরিচ

    ২৬ মার্চ, ১৯১৬ তারিখে নরফোকের লিংউড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেছেন। এছাড়াও, ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। নরউইচভিত্তিক ব্রাকনডেল স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৩৪ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, মাইনর…

  • |

    ওয়াশিংটন সুন্দর

    ৫ অক্টোবর, ১৯৯৯ তারিখে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে ব্যাটিং করেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলার মধ্য দিয়ে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের উত্তরণ ঘটতে থাকে। পিতা এম সুন্দর তামিলনাড়ুর রঞ্জী ট্রফি দলের সম্ভাব্য ক্রিকেটার ছিলেন। তবে, চূড়ান্ত দলে ঠাঁই পাননি। এম…

  • |

    পিটার স্মিথ

    ৩০ অক্টোবর, ১৯০৮ তারিখে সাফোকের ইপ্সউইচ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৪০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২৯ থেকে ১৯৫১ সময়কালে বর্ণাঢ্যময় খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। আগস্ট, ১৯৩৩ সালে দলীয়…

  • | | |

    মনিন্দার সিং

    ১৩ জুন, ১৯৬৫ তারিখে মহারাষ্ট্রের পুনায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, আম্পায়ার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। স্লে লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ভারতের বিখ্যাত বামহাতি স্পিনার। ১৯৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে…

  • |

    ইউনুস আহমেদ

    ২০ অক্টোবর, ১৯৪৭ তারিখে ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স কিংবা বামহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৬১-৬২ মৌসুম থেকে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী, লাহোর ও পাকিস্তান…

  • |

    মারভিন গ্রেল

    ১৮ ডিসেম্বর, ১৮৯৯ তারিখে ত্রিনিদাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ১৯৩০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। খাঁটিমানসম্পন্ন ব্যাটসম্যান ও বিশ্বস্ত মিডিয়াম-পেসারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করতেন। ১৯২৯-৩০ মৌসুম থেকে ১৯৩৭-৩৮ মৌসুম…